আমরা যে জাতি হিসেবে একটু অতি উৎসাহী সেটার প্রমান বিভিন্নভাবে পাওয়া যায়।
এই যেমন কোন হিসাব নিকাশ ছাড়া বলে বসলেন 'এদেশে ক্রিকেটার নিষিদ্ধ হলে আন্দোলন হয়,হ্যান করলে ত্যান হয় অথচ তনু হত্যার জন্য কোন আন্দোলন হয়না'।কেউ একটাবার ভেবেও দেখেননা তনু হত্যার সাথে ক্রিকেটার নিষিদ্ধ হওয়ার বিরুদ্ধে আন্দোলনের মধ্যে আদৌ কোন সম্পর্ক আছে কি নেই।তনুকে নির্মমভাবে ধর্ষণেরর পর হত্যা করা হয়েছে যা মানুষরূপী জানোয়ারের দ্বারাই সম্ভব।আচ্ছা,বলেনতো এই হত্যার প্রতিবাদ জানাতে গিয়ে কেন আপনাকে উদাহরণ টানতে হবে যে এদেশে ক্রিকেটার নিষিদ্ধ হলে আন্দোলন হয় অথচ তনু হত্যার জন্য কোন আন্দোলন হয়না।ধর্ষক পুরুষ তো দূরের কথা তাকে মানুষ বললে আমি আপনাকে অমানুষ বলব।এসব অমানুষদের জন্ম দিয়ে তাদের নিজ মাতার উদর হাহাকার করে ধিক্কার জানায়,ভূমিষ্ঠ হওয়ার পূর্বে একজন মা যদি চিনতেন তার গর্ভে জানোয়ার বেড়ে উঠছে তাহলে হয়ত মাতৃগর্ভেই মাতার হাতেই নিধন হত এই সমস্ত কীট।এহেন ঘৃণিত অপরাধের বিচার চাইতে গিয়ে অতীত মনে করিয়ে দেয় এদেশে এসব অপরাধের মধ্যে পড়েনা তাই এদেশে এসবের বিচার হয়না।যদি ধর্ষণ অপরাধ হয় তবে পুলিশ কেন ধর্ষণ করবে,পুলিশ তো আইনের রক্ষক।ঘৃণা এবং লজ্জা নিয়েও মাথা উঁচু করে ধর্ষিতা বোনের সাথে ঘটে যাওয়া পৈশাচিক ঘটনার বিচার চাইতে হয়, এর থেকে আর বড় শাস্তি কি হতে পারে একটা একাত্তর আর একটা একুশের জন্ম দেয়া জাতির জন্য।
মুখে যা আসে সেটা দিয়ে প্রতিবাদ করছেন করুন তবে অনর্থক অন্য কোন ঘটনার সাথে তুলনা করে তনুর রক্তের অমর্যাদা করবেননা।ক্রিকেটার নিষিদ্ধ কেন আমরা প্রতিটি অন্যায়ের বিরুদ্ধে কথা বলব,প্রত্যেক অপরাধীর শাস্তির দাবি করব, প্রয়োজনে আন্দোলন করব।
রাস্তায় দাঁড়িয়ে আমাদের বোনের হত্যাকারীর বিচার চাইব।
বিনা কারনে অতি উৎসাহীর নমুনা না দেখালে আমাদেরই ভালো হবে।ফুলটস বল পেলেই ছয় মারার চেষ্টা না করাই ভালো।
শেষে এসে ক্রিকেট টেনে আনলাম,শুরুটা আপনাদের দিয়ে আর সমাপ্তি আমার।আমিও যে অতি উৎসাহী,আমিও যে বাঙালি।
তনু,ক্ষমা করে দিস তোর রক্ত বেচে প্রোফাইলটা ভারি করছি...