সান্ধ্যপ্রদীপটা এখনও একাই জ্বালাই ,
চুপচাপ স্ফুলিঙ্গ প্রদীপটা জ্বেলে দেয়
তবুও কেমন যেন প্রানহীন ,নিষ্প্রভ আগুনটা ।
আমার ঘরের দক্ষিনে কোন জানালা নেই তাই দখিনা হাওয়া বলতে পারছিনা ,
তবে নাম নিশানাহীন যে হাওয়াটুকুই অনুভব করি তা সোজা বুকে গিয়ে বিঁধে !
জীবনের উচ্চাশা , প্রত্যাশা যখন নিরাশা হয়ে যায় তখন হয়ত আমি নিকোটিনটা মস্তিষ্কে দেই ,
একি অন্যায় ?
সেদিন বসন্তবরনে রংগুলো সব কেমন ঘোলাটে হয়ে উঠল ,
হাওয়াটাও নিষ্প্রান আবার সান্ধ্যপ্রদীপটাও কেমন যেন আত্মবিরোধী !
জানি বলবে প্রদীপটাতেতো আমার হাতও পড়েনি তবে কেন সে আত্মবিরোধী হয়ে উঠবে ?
হাত না পড়ুক তোমার অনুভূতিতো পড়েছে ,
তোমার নিঃশ্বাসের গাঢ়ত্বতো নিষ্প্রান প্রদীপটা ধরতে পেরেছে !
ও বেচারারতো আর নিকোটিন নেই তাই নিষ্প্রানতা দিয়েই হতাশা ঢাকে !
অনেক রাতে যখন শহর লক্ষীপেঁচার ডাকের শূন্যতা অনুভব করে কিংবা বিংশ শতাব্দীর তড়িতাহিত গ্রাম ভয়ানক শকুনের ডাকটা খুঁজে তখন
সান্ধ্যপ্রদীপটা চুপি চুপি নিভে যায় !
রোজ রাতে এই নীরব আত্মহূতীই কি অনুভূতিটা প্রকাশ করেনা ?
আমি নিজেকে কবি বলছিনা বা অহেতুক শব্দ নিয়েও খেলছিনা ,
শুধু প্রদীপটার গতিবিধি রোজ চোখে পড়ে তাই লিখলাম !
দেখো এ লিখা পড়তে গিয়ে যেন আনমনে না হয়ে উঠ !
প্রিয়তমা ,সান্ধ্যপ্রদীপটার তোমাকে খুব দরকার !