সামু নিয়ে পিয়াল গংরা অপপ্রচার শুরু করে দিয়েছে। বাংলা নিউজের প্রতিবেদন তারই অংশ। এখন আবার আমার ব্লগে। এ লেখায় সামুকে সাধীনতা বিরোধী জামায়াত শিবিরের সৃষ্টি বলা হয়েছে। এছাড়াও আসিফ মহিউদ্দিনসহ কয়েকজন ব্লগারকেও ছাগুদের এজেন্ট হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। অপরদিকে অমি রহমান পিয়ালকে সামলাতে ৮০/৯০ লাখের ওপর খরচ আছে বলেছে ব্লগটিতে। এছাড়া আওয়ামী ব্লগারদের আইপি এড্রেস কিনতে পার ব্লগার খরচ নাকি ৫ লাখ ছাড়িয়েছিল ছাগুদের।
এ ধরণের পরিকল্পিত অপপ্রচারের পিছনের মতলব স্পষ্ট। অপি পিয়ালরা চামুকে কালার দিয়ে আমার ব্লগকে সুশীল ব্লগ বানাতে চান।
লিংক : http://www.amarblog.com/notunblog/posts/159208
আমার ব্লগের পোস্টটি আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করলাম।
আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার ৩/৪ বছর আগে থেকেই জামাত অনলাইনে ইনভেস্ট শুরু করে। সুদুর প্রসারী চিন্তা ভাবনা জামাতের জন্য নতুন কিছু নয়। বাংলা প্লাটফর্মের প্রথম ব্লগ সাইট সামু ব্লগটিও তাদের পৃষ্ঠপোষকতায় তৈরী হয় ৭/৮ বছর আগে। পাদের মোল্লা ও কসাই কামরুজ্জামানের ছেলেমেয়েদের প্রাথমিক হেডকোয়ার্টার ওইখানে ছিল বলে শুনেছি। তত্ত্বাবধায়কের আমলে আর্মিকে সেভাবে ম্যানেজ করায় বুজুর্গ ব্যাক্তি নিজামী, গুআ এদের কোন ঝামেলা হয় নি (সূত্রঃ জেনারেল আমিন ও তার চ্যালারা, উনারা মিডিয়াতেই প্রকাশ্যে এটা বলেছিলেন। যেখানে তারেক জিয়া কে পা উপরে মাথা নীচে রেখে পিটিয়েছিল আর্মি। বরং ওই সময় ব্যারিস্টার মঈনুল ও আর্মি লিয়াঁজো বাম সাংবাদিক মতিউর রহমানের (প্রথমআলোর মতিদা) ছত্রছায়া ও পরামর্শে ১০/১২ কোটি টাকার ইনিশিয়াল মূলধন নিয়ে মাঠে নেমেছিল শিবির। শুরুটা অফলাইনে হলেও সামু ও ওইখানের চাইনিজ বামের স্থায়ী প্রতিনিধিরা অনলাইনে মনোনিবেশের পরামর্শ দেন। নতুন জেনারেশন ফেচবুকে সুতরাং মাথা ধোলাই করতে চাইলে ফেচবুক আর ব্লগ খালি রাখা যাবে না। শিবিরের সিলেক্ট কর্মীদের দেয়া হয় নতুন মডেলের ল্যাপটপ। নন শিবির বাম, আসিফ মহিউদ্দিন মার্কা ডজনখানেক অনলাইন লেম্বু কর্মীকেও ভালো ল্যাপটপ দেয়া হয়। পার কমেন্ট পার ব্লগ পোস্ট পার ফেচবুক ক্যাচাল রেটও ঠিক করা হয়। দ্বীনের ওয়াস্তে দেয়া তহবিলের তসরুফ হচ্ছে কি না অডিট করার জন্য কম্বল মোড়া সাইলেন্ট রীডারও ছিল। লিখতে গিয়ে যারা গদাম নিচ্ছিল বেশী তাদের অনেককে নিষ্ক্রিয় করে শুধু লাইকবাজ অথবা ব্লগের রেটিংবাজ বানিয়ে দেয়া হয়। প্রথমআলোর ফিউশন ফাইভের পরামর্শে অনলাইন জরীপে ক্লিক এবং পেজ রিফ্রেশ করার জন্যও এক দল লোক লাগানো হয়। এত কান্ড করতে গিয়ে ১০/১২ কোটি টাকার ইনিশিয়াল প্রজেক্ট ২০১২ তে ৬০/৭০ কোটি টাকায় পৌছে। এর মধ্যে অনেকের ল্যাপটপ আপগ্রেড করতে হয়েছে, কমেন্ট আর লাইকের ক্লিক রেটের খরচও বেড়েছে ৪/৫ গুন। ভালো গুনগত লেখার জন্য কমিটি ও কর্মশালায় ব্যাপক খানাপিনার আয়োজন করে বিল নামিয়ে নেয়া হয়। গোদের ওপর বিষফোড়া হয়ে দাড়ায় সামু মডারেটর প্যানেল। ৭ বছরে ১৪ বার তাদের রেট বাড়ানো হয়। এছাড়া আওয়ামী ব্লগারদের আইপি এড্রেস কিনতে পার ব্লগার খরচ নাকি ৫ লাখ ছাড়িয়েছিল। এক অমি রহমান পিয়ালকে সামলাতে ৮০/৯০ লাখের ওপর খরচ আছে। শাহবাগের ঝামেলার আগ পর্যন্ত ব্রেক ইভেনে ছিল শিবির। ফেসবুকে ৬০০০ গ্রুপ, বুয়েট ও ভিকারুন্নেসা আন্দোলনে ব্যাপক সফলতা, দেশের সর্বাধিক জনপ্রিয় দুই সাইট সামু ও সোনার দখল, এবং প্রথম আলোর জরীপে ধারাবাহিক সাফল্য। অনলাইন জনমত নিয়ে জামাতের কোন সংশয় ছিল না। ভাত ছিটালে কাকের অভাব হয় না। ল্যাং মেরে দিল কাদের মোল্লা। গুটি কয়েক আওয়ামীর ডাকে শাহবাগে প্রথম দিন বড় জোর পঞ্চাশ জনের জমায়েত হয়, দুদিন ঘুরতে সে সংখ্যা হয়ে যায় পাচ লক্ষ। পাল্টা জমায়েতের ডাক দেয়া হয়। ফেসবুকের আইডি খুজে মেসেজ পাঠানোও হয়। মোবাইলে কল দেয়া হয়। ওইখানে দেখায় যায় বিপত্তি। এক লোকেই বারবার ফোন ধরে। একেকজনে ২০/৩০টা সিম কিনে ৩০০/৪০০ ফেসবুক আইডি খুলে বিল তুলছিল। পাচ লাখ থাক দুরের কথা পচিশজন অফলাইন লোকও পাওয়া যাচ্ছে না। শেষ ভরসা আসিফ মহিউদ্দিন ফারুক ওয়াসিফ ও অন্যান্য ভাসানী মার্কা বাম। ওনারা ৭২-৭৫ এও সাহায্য করেছেন এবারও প্রান পন চেষ্টা করছেন।
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:০৬

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




