এখনো তুমি মানে আমার বৃষ্টি বিলাসে মেতে উঠা
গল্পের বইয়ে মৌন একটা দিন,
অথবা আলোরুপা মোড়ে চায়ের কাপে ঝড় তোলা আড্ডায়
তোমার অপেক্ষায় কাটানো অলস দুপুর।
যেন বহুদিন আগে উত্তরা সিনেমা হলে
আনাড়ী হাতে আঁকা পোস্টারে অচেনা মুখ দেখে
সদ্য কৈশোর পেরোনো যুবকের
পরিচিত নায়িকা হারানোর বিড়ম্বনায় এলোমেল কিছু সময়।
আজও শুন্য লাটাই হাতে ঘুড়ি কেটে যাওয়া কিশোরের সাথে
তোমাকে খুঁজেফিরি এই মধ্য যৌবনের পৌড় অতীতে
রত্নাই নদীর তীরে এক অভিমানী বিকেল বেলায়।
যদিও রানীশংকৈলের পোড়াভিটার নির্জনতা ভেদ করে
আমার পরানের গহীনে বিবাগী সুর তোলে চৈত্রের শুন্য দুপুর।
আর কি এক নিদারুন শুণ্যতায় জানালার পাশে
শুনি নৈদানের পদাবলী।
এখনো আমার চোখে নামে অযাচিত মেঘের বরিষণ,
ভেজা চোখে অম্লান দেখি বিধবা বধু উর্মিমালার মুখ।
তুমিও কি একদিন
এমন করে চেয়েছিলে আমার পানে শ্রাবণের সন্ধ্যায়,
নাকি শুধুই আমার বুকে শুকনো তিস্তার বালি উড়ে
বসন্তের বিরহী গোধূলী বেলায়!
তবুও কি অবলীলায় চলে যায় শেষ ট্রেনে ব্যস্ত নাগরিক জীবন
অথচ আমার চোখে নামে যুবতী শ্রাবণ!
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই জুলাই, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২০