somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

নিবন্ধনে অনলাইন গণমাধ্যম, ঝুলছে নীতিমালা !

১৭ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৩৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আগামী দিনের গণমাধ্যম হিসেবে রেডিও, টেলিভিশন এবং সংবাদপত্রের জনপ্রিয়তাকেও ছাড়িয়ে যাবে অনলাইন গণমাধ্যম। কিন্তু বাংলাদেশে এই মাধ্যমটির আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি নেই, নেই কোনো নীতিমালাও।

এদিকে অনলাইন পত্রিকাগুলোকে আগামী ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে নির্ধারিত নিয়ম অনুযায়ী নিবন্ধনের জন্য আবেদনের কথা জানিয়েছে তথ্য অধিদফতর। সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের দেওয়া কাগজপত্র এবং সরেজমিন যাচাই করে অধিদফতর সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের নিবন্ধন দেবে। তথ্য অধিদফতর তথ্য মন্ত্রণালয়ের আওতাভুক্ত একটি প্রতিষ্ঠান।

সরকার কয়েক বছর ধরে অনলাইন পত্রিকার জন্য নীতিমালা প্রণয়নের কথা বললেও আলোর মুখ দেখছে না সেটি। নীতিমালার আলোকে অনলাইন গণমাধ্যম নিবন্ধিত হওয়ার মাধ্যমে মূল ধারার গণমাধ্যমের স্বীকৃতি আশা করছিল সংশ্লিষ্টরা।

এই বিষয়ে তথ্য সচিব মরতুজা আহমদ দ্য রিপোর্ট টুয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ‘অনলাইন গণমাধ্যমকে শক্তিশালী করতে হলে সরকারি সুযোগ-সুবিধা তাদের পাওয়া দরকার। একই সঙ্গে নতুন প্রতিষ্ঠিত একটি খাতের নিয়ম-কানুন থাকা জরুরি। অনেকে এর অপব্যবহারও করেন। সামগ্রিকভাবে বিষয়গুলো বিবেচনায় নিয়ে আমরা এই উদ্যোগ নিয়েছি’।

সরকার বলছে, ‘দেশের অনলাইন পত্রিকার প্রকাশকদের পত্রিকা প্রকাশের ক্ষেত্রে সরকারি সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা এবং অপসাংবাদিকতা রোধ করার লক্ষ্যে সরকার অনলাইন পত্রিকা নিবন্ধন কার্যক্রম চালু করেছে।’

সরকারের এই উদ্যোগের বিষয়ে অনলাইন নীতিমালার খসড়া উপ-কমিটির আহ্বায়ক ও বিশিষ্ট প্রযুক্তিবিদ মোস্তাফা জব্বার দ্য রিপোর্টকে বলেন, ‘কোনো কিছুই না থাকার চেয়ে একটা নিয়ম থাকা তো ভালই মনে হয়।’

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তথ্য মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, অনলাইন নীতিমালা প্রণয়ণের পরই নিবন্ধনের পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু, সরকারের উচ্চ পর্যায় থেকে এই বিষয়ে নির্দেশনা আসায় একটু তাড়াতাড়ি করেই নিবন্ধনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে তথ্য মন্ত্রণালয়।

গণমাধ্যম হিসেবে নতুন প্রতিষ্ঠিত এই খাতটির সরকারি স্বীকৃতি না থাকায় অনলাইন পত্রিকাগুলো গণমাধ্যমকেন্দ্রিক সরকারি সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। অপরদিকে নিয়ন্ত্রণহীনভাবে ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে উঠছে অনলাইন পত্রিকা। ফলে, গুণগত মান বজায় থাকছে না। অভিযোগ আছে অপসাংবাদিকতারও।

জানতে চাইলে অতিরিক্ত প্রধান তথ্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইসতাক হোসেন দ্য রিপোর্টকে বলেন, ‘আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে অনলাইন নীতিমালা হয়ে যাবে বলে আশা করি। তাই আবেদন হাতে পেলে তখন নীতিমালার আলোকেই নিবন্ধ দিতে পারব আমরা।’

ঝুলছে নীতিমালা

চলতি বছরের ২১ জুলাই একটি খসড়া নীতিমালা (জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা-২০১৫) তথ্য মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে আপলোড করে ১২ আগস্টের মধ্যে সর্বসাধারণের মতামত চাওয়া হয়েছিল। প্রথম দফায় কেউ মতামত না দেওয়ায় দ্বিতীয় দফায় ৩১ আগস্ট এবং তৃতীয় দফায় ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মেয়াদ বৃদ্ধি করা হলেও আশানরূপ সাড়া পাওয়া যায়নি বলে মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে।

এই বিষয়ে মন্তব্য জানতে চাইলে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের সম্পাদক তৌফিক ইমরোজ খালিদী দ্য রিপোর্টকে বলেন, ‘সংবাদ প্রকাশক যেই হোন তার নিবন্ধন থাকা বাঞ্ছনীয়। সব সংবাদ প্রকাশক ও সম্প্রচারকারী একই আইনী কাঠামো ও একই নীতিমালার অধীনে পরিচালিত হবে এটিই সহজ ও স্বাভাবিক যুক্তি।’

তিনি আরও বলেন, ‘‘ বিশ্বব্যাপী সংবাদ প্রকাশকদের সংগঠনটি এখন ‘ওয়ার্ল্ড এ্যাসোসিয়েশন অব নিউজপেপারস এন্ড নিউজ পাবলিশার্স’ নামে পরিচিত। আগে এটি ছিল ‘এ্যাসোসিয়েশন অব নিউজপেপারস’ নামে। তো বিষয়টি হচ্ছে, কেউ ছাপিয়ে সংবাদ প্রকাশ করছে আর কেউ ইন্টারনেটে সংবাদ প্রকাশ করছে। সংবাদ প্রকাশের মাধ্যমের বিকাশ ঘটছে। ব্যাপারটি বিস্তারিত বলার কারণ, আমাদের এখানে যারা এই বিষয়গুলি নিয়ে কাজ করছে তারা এই ধারণার সঙ্গে কতখানি পরিচিত তা নিয়ে আমার সন্দেহ আছে।’

তথ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত শাখা সূত্রে জানা গেছে, অনলাইনে সর্বসাধারণের কাছ থেকে মূলত কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি। তবেবিভিন্ন মন্ত্রণালয় থেকে বেশ কিছু মতামত তারা পেয়েছেন। এখন সেগুলো বিবেচনায় নিয়ে নীতিমালা চূড়ান্ত করার কথা চিন্তা করছে তথ্য মন্ত্রণালয়।

অনলাইন গণমাধ্যমের নিবন্ধনের বিষয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন অতিরিক্ত সচিব মাহবুবুর রহমান। তিনি দ্য রিপোর্টকে জানান, ‘অনলাইন গণমাধ্যমের নামে অনেকে উল্টাপাল্টা লেখালেখি করছে। দায়িত্বশীল প্রতিষ্ঠানগুলো ভালভাবে কাজ করুক সরকার সেটাই চায়। এজন্য এই উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এতে পেশাদারী প্রতিষ্ঠানগুলোর আতঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই।’
সংগ্রহ- দ্য রিপোর্ট২৪ এর বিশেষ সংবাদ পেজ থেকে।
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৩৮
১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ব্লগে বিরোধী মতের কাউকে নীতি মালায় নিলে কি সত্যি আনন্দ পাওয়া যায়।

লিখেছেন লেখার খাতা, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:১৮

ব্লগ এমন এক স্থান, যেখানে মতের অমিলের কারণে, চকলেটের কারণে, ভিন্ন রাজনৈতিক মতাদর্শের কারণে অনেক তর্কাতর্কি বিতর্ক কাটা কাটি মারামারি মন্তব্যে প্রতিমন্তব্যে আঘাত এগুলো যেনো নিত্য নৈমিত্তিক বিষয়। ব্লগটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

সিকান্দার রাজার চেয়ে একজন পতিতাও ভালো।

লিখেছেন ...নিপুণ কথন..., ০৪ ঠা মে, ২০২৪ রাত ৮:০৭

সিকান্দার রাজা কোকের বোতল সামনে থেকে সরিয়ে রাতারাতি হিরো বনে গেছেন! কিন্তু তাকে যারা হিরো বানিয়েছেন, তারা কেউ দেখছেন না তিনি কত বড় নেমকহারামি করেছেন। তারা নিজেদেরকে ধার্মিক বলে দাবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ব্লগার'স ইন্টারভিউঃ আজকের অতিথি ব্লগার শায়মা

লিখেছেন অপু তানভীর, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ রাত ১১:০৫



সামুতে ব্লগারদের ইন্টারভিউ নেওয়াটা নতুন না । অনেক ব্লগারই সিরিজ আকারে এই ধরণের পোস্ট করেছেন । যদিও সেগুলো বেশ আগের ঘটনা । ইন্টারভিউ মূলক পোস্ট অনেক দিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

...এবং উচ্চতায় তুমি কখনই পর্বত প্রমাণ হতে পারবে না

লিখেছেন নতুন নকিব, ০৫ ই মে, ২০২৪ সকাল ৮:৫৬

...এবং উচ্চতায় তুমি কখনই পর্বত প্রমাণ হতে পারবে না

ছবি কৃতজ্ঞতাঃ অন্তর্জাল।

ছোটবেলায় মুরব্বিদের মুখে শোনা গুরুত্বপূর্ণ অনেক ছড়া কবিতার মত নিচের এই লাইন দুইটাকে আজও অনেক প্রাসঙ্গিক বলে মনে হয়।... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমেরিকার গ্র্যান্ড কেনিয়ন পৃথিবীর বুকে এক বিস্ময়

লিখেছেন কাছের-মানুষ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৪১


প্রচলিত কিংবদন্তি অনুসারে হাতে গাছের ডাল আর পরনে সাধা পোশাক পরিহিত এক মহিলার ভাটাকতে হুয়ে আতমা গ্র্যান্ড কেনিয়নের নীচে ঘুরে বেড়ায়। লোকমুখে প্রচলিত এই কেনিয়নের গভীরেই মহিলাটি তার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×