শীতকে অনেকে ভালোবাসে, তাই অল্প একটু শীত পড়তে না পড়তেই বাহারি সব জামাকাপড় পরে অনেকে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। কিন্তু আসল শীত যেখানে পড়ে, তেমন একটি দেশ ফিনল্যান্ড। ফিনল্যান্ডের শীত আর আমাদের শীতের সঙ্গে তুলনা করা অহেতুক। আসুন বরং দেখে নেওয়া যাক, পৃথিবীর অন্যান্য শীতপ্রধান দেশের ফিনল্যান্ডের তুলনা
+১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস: স্প্যানিশরা ক্যাপ, হাতমোজা আর কোট পরে। ফিনল্যান্ডের লোকজন তখন সূর্যস্নানে ব্যস্ত।
+১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস: ফরাসিরা সেন্ট্রাল হিটিং সিস্টেম অন না করে পারে না। সে সময় ফুলগাছ রোপণে মনোযোগ দেয় ফিনল্যান্ডের অধিবাসীরা।
০ ডিগ্রি সেলসিয়াস: বিশুদ্ধ পানি বিশুদ্ধ বরফে রূপান্তরিত হয়। ফিনল্যান্ডের নদী ভানতার পানি খানিকটা পুরু হতে শুরু
করে কেবল।
-১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস: স্কটিশরা বাসায় বসে থাকে গরম থাকার আশায়। ফিনল্যান্ডের লোকজন কেবল ফুলহাতা শার্ট পরতে শুরু করে।
-২০ ডিগ্রি সেলসিয়াস: খুব বেশি দরকার না হলে সুইডিশরা ঘরেই বসে থাকে। শীতের শেষ বারবিকিউটা করে ফেলে ফিনরা।
-৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস: গ্রিসের অর্ধেক মানুষই জমে যায় তীব্র শীতে। ফিনল্যান্ডের লোকেরা ঘরের কাপড়চোপড় শুকাতে
শুরু করে সেই সময়টায়।
-৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস: শ্বেত ভালুকরা উত্তর মেরুতে চলে যেতে শুরু করে। ফিনিস সেনাবাহিনী শুরু করে শীতকালীন অনুশীলন।
-৭০ ডিগ্রি সেলসিয়াস: সাইবেরিয়ার লোকজন মস্কোর দিকে চলে যায়। ঘরের বাইরে পানীয়র বোতল রাখা যায় না বলে ফিনল্যান্ডের লোকজনের মন-মেজাজ হয় ভীষণ খিটমিটে।
-২৭৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস: পুরোপুরি জমে যাওয়া যাকে বলে! ওদিকে ফিনরা তখন বলে, ‘বাইরে সত্যিই ঠান্ডা পড়েছে!
-৩০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস: শীতের কারণে চারপাশ মৃতপ্রায়। ফিনল্যান্ড তখন ফুটবল বিশ্বকাপ জেতে।
পুত্তুম আলু
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১২ বিকাল ৩:১৮