দেশে থাকলে মাথায় কি যেন এক চিন্তা কাজ করে, অমুকে আজ ইউ.কে গেল, ইউনিতে পড়াশোনা করে ভব্যিষতে কিছু হবে না, পুরানো সিলেবাস...ইত্যাদি ইত্যাদি রোগ আমাদের গ্রাস করে। সিদ্ধান্ত: বিদেশে যাত্রা।
আমাদের তালিকাটা দীর্ঘ ছিল।
১. ইউ.কে।
২.অ্যায়ারল্যান্ড (যেটা আমার মোটেও পছন্দ ছিল না)।
৩. অস্ট্রেলিয়া।
আমার বন্ধুদের খুব আগ্রহ ইউ.কে নিয়ে। ডলার নয়, হাজার হোক, পাউন্ড বলে কথা; সে সময় আমরা সারাদিন ভাবি, কিভাবে টিউশন ফি'স দেয়া যাবে। আমার এক বন্ধু বলে আমি ১৮/২০ ঘন্টা কাজ করবো। কারণ, আমাদের একাডেমীক ক্যারিয়ার ওমন নয় যে, স্কলারশীপ আমাদের কপালে জুটবে, হাতে ক্যালকুলেটর পেলেই হিসাব এতো ইনটু এতো।
সে যা হোক, আমার ভূমিকা ওদের পিছন পিছন। ওরা আগে এগিয়ে যায়, ভিসা প্রায়ই হয়েই যায় অবস্থা, হঠাৎ সবকিছু বিগড়ে যায়। আমার কথা ছিল আমি পরের সেমিস্টারে আসছি। তাই লিস্ট থেকে বাদ যায় ইউ.কে।
ওরা পরবর্তী দেশ অ্যায়ারল্যন্ডের জন্যে আদাজল খেয়ে নামে মাঠে। আমি ভিন্ন পথ ধরি। ততদিনে ওয়েবে ঘাটাঘাটি করতে করতে ক্যাঙ্গারু-এর প্রেমে পড়ে যাই। ওদিকে ওদের অ্যায়ারল্যান্ড যাত্রাও ব্যর্থ হলো।
ওরা কেউ সফল হতে না পারলেও আমি শেষ পর্যন্ত বিমানে উড়তে সফল হই। আমার বিমান আমাকে নিয়েChangi (SIN) Airport Singapore থেকে Sir Charles Kingsford Smith, Sydney নামিয়ে দেয়। শুরু হয় আমার প্রবাস জীবন।
------------------
ছবি টি http://www.sayangholidays.com থেকে নেয়া।
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে জুন, ২০০৭ সকাল ৮:৩৭