তন্দ্রার খেয়ালে খোয়াব এসেছে চোখে,
খোয়াবে কেটে যাবে রাত।
রোজ রাতে এমনি হচ্ছে,
খোয়াবের ঘোর তবু কাটছে না।
খোয়াবে মগ্ন আমাদের সভ্যতা;
উচু দালানের খোয়াব, ফ্লাইওভারের খোয়াব,
মার্সিডিজ আর সেডানের খোয়াব,
সকাল থেকে সন্ধ্যা অবধি খোয়াবের আবেশ-
পাঁচ তারকার ঝলমলে রাতের খোয়াব,
সুরাপাত্রে উথলানো বর্ণীল স্বপ্নের খোয়াব,
খোয়াবে ভেসে রাত্রি যৌবন পেরিয়ে আসে মধ্যরাত-
আত্মার টেবিলে টেবিলে ভেসে চলে
খোয়াবের সুরাপাত্র।
শুধু মাঝে মাঝে আমাদের তাসের টেবিলে
ধ্বসে পড়ে ফ্লাইওভার কিংবা জীর্ণ সেতু,
কিংবা আমাদের বারবিকিউ পার্টিতের আগুনের মাঝে
ঝলসে ওঠে গার্মেন্টেসে লাগা আগুন,
অথবা কলমপেষা সাংবাদিকদের খুশি করতে
পুলিশ পিছু নেয় দামি গাড়ির ট্যাক্সের জন্য
তখন আমাদের খোয়াব ভগ্ন হয়।
তবে সেটা খুব অল্প সময়ের জন্যই;
কিন্তু তারপর ভোরের নিদ্রা শেষে
আবার খোয়াবে জাগি আমরা,
খোয়াবের খেল চলে দশটা থেকে মাঝরাত অবধি।
আমাদের খোয়াবে গড়া লোহার টুকরোয় চাপাপড়ে
নিহত হয় রাব্বি আহমেদের মত কতিপয় ঝাপসা নাম,
আমাদের খোয়াবের দালানগুলো তাজরিন হয়ে ঝলসায়,
আমাদের লোভের চাপে ভেঙে পড়ে রানা প্লাজা,
আমরা তবু খোয়াবে থাকি মগ্ন
পোর্টে নতুন গাড়ি আসে,
নতুন ফ্লাইওভারের টেন্ডার ডাকি
আরো দশটা নতুন গার্মেন্টসে কাজে আসে
আধুনিক দাস-দাসীর দল
ওদের ঘামের জ্বালানীতে-
ঘুরে চলে আমাদের খোয়াব গাড়ির চাকা।।
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪৮