“আপনি যদি এই ঘটনা না বিশ্বাস করেন তাহলে আপনি কাফির আর নাস্তিকের দলে। আর আপনি যদি এই ঘটনা বিশ্বাস করেন তাহলে আপনার জন্যে আল্লার অশেষ নেয়ামত। আর এই ঘটনা বিশ্বাস করে আপনাকে এটি প্রচারের দায়িত্ত নিতে হবে। আপনি আপনার সামর্থ্য অনুযায়ী এই সংবাদটি অন্তত একশ কপি করে বিলিয়ে দিবেন। আর আপনার সামর্থ্য না থাকলে অন্তত ২০ কপি করে হাতে লিখে প্রচার করবেন। আপনি যদি এটি এড়িয়ে যান তবে আপনার জন্যে রয়েছে অফুরন্ত শাস্তির জাহান্নাম। আর প্রচারের ব্যবস্থা করলে অশেষ নেকি হাসিল করবেন”।
ক্লাস থ্রি তে পড়ার সময় এক বন্ধু একটি কাগজ দিয়েছিল। গল্প পড়ার নেশা সেই ছোট বেলা থেকেই, আর কোন ছাপানো কাগজ পেলে ও পরতাম। তাছাড়া অন্য সবার কাগজটার প্রতি মনোযোগ দেখে কাগজ তা হাতে না নিয়ে পাড়ি নি। আজো মনে পড়ে শিরোনাম টা ‘ সংবাদটা এড়িয়ে যাবেন না, । তারপর যে ঘটনাটা লেখা ছিল সেটা পুরোপুরি মনে নেই । তবে যা মনে আছে তাই লিখছি।
‘ হযরত ইয়াকুব ইবনে ........ বর্ণিত যে তিনি সপ্নে দেখেছেন রাসুল (সাঃ) সপ্নে তাকে ............ করতে বলেছেন।
তারপর যা লেখা টা হচ্ছে,
“আপনি যদি এই ঘটনা না বিশ্বাস করেন তাহলে আপনি কাফির আর নাস্তিকের দলে। আর আপনি যদি এই ঘটনা বিশ্বাস করেন তাহলে আপনার জন্যে আল্লার অশেষ নেয়ামত। আর এই ঘটনা বিশ্বাস করে আপনাকে এটি প্রচারের দায়িত্ত নিতে হবে। আপনি আপনার সামর্থ্য অনুযায়ী এই সংবাদটি অন্তত একশ কপি করে বিলিয়ে দিবেন। আর আপনার সামর্থ্য না থাকলে অন্তত ২০ কপি করে হাতে লিখে প্রচার করবেন। আপনি যদি এটি এড়িয়ে যান তবে আপনার জন্যে রয়েছে অফুরন্ত শাস্তির জাহান্নাম। আর প্রচারের ব্যবস্থা করলে অশেষ নেকি হাসিল করবেন”।
এটি পড়ে তো আমার মাথা খারাপ হয়ে গিয়েছিল। আমি কঠিন বিশ্বাসী মানুষ, তার উপর গজবের আশংকা। বাড়িতে এসে হাতে লিখে ২০ কপি করেছিলাম, কয়েক দিনে মনে হয়। তার উপর বড় সমস্যা এগুলো প্রচার করা। আমি পড়ার পড়ে মোটামুটি বন্ধুদের সাথে এই বিষয়ে আলাপ করেছিলাম। এখন তো তারা আর আমার হাতের লেখা কপি নিতে চায় না। কারণ একই ঝামেলায় পড়তে চায় না আবার গুনার ভাগীদার ও হতে চায় না। এক বন্ধু বলল, ছুটির পড়ে দাসাদি মাদ্রাসায় গিয়ে দিয়ে আয়। আমি সেইদিন ছুটির পড়ে দাসাদি মাদ্রাসায় কাগজগুলো দিয়ে এসেছিলাম। তাও বহুত কষ্টে।
কিন্তু আজকের লেখাটি এই কারনে নয়। কারণটি হল সেই বিষয়গুলো এখনও আছে। সামাজিক নেটওয়ার্কে। ব্যাপক আকারে। সহজ সরল ধর্মপ্রাণ মানুষ গুলো আজো এদের প্রতারনা থেকে রেহায় পায় নি।এই প্রতারক চক্র নানা ভাবে মিথ্যা তথ্য দিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করছে।আর বর্তমানে না জানা মুসলিমরা ( যে যা বলে তাই বিশ্বাস করে ) এইসব কাজ এদের সাহায্য করছেন।
গত কয়েক মাস ধরে ফেসবুকে এইরকম হাজারো তথ্য পেয়েছি যেগুলো ভিত্তিহীন। এদের ব্যবহৃত ছবিগুলো গুগল ইমেজে সার্চ দিলে প্রকৃত সত্য বেরিয়ে আসে। এছাড়া বিভিন্ন নবীর নামে অসংখ্য মিথ্যা তথ্য। ইসলাম বিকৃত তথ্যকে স্বীকৃতি দেয় না। তাই এইসবে বিশ্বাস করা কতটুকু ভালো টা একমাত্র আল্লাই জানেন।
সামান্য কিছু ধর্মীয় বই পড়ার সুযোগ হয়েছিল। ইসলামকে কিছুটা জানতে পেরেছি। ইসলাম মানে শান্তি, কাটাকাটি নয়।
কোরআনের প্রথম নাজিল কৃত আয়াতটি হল,
“ পড়, তোমার প্রভুর নামে”
বাংলা অনুবাদ সহ কোরআন কিনুন। অর্থ জেনে কোরআন পড়ুন। অর্থ জেনে কোরআন পড়ার সওয়াব অনেক। যেকোনো লাইব্রেরীতে বাংলা হাদিস পাবেন। এসব পড়ুন। জানতে চেষ্টা করুন। অন্যকে সঠিক তথ্য জানান।
বিকৃত তথ্যে লাইক দেয়ার আগে আল্লার দেয়া বিবেক কাজে লাগান।
আর হ্যা, আমার কথাগুলো ভালো লাগলে শেয়ার করুন। প্রকৃত ইসলাম জানতে সবাইকে উৎসাহিত করুন।
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০৫