মানুষ মারছে মানুষ, পাখির মত গুলি করে।
ছিন্ন করছে দেহ বনের হিংস্র পশুর মত, লুটে নিচ্ছে প্রাণ।
আমি কাকে বাদ দিয়ে কার দোষ দিব।
যে মারছে সে আমার দেশের মানুষ,
আর যাকে মারছে সেও ভিন গ্রহের কেউ নয়।
যার জন্য চলছে এই ঘাত প্রতিঘাত তাও আমার প্রিয় ধর্ম ইসলাম।
না, আমি অন্তত এটা বিশ্বাস করতে পারিনা।
শান্তির ধর্মে কোন ভাবেই অশান্তির কথা বলতে পারে না।
এক ভাই কেঁড়ে নিচ্ছে আরেক ভাই এর প্রাণ,
আমার প্রতিবেশী নিরীহ তরুন, যে কিনা বিশ্বাস করে বড় হুজুরকে।
যার কথা অমান্য করা অমার্জনীয় অপরাধ, বলে সে জ্ঞান করে।
কাল হাশরের দিনে পাপী হয়ে যাবে, কথা না শুনলে।
সেই হুযুরের কথায় জীবনের প্রথম বারের মত আসে রাজধানিতে,
ধর্ম রক্ষা করতে, জিহাদ করতে, পুলিশের রক্ত চুক্ষু উপেক্ষা করে।
আর পুলিশ, সেও তো আপনার আমার মতই রক্ত মাংশে গড়া মানুষ।
সংসারের একমাত্র উপার্জনক্ষম মানুষ, কোন মতে একটি চাকরি জুটায়ে,
বেকার জীবনের অবসান ঘটায়, সুন্দর জীবনের স্বপ্ন বুনে।
তার ও আছে বড় হুযুরের মত বড় কর্তা।
অতঃপর বড় কর্তার হুকুম, আজকে তোমরা জিরো টলারান্সে দেখাবে।
মরলে কিছু মরুক ঝঞ্জাল, সাফ হয়ে যাক দেশটা।
হুকুম দিয়ে কর্তা ঘুমায় রাতে আরামে।
পরদিন খবর শোনে, দুইজন ই বাড়ি ফিরে লাশ হয়ে।
কেউবা হয়ে যায় গুম কিংবা নিখোঁজ!শুরু হয় স্বজনের কান্না।
এর চেয়ে বীভৎসতা, বর্বরতা, হিংস্রতা আর কি ই বা হতে পারে?
বিশ্বাস করুন আমার দু চোখে ঘুম আসে না।
কাজে মন বসে না, আমি দিন দিন বিমর্ষ হয়ে যাচ্ছি।
বেঁচে থাকার আনন্দ আমার কাছে ফিকে হয়ে যাচ্ছে।
আমার পরবাসী মন ডুকরে ডুকরে কেঁদে উঠে।
নিজের দেশের চেয়ে আপন আর কি হতে পারে?
আমি বাঁচতে চাই, শান্তি চাই, শান্তি।
দয়া করে আপনার এই বর্বরতা বন্ধ করুন।
ভালবাসতে শিখুন বুকের ভিতরে গহিনে মায়া, মমতা দিয়ে।
দেখবেন গোটা পৃথিবীটা হয়ে উঠবে সুন্দর আর আনন্দময়।
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই মে, ২০১৩ বিকাল ৪:২৪