somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

হাসপাতালে মেডিকেল রিপ্রেজেন্টেটিভদের দৌরাত্ব্য

১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:৪৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

গতকাল ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দেখলাম রোগিরা আউটডোরে ডাক্তার দেখিয়ে বেরোলেই একদল সু্যট-প্যান্ট পরা লোক তাদের ছেঁকে ধরছেন। তারা রোগির ব্যবস্থাপত্রটি দেখতে চাইছেন। উদ্দেশ্য যে কী, তা বুঝতে কারো এক মিনিটও লাগার কথা নয়। লোকগুলো বিভিন্ন ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানীর বিক্রয় প্রতিনিধি। ভদ্র ভাষায় মেডিকেল রিপ্রেজেন্টেটিভ। তাদের চাপে ও দৌরাত্বে কিংবা প্রলোভনে ডাক্তাররা বাধ্য হচ্ছেন রোগিদের বিভিন্ন ধরনের ওষুধ লিখে দিতে। এর অনেকগুলো অপ্রয়োজনীয় বলেও অভিযোগ করে থাকেন রোগিরা। কিন্তু সরকারি হাসপাতাল চত্বরে এই মেডিকেল রিপ্রেজেন্টেটিভদের দৌরাত্ব্য কখনোই কাম্য নয়।

হাসপাতালে ডাক্তাররা সাংবাদিক দেখলে জোটবদ্ধ হয়ে আক্রমণ করতেও দ্বিধা করেন না। অথচ এই দালালরুপি মানুষগুলো দিব্যি হাসপাতালে ঘুরে বেড়ান। রোগিদের বিরক্ত করেন আর ডাক্তারদের চাপ দেন। এমনো দেখেছি, সরকারি হাসপাতালে বেসরকারি ডায়াগনেস্টিক সেন্টারের প্রতিনিধিরা ঘুরে ঘুরে বিভিন্ন টেস্ট করানোর জন্য স্যাম্পল সংগ্রহ করছেন। এ ব্যাপারে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করার আগ পর্যন্ত প্রশাসন চোখ-কান বুঁজে থাকেন। অথবা অর্থের অনেক শক্তি, যা তাদের চক্ষু এবং কর্ণকে বুজিয়ে রাখে।
যখন এ ব্যাপারে নিউজ করার জন্য তাদের কাছে সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিরা কমেন্ট জানতে চান তখন তারা মুখস্ত বুলি আওড়ান, 'এ ধরনের তৎপরতা এই হাসপাতালে নিষিদ্ধ। কেউ এরকম করছে বলে আমার জানা নেই। যদি কেউ করে থাকেন তাহলে তাকে খুঁজে বের করে উপযুক্ত শাস্তির ব্যবস্থা নেওয়া হবে।' আরে ভাই এই বস্তাপঁচা বুলি আর কত! ক্যামেরা হাতে সাংবাদিক হাসপাতালে ঢোকার সাথে সাথে যদি আপনার হাসপাতাল কতৃপক্ষের পেশাগত নৈতিকতা আর চেতনা জাগ্রত হয়ে ওঠে তাহলে এই দালালগুলো ঢোকার সময় কোথায় থাকে আপনার সিকিউরিটি গার্ড, সিসি ক্যামেরা আর আপনার কর্মকর্তা-কর্মচারিরা। সোজা বলে দিলেই হয়, এটা বৈধ তৎপরতা, ইহা চলবে। হয়তো চাখের চামড়া একটু কমবে এতে, কিন্তু শব্দের হঠকারিতা থেকে তো জনগন রক্ষা পাবে।

আর যদি সেটা না হয়, যদি সত্যিই স্বাস্থ্যসেবা খাতের কর্তারা সত্যিই সেবার মানসিকতা ধারন করেন তবে এই দালালদের দৌরাত্ব বন্ধ করা এক দিনের কাজ। ভাই আপনাদের হাতে ক্ষমতা আছে, কাজে লাগান। আর যতদিন না করবেন, কলম সৈনিকরা তো খোঁচাতেই থাকবে। যদিও জানি, আপনাদের চামড়া বেশ মোটা, খোঁচায় কিছুই হয়না।
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:৪৪
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

স্মৃতিপুড়া ঘরে

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৩০



বাড়ির সামনে লম্বা বাঁধ
তবু চোখের কান্না থামেনি
বালিশ ভেজা নীরব রাত;
ওরা বুঝতেই পারেনি-
মা গো তোমার কথা, মনে পরেছে
এই কাঠফাটা বৈশাখে।

দাবদাহে পুড়ে যাচ্ছে
মা গো এই সময়ের ঘরে
তালপাতার পাখাটাও আজ ভিন্নসুর
খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

গরমান্ত দুপুরের আলাপ

লিখেছেন কালো যাদুকর, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৫৯




মাঝে মাঝে মনে হয় ব্লগে কেন আসি? সোজা উত্তর- আড্ডা দেয়ার জন্য। এই যে ২০/২৫ জন ব্লগারদের নাম দেখা যাচ্ছে, অথচ একজন আরেক জনের সাথে সরাসরি কথা... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাজীব নূর কোথায়?

লিখেছেন অধীতি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:২৪

আমি ব্লগে আসার পর প্রথম যাদের মন্তব্য পাই এবং যাদেরকে ব্লগে নিয়মিত দেখি তাদের মধ্যে রাজীব নূর অন্যতম। ব্যস্ততার মধ্যে ব্লগে কম আসা হয় তাই খোঁজ-খবর জানিনা। হঠাৎ দু'একদিন ধরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বৃষ্টির জন্য নামাজ পড়তে চায়।

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৮



ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী গত বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে বৃষ্টি নামানোর জন্য ইসতিসকার নামাজ পড়বে তার অনুমতি নিতে গিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এটির অনুমতি দেয়নি, যার জন্য তারা সোশ্যাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

=তুমি সুলতান সুলেমান-আমি হুররাম=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৩৬



©কাজী ফাতেমা ছবি

মন প্রাসাদের রাজা তুমি, রাণী তোমার আমি
সোনার প্রাসাদ নাই বা গড়লে, প্রেমের প্রাসাদ দামী।

হও সুলেমান তুমি আমার , হুররাম আমি হবো
মন হেরেমে সংগোপনে, তুমি আমি রবো।

ছোট্ট প্রাসাদ দেবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×