somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ক্যাটফুড বিড়ালের জন্য ক্ষতিকর | Cat food is dangerous for cats

১২ ই মার্চ, ২০১৯ রাত ১১:০৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


যাদের বিড়াল আছে তারা অনেকেই বিড়ালের খাবার হিসেবে বিভিন্ন প্যাকেট জাত ক্যাটফুড কিনে থাকেন এবং সেগুলো আপনাদের বিড়ালকে খাওয়ান। যদি আপনি এমনটি করে থাকেন তবে এই লেখা আপনার জন্য। আজই আপনার বিড়ালকে ক্যাটফুড খাওয়ানো থেকে বিরত থাকুন।

ক্যাটফুড তৈরী করা হয় এমন কিছু বাড়তি ইনগ্রেডিয়েন্ট দিয়ে যেটার কোন তথ্য প্যাকেটের গায়ে নেই। দির্ঘ্যদিন প্যাকেটে ক্যাটফুড ভালো রাখার জন্য তাতে মেশানো হয় বাড়তি ক্ষতিকর কেমিকেল। কি কেমিকেল মেশানো হয়? Chemical in cat food লিখে গুগল করে আসুন পেয়ে যাবেন।


কিন্তু ক্যাটফুড কিভাবে ক্ষতি করে?

ক্যাটফুডকে আমি নাম দিয়েছি, বিড়ালের স্লো-পয়জন। স্লো-পয়জন ‍জিনিসটা তো সবাই বোঝেন? এক ধরণের বিষ যেটা ধীরে ধীরে শরীরে ক্ষতি করে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, মানুষের জন্য একটা স্লো-পয়জন হলো আর্সেনিক। যেটা আপনি কয়েকবার খেলে বা কয়েক বছর ধরে খেলেও কিছু হবে না, কিন্তু একটানা ১০-১২ বছর আর্সেনিক যুক্ত পানি খেলে আপনি মারা যাবেন। এই ক্যাটফুডও ঠিক তেমনই, আপনার বিড়ালকে খাওয়াচ্ছেন, কোন সমস্যা হবে না, কিন্তু একটানা ৫-৬ মাস বিড়ালকে ক্যাড ফুড খাওয়ালে সে মারা পড়বেই। খুবই নির্মম ভাবে ধুকে ধুকে মরবে, আপনি কিছুই করতে পারবেন না। বিড়াল পানি কম খায়, এটা বিড়ালের সৃষ্টিগত স্বভাব, তাই তার অন্যান্য খাবারের মধ্যে ৫০-৬০% পানি থাকে, যেগুলো মাছ, ভাত বা অন্যান্য খাবার গুলো খাওয়ার মাধ্যমে বিড়ালের শরীরের পানির শুন্যতা পূরণ হয়। আর ড্রাই ক্যাটফুডে মাত্র ১০% এরও কম পানি থাকে, অর্থাত ক্যাটফুড গুলো খেয়ে বিড়াল পানি শুন্যতাতে পড়ে কিন্তু সেভাবে বুঝতে পারে না যে তার শরীরে পানি শুন্যতা তৈরী হয়েছে। ফলাফল কি হতে পারে সেটা অবশ্যই অনুমেয়।


বিড়ালের ক্যাটফুড খাওয়ার শব্দ শুনলে আপনারা মনে করে থাকবেন, বিড়াল মনে হয়ে চাবিয়ে চাবিয়ে খাচ্ছে, কিন্তু অনেকে জানেই না যে বিড়াল ক্যাটফুড চাবিয়ে খায় না, সেটা মুখে নিয়ে দাঁতের মাধ্যমে সরাসরি গিলে ফেলে, দাঁতের মাধ্যমে নিয়ে গিলে ফেলার কারণে কড়মড় শব্দ হয় যেটাতে অনেকের মনে হয় বিড়াল চাবিয়ে গুড়ো করে খাচ্ছে কিন্তু আসলে সরাসরি গোটা অবস্থায় পেটে পাঠিয়ে দেয়। আপনি কোন একটা ক্যাটফুডের দানা হাতে নিয়ে চাপ দিয়ে দেখতে পারেন যে ওটা কতোটা শক্ত, ঐ শক্ত জিনিস বিড়ালের দাঁত দিয়ে ভাঙার ক্ষমতা নেই। বিড়াল সেটা মুখে নিয়ে গিলে ফেলে, একটু ভালো করে খেয়াল করে দেখলেই সেটা বুঝতে পারবেন। আর তার পাকস্থলী সেটাকে হজম করে। একবার চিন্তা করে দেখুন পাকস্থলীর কতোটা পরিশ্রম হয় কেমিকেল যুক্ত ঐ পানি বিহীন ক্যাটফুড গুলোকে হজম করতে। আর এটা যদি প্রতিনিয়ত চলতেই থাকে তবে পাকস্থলী কেন নষ্ট হবে না? হিসেব খুব সিম্পল। একটু বোঝার চেষ্টা করলে নিজেই বুঝে যাবেন।

আমার বিড়ালের খাদ্যাভাসের উপরে রিসার্চ করে আমার এটাও মনে হয়েছে যে, ক্যাটফুড গুলোতে এমন কোন কেমিকেল আরো মেশানো হয় যেটা বিড়ালের জন্য নেশা জাতীয় দ্রব্যের মতো কাজ করে। যার কারণে নিয়মিত একটা বিড়ালকে ক্যাডফুড দিলে সে কিছু দিনের মধ্যেই এর উপরে পুরোপুরি নির্ভরশীল হয়ে পড়ে। তখন ক্যাটফুড ছাড়া আর অন্য কোন খাবার সে চাইলেও খেতে পারে না। যেমন টা আমার বিড়াল নিকের বেলাতে হয়েছিল। সে দুই দিন না খেয়ে ছিল তবুও ক্যাটফুড না দেওয়া অবধি অন্য কোন খাবার গ্রহণ করেনি।


প্রথমত, আমি যে তথ্যগুলো দিচ্ছি সবই বাস্তবিক, অর্থাত আমার সাথে যেটা বাস্তবে ঘটেছে সেই সব কিছুর উপরে ভিত্তি করে আমি বিভিন্ন তথ্য শেয়ার করছি, এবং কথা গুলো যে সত্যি সেটাও আপনাকে প্রমাণ সহ দেওয়ার চেষ্টা করবো।

দ্বিতীয়ত আমার এই সব কিছু করার পেছনে একটাই কারণ, বাংলাদেশে ক্যাটফুড কতোটা ক্ষতিকর সেটা নিয়ে তেমন কোন তথ্য নেই। যদি থাকতো তবে আমি আমার বিড়াল মারা যাওয়ার আগে অবশ্যই সে তথ্য আমি পেতাম। কারণ আমি প্রথম থেকেই বিড়াল পোষা শুরু করার আগে বিড়ালের আদ্যপ্রান্ত নিয়ে রিসার্চ করেছি, কোথাও ক্যাটফুডের বিপক্ষে কোন বাংলা তথ্য দেখিনি। যার কারণে আমার বিড়াল নিক আজ এই দুনিয়াতে নেই। তাই আমি চাই বাংলাদেশের অনলাইনে এই ক্যাটফুডের ভয়াবহতাটা তুলে ধরতে, অন্তত যারা বিড়াল পোষে সেই সব মানুষ জানুক, ক্যাটফুড কতোটা ক্ষতিকর ‍বিড়ালের জন্য। আমার মতো ক্ষতিকর দিকটা না জানার কারণে যেন কারো কোন ক্ষতি না হয় তাই শুধুমাত্র বিড়াল গুলোর কথা ভেবে আমি বিভিন্ন সচেতনতা মূলক কন্টেন্ট তৈরী করে প্রচার করবো। যদি এক জনের বিড়ালও বাঁচে তবে আমার নিক অনেক শান্তি পাবে বলে আমি মনে করি। কারণ সে মরে গিয়েই তো আমার চোঁখ খুলে দিয়ে গিয়েছে। বিড়াল যেহেতু কথা বলতে পারে না, তাই তারা এর প্রতিবাদ করবে কি করে? আপনি যা খাওয়াবেন সেটাই তো ওই প্রাণীগুলো আপনার উপরে বিশ্বাস করে খেয়ে নেবে। তাই ওদের হয়ে আমিই এই দায়িত্বটা নিয়েছি। অন্তত বাংলাদেশে যারা বিড়াল পালনের জন্য প্রতিমাসে প্যাকেট প্যাকেট এই সব বিষ কেনেন, কিনে গর্বের সাথে আবার সেগুলো সোস্যাল মিডিয়াতে, গ্রুপে শেয়ার করেন, তাদের সবাইকে আমি জানিয়ে দেবো। তার পরে মানা না মানা সেটা আপনার একান্ত ব্যাক্তিগত বিষয়।

আমি জানি আপনাদের অনেক প্রশ্ন আছে, আমার পক্ষে বিপক্ষে অনেক প্রশ্ন। এবার আমি আপনাদের প্রশ্নের উত্তর দেবো। সবার বিভিন্ন প্রশ্নের… আপনার প্রশ্নটির উত্তর এখান থেকে খুঁজে নিন…

প্রশ্নঃ ১ – আপনি কিভাবে বলেন ক্যাটফুড ক্ষতিকর? আপনি কি ভেট?
উত্তরঃ না আমি কোন ভেট নই। আমার চৌদ্দগুষ্টির মধ্যেও কোন ভেট নেই। কিন্তু আমার বিড়ালটা মারা যাওয়ার পরে আল্লাহ্ আমাকে বিড়াল বিশেষজ্ঞ বানিয়ে দিয়েছেন। আমাকে এমন কিছু জ্ঞান দান করেছেন যে সব জ্ঞান হয়ত অনেক ভেটের কাছেও নেই। তাই কোন ভেট কি বললো না বললো সেটাতে আমার কিছু যায় আসে না। আর ক্যাট ফুড কেন ক্ষতিকর সেটা আমি অলরেডি উপরে বলে দিয়েছি।


প্রশ্নঃ ২ – আমার ভেট আমাকে ক্যাটফুড খাওয়াতে বলে, আর আপনি বলেন এটা ক্ষতিকর, আপনি কি ভেটের থেকেও বেশী জানেন?

উত্তরঃ ভেটের থেকে বেশী জানি কি না সেটা কোন বিষয় না, আর ভেটই যে সব কিছু জানে পশুপাখির বিষয়ে এ কথাটাও সত্যি না। আপনাদের অনেকের বিড়ালের ভুল ট্রিটমেন্ট এর কারণে মারা গেছে এমন অনেক উদাহরণ পাওয়া যাবে, তাহলে ভেট সব সময় ঠিক সেটা আপনি কিভাবে বলেন? দেশে অবশ্যই অনেক ভালো ভেট আছে, কিন্তু কিছু ভেট এমনও আছে যারা পেটের দায়ে ভেট হয়েছে, পশুপাখির প্রতি কোন ভালোবাসা নেই। আর জ্ঞানের অভাবও আছে অনেকের, তাই যে দেশে ডাক্তারের ভুল চিকিৎসায় মানুষ মারা যায়, সে দেশে আপনি একটা পশু চিকিৎসকের কথা বিশ্বাস করবেন? বিশ্বাস করা ভালো তবে অন্ধ বিশ্বাস করা ভালো না। আপনার ভেট যদি ক্যাটফুডের পক্ষে কথা বলে তাহলে বুঝতে হবে হয় তিনি এ বিষয়ে জানেন না, জ্ঞানের অভাব রয়েছে তার, আর না হয় সে কোন ক্যাটফুড বিক্রির দালাল। এছাড়া আর কিছুই হতে পারে না।

প্রশ্নঃ ৩ – আপনার বিড়াল কি ব্র্যান্ডের ক্যাটফুড খেতে খেতে মারা গেছে?
উত্তরঃ ভার্সেলে লাগা লারা ব্র্যান্ডের জুনিয়র ক্যাটফুড সব চেয়ে বেশী খেয়েছে। এছাড়াও স্মার্ট হার্ট নামের আর একটা ব্র্যান্ডেরও বেশ কয়েক প্যাকেট খেয়েছিল। হুইস্কাস এর কয়েক প্যাকেট ওয়েট ক্যাটফুডও খাইয়েছিলাম অনেক আগে একবার। তবে প্রতিটা ক্যাটফুডই বিড়ালের জন্য ক্ষতিকর। সব গুলোর ফরমুলা একই এবং সমান ভাবে বিড়ালের পাকস্থলী নষ্ট করার জন্য যথেষ্ট।


প্রশ্নঃ ৪ – আমি আমার বিড়ালকে অনেক দিন ক্যাটফুড খাওয়াচ্ছি, কই আমার বিড়াল তো মরেনি? ও তো সুস্থ্য আছে?

উত্তরঃ হ্যা আপনার বিড়াল মরেনি, কিন্তু আপনার বিড়াল যে সুস্থ্য আছে সেটা আপনি কিভাবে বলেন? আমার বিড়াল মারা যাওয়ার আগেও একেবারে সুস্থই ছিল, কিন্তু হঠাত করে অসুস্থ্য হয়ে ৫ দিনের মাথায় মারা গেল। এখন আপনার বিড়াল এর কিডনী বা পাকস্থলী কতো ভাগ ভালো আছে সেটা তো আর আপনি বাইরে থেকে বলে দিতে পারেন না, এমনকি কোন ভেট দেখেও বলতে পারবে না, এর জন্য বিভিন্ন টেস্ট করা প্রয়োজন। তাই হয়ত আপনি ভাবছেন আপনার বিড়াল ভালো আছে, কারণ কিডনী ও পাকস্থলী শতকরা ৯০ ভাগ নষ্ট হয়ে গেলেও কাজ করে, এটা না জেনে থাকলে গুগলে সার্চ করে জেনে আসুন। কিন্তু যখনই ৯০% পার হয়ে যাবে নষ্টের মাত্রা তখন তো আর তাকে বাচানো যাবে না। সময় থাকতে সাবধান হয়ে যান, বিড়ালের ক্যাটফুড পরিহার করুন যদি আপনি আপনার বিড়ালকে ভালোবেসে থাকেন।

প্রশ্নঃ ৫ – আপনার বিড়াল তো ৭ মাসে মারা গেল, আমি আমার বিড়ালকে ২ বছর যাবত ক্যাটফুড খাওয়াচ্ছি, সে এখনো ভালো আছে।
উত্তরঃ আমার বিড়াল ৭ মাসে মারা গেছে কারণ আমি তাকে শুধুই ক্যাট ফুড খাইয়েছি, অন্য কোন খাবার না, ড্রাই ক্যাট ফুড। কিন্তু অনেকে আছে যারা প্রতিবেলায় ক্যাটফুড খাওয়ায় না, হয়ত ১ বেলা বা ২ বেলা, আবার পরিমানে অল্প খাওয়ায়। আবার অনেকে ক্যাটফুডের সাথে অন্য খাবার মিশিয়ে খাওয়ায়। তাদের ক্ষেত্রে ক্ষতিটা তুলনামূলক ভাবে কম হবে। এর জন্য বেশী দিন বেঁচে থাকতে পারে বিড়াল, কিন্তু তার পাকস্থলী কতো ভাগ ভালো আছে সেটা তো আপনি বলতে পারবেন না। আল্লাহ না করুক, যদি কিছুদিন পরেই আপনার বিড়াল সিরিয়াস ড্যামেজের সম্মুক্ষিন হয় তখন কি করবেন? তখন কিন্তু কোন ভেট কেন? ভেটের বাবা আসলেও আপনার বিড়াল বাচঁবে না, পাকস্থলী বা কিডনীর নষ্ট হওয়া রোগের কোন চিকিৎসা নেই বিড়ালের জন্য।


প্রশ্নঃ ৬ – আমার বিড়াল তো ক্যাটফুড ছাড়া আর কিছু খায়না, তাকে আমি অন্য খাবার কিভাবে অভ্যাস করাবো?

উত্তরঃ আপনার বিড়াল যদি ক্যাটফুড ছাড়া আর অন্য কোন খাবার খেতে না চায় তার মানে তার অবস্থাও আমার বিড়ালের মতোই। আমার বিড়াল নিকও তো অন্য কিছু খেতে চাইতো না। আর এর জন্য আমি চেষ্টাও করিনি অন্য কিছু খাওয়ানোর, কিন্তু আমি যদি জানতাম যে তার জন্য ঐ ক্যাটফুড ক্ষতিকর তাহলে তাকে আমি ক্যাটফুড না দিয়ে জোর করে অন্য খাবার দিতাম। সিরিঞ্জ দিয়ে খাবার নরম করে মুখে ঢুকিয়ে দিতাম। কয়েকবার এমন করলে সে ধীরে ধীরে স্বাদ পাওয়ার পরে নিজে থেকেই অন্য খাবার খাওয়া শুরু করতো।

প্রশ্নঃ ৭ – কখনও তো শুনিনি ক্যাটফুডের জন্য বিড়াল মারা যায়…
উত্তরঃ বিড়াল মারা গেলে সবাই তো মাইকিং করে বেড়ায় না, আমি না হয় সবাইকে বলছি আমার বিড়াল মারা গেছে, কারণ সেটাতে সবার ভালোর কথা ভেবে। যেন অন্যরা সাবধান হতে পারে। কিন্তু সবাই তো সেটা নাও করতে পারে। এমনকি অনেকে জানেও না তার বিড়াল হঠাত কেন মারা গেল। মরে গেলে ফেলে দেয় বা মাটি চাপা দিয়ে দেয়। অতকিছু গবেষণা করে কতোজন যে কেন মারা গেল? তাই না ‍শুনেই থাকতে পারেন। তবে কোন দিন শোনেন নাই বলে যে সেটা ঘটবে না বা ঘটতে পারে না এটা তো নাস্তিকের মতো কথা। আশাকরি বুঝতে পেরেছেন।

প্রশ্নঃ ৮ – বিড়ালকে ক্যাটফুড খাওয়াবো না তো কি খাওয়াবো? আমার তো সময় নেই আমি অফিস করি। ক্যাটফুড আছে বলেই বিড়াল পালছি, না হলে পালতাম না…
উত্তরঃ এটাই যদি কারণ হয় তবে আপনার বিড়াল পোষাটা উচিতও না। আপনি আপনার বিড়ালকে সময় দিতে না পারলে সেটা কাউকে অ্যাডাপশনে দিয়ে দেন, একটা বিড়ালের জীবন নষ্ট করার কোন অধিকার আপনার নেই। আর কি খাওয়াবেন? হালকা লবন হলুদ দিয়ে মাছ বয়েল করে ভাত দিয়ে মাখিয়ে দেন, আপনার বিড়ালের জন্য এটাই সব চেয়ে নিরাপদ খাবার, তাছাড়া আরো খাবার আছে। ইন্টারনেট সার্চ করে রেসিপি খুজে নিতে পারেন। আর যদি এতটুকুও না পারেন, ভদ্র ভাবে বলছি, বিড়ালটাকে অ্যাডাপশনে দিয়ে দেন। কিন্তু ক্যাটফুড খাইয়ে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেবেন না।


প্রশ্নঃ ৯ – আমি আমার বিড়ালকে ক্যাটফুডই খাওয়াবো, আপনার কোন সমস্যা?
উত্তরঃ জ্বী না, আমার কোন সমস্যা নেই। আমার কাজ ছিল আপনাকে জানানো, আমি আমার কাজ কমপ্লিট করেছি। আপনাকে জানিয়ে দিয়েছি। এখন মানা না মানা আপনার ব্যাপার।

তবে আপনারা যারা আমার এই লেখাটা পড়ছেন তারা অনেক ভাগ্যবান, আমি আপনাদের মতো এত ভাগ্যবান ছিলাম না, আমার বিড়ালটা মারা যাওয়ার আগে এরকম কোন লেখা পড়তে পারলে হয়ত আমার বিড়ালটা আজ বেঁচে থাকতো। আমার বিড়ালের জন্য দোয়া চেয়ে তো লাভ নেই, কারণ পশুপাখির কোন হিসেব নেবেন না আল্লাহ্ । তাই আমার জন্য দোয়া করবেন। যেন বাংলাদেশের সব বিড়ালপ্রেমীদের ক্যাটফুডের ব্যপারে সচেতন করে তুলতে পারি।


সব শেষে আপনাদের আবার বলবো, আপনার বিড়ালকে যেকোন ধরনের ড্রাই বা ওয়েট ক্যাটফুড খাওয়ানো থেকে বিরত থাকুন। কারণ সব কেমিকেল দেওয়া খাবার। মানুষ এতটাই খারাপ এই দুনিয়াতে যে মানুষ হয়ে আর একটা মানুষকে ভেজাল খাবার দেয়, খাবারে কেমিকেল দেয়, রং মেশায় আর বিড়ালের খাবারে যে মিশাবে না এটা কি ভাবা যায়? ওটাতে তো আরো বেশী মেশাবে, বিড়াল তো প্রতিবাদ করতে পারবে না। তাই, কখনও টাকা খরচ করে আপনার অদরের বিড়ালের জন্য বিষ কিনবেন না যেটা ধীরে ধীরে আপনার বিড়ালকে মৃত্যুর দিকেই নিয়ে যাবে। মানুষ কে এটা জানান, ক্যাটফুড পরিহার করুন।










লেখাটি আপনার বিড়ালপ্রেমী বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন।

ফেসবুকে আমিঃ মোঃ কামরুজ্জামান কনক

সর্বশেষ এডিট : ১২ ই মার্চ, ২০১৯ রাত ১১:৫৬
৩টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

সবুজ চোখের মানুষের ধাঁধা

লিখেছেন করুণাধারা, ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:২৯



এই ধাঁধার নাম সবুজ চোখের মানুষের ধাঁধা; নিচের লিংকে এটার ভিডিও আছে।

স্বৈরশাসকের বন্দী

এই ধাঁধাটি আমার ভালো লেগেছিল, তাই অনেক আগে আমার একটা পোস্টে এই ধাঁধাটি দিয়েছিলাম। কিন্তু সেই পোস্টে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বৃদ্ধাশ্রম।

লিখেছেন নাহল তরকারি, ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:১৬



আগে ভিডিওটি দেখে নিন।

মনে করেন, এক দেশে এক মহিলা ছিলো। একটি সন্তান জন্ম দেবার পর তার স্বামী মারা যায়। পরে সেই মহিলা পরের বাসায় কাজ করে সন্তান কে... ...বাকিটুকু পড়ুন

টের পেলে

লিখেছেন সাইফুলসাইফসাই, ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:৫৭

টের পেলে
সাইফুল ইসলাম সাঈফ

টের পেলে গুটিয়ে যায় লজ্জাবতী/ পরিপূর্ণ যৌবনে যুবতীর নিখুঁত অনুভূতি। আমার চাওয়া, ইচ্ছে, স্বপ্ন! আমার পছন্দ বুঝদার, সুন্দর হৃদয়ের রূপ! সৌন্দর্য সুন্দর যা চিরন্তন সত্য। কিন্তু সেটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইসলামের চার খলিফার ধারাবাহিকতা কে নির্ধারণ করেছেন?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১০:৩৭




সূরাঃ ৩ আলে-ইমরান, ২৬ নং আয়াতের অনুবাদ-
২৬। বল হে সার্বভৈৗম শক্তির (রাজত্বের) মালিক আল্লাহ! তুমি যাকে ইচ্ছা ক্ষমতা (রাজত্ব) প্রদান কর এবং যার থেকে ইচ্ছা ক্ষমতা (রাজত্ব)... ...বাকিটুকু পড়ুন

প্রতিদিন একটি করে গল্প তৈরি হয়-৩৭

লিখেছেন মোঃ মাইদুল সরকার, ০১ লা মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৫১




ছবি-মেয়ে ও পাশের জন আমার ভাই এর ছোট ছেলে। আমার মেয়ে যেখাবে যাবে যা করবে ভাইপোরও তাই করতে হবে।


এখন সবখানে শুধু গাছ নিয়ে আলোচনা। ট্রেনিং আসছি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×