পরশুরামে ইউনিপেটুইউ মাল্টিলেভেল মার্কেটিং এর নামে ১০ মাসে দ্বিগুন লাভের লোভনীয় ফাঁদে ফেলে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে প্রতারক চক্র। প্রথমে নিজে কয়েক লাখ টাকা জমা দিয়ে এবং ১০ মাসে দ্বিগুন লাভ হওয়ার কথা বলে উপজেলার প্রবাসীর স্ত্রীদের এবং বিভিন্ন শ্রেনী পেশার লোকদের কম সময় দ্রুত বড় লোক হওয়ার মিথ্যা প্রলোভন দেখিয়ে ইউনিপেটুইউ লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। পূর্বে যারা ডেসটিনি, নিউওয়ে, যুবক সহ বিভিন্ন মাল্টি লেভেলের কোম্পানীতে কর্মরত ছিলেন তারাই নতুন করে ইউনিপেটুইউ তে কাজ করছে। তবে পরশুরাম উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম পর্যায়ে এই মাল্টিলেভেল কোম্পানীর প্রতারনার জাল পেতেছে উপজেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। উপজেলার প্রায় ৪৮টি প্রাথমিক বিদ্যালয় এখন ইউনিপেটুইউ এর অস্থায়ী অফিস হিসাবে ব্যবহার হচ্ছে বলে এলাকা বাসির অভিযোগ। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা শ্রেনী কার্যক্রম বাদ দিয়ে ইউনিপেটুইউতে বেশী সময় দিচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, শিক্ষকরা তাদের প্রাথমিক বিদ্যালয় পড়ুয়া ছেলেমেয়েদের দিয়ে বাড়ীতে খবর পাঠায় স্কুলে গিয়ে দেখা করার জন্য। অভিভাবকেরা স্কুলে গেলে শিক্ষকরা ছাত্রদের পড়ালেখার কথা না বলে ইউনিপেটুইউ'র লোভনীয় প্রস্তাব দেয়। এতে অনেক অভিভাবকরা বিব্রত হয়ে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে মৌখিক অভিযোগ করেছেন বলে জানা যায়। সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, উপজেলার প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারন সম্পাদক টিপু সহ সলিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক দিনা, মেলাঘর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক বশর, নিজ কালিকাপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ইকবাল সহ ২০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা সরাসরি ইউনিপেটুইউ নামে লাখ লাখ টাকা জমা দিচ্ছে এবং অন্যদেরকে টাকা দিতে চাপ দিচ্ছে। পরশুরাম উপজেলার শিক্ষক ছাড়াও পুর্বে যারা ডেসটিনি ও যুবক এ কাজ করত তারা এখন নতুন করে এই প্রতারনার ফাঁদ পেতেছে। তাদের মধ্যে ইকবাল, নোমান মাষ্টার, এমরান, মহিউদ্দিন বাবুল, মির্জানগর ইউপির সচিব বিপুল সাহা, গে বি কম্পিউটার্স এর অপারেটর জহির উদ্দিন, উদ্দিপনের ম্যানেজার নুরন্নবী, ওয়াশিম টেলিকমের মালিক ওয়াশিম, সুবার বাজারের শাহেদ, পরশুরাম উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আলি আকবর ভুঁইয়ার ছেলে রিংকু, জাফর আহম্মদ ও ছাদেক মাওলানাসহ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা এই মাল্টিলেভেল কোম্পানীর সাথে জড়িত। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ ইছমাইল হোসেন জানান, যেহেতু এটা বিতর্কিত প্রতিষ্ঠান এটাকে নিয়ে বিভিন্ন পত্রিকায় লেখালেখি হচ্ছে তাই প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা জড়িত হওয়া মোটেও ঠিক হয়নি। আমরা কয়েকজন জড়িত থাকার কথা শুনেছিলাম কিন্তু এখন দেখছি অনেকে জড়িত হচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পেলে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে।
সুত্র : ফেনীর সময়
ইউনি পে জালিযাতি (ফেনীর সংবাদ)
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই অক্টোবর, ২০১০ বিকাল ৩:২৯