somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

জাপানী রিকন্ডিশন্ড গাড়ি আমদানি নিষিদ্ধ হচ্ছে ।

১৮ ই জুলাই, ২০১১ সকাল ১১:২১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

৩ বছরের বেশি বয়সী জাপানী গাড়ি আমদানির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে যাচ্ছে সরকার। এ ব্যাপারে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের শুল্ক, নীতি ও বাজেট শাখা থেকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে চিঠি দেয়া হয়েছে।
সংশিস্নষ্ট সূত্র মতে, এ সিদ্ধানত্মের কারণে প্রতিটি গাড়ি আমদানির পেছনে ৪৮ হাজার টাকা ব্যয় বেড়ে যাবে। অপরদিকে রিকন্ডিশন্ড গাড়ির আমদানিকারকরা মনে করছেন, এখনও যদি বয়সসীমা কিছুটা শিথিল করা হয়, তা হলে মধ্যবিত্তরা ৫ থেকে ৬ লাখ টাকার মধ্যে ভাল মানের জাপানী গাড়ি কিনতে পারবেন। কিন্তু সরকার সেই ব্যবস্থা না করে যদি বয়সসীমা ৩ বছর নির্ধারণ করে, তা হলে জাপানী গাড়ি আমদানি প্রায় বন্ধের উপক্রম হবে। এতে করে দেশে চীন ও ভারতের নিম্নমানের গাড়ির ভাগাড়ে পরিণত হবে ।
এ ব্যাপারে বাংলাদেশ রিকন্ডিশন্ড ভেহিক্যাল্স ইম্পোর্টার্স এ্যান্ড ডিলার্স এ্যাসোসিয়েশনের (বারভিডা) সাধারণ সম্পাদক মোঃ আব্দুল হামিদ শরীফ জানান, এ অবস্থায় জাপানী গাড়ির আমদানিকারকরা বাংলাদেশে জাপানী রিকন্ডিশন্ড বাজার ধরে রাখার ব্যাপারে শঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। এটি করা হলে এ দেশে জাপানী রিকন্ডিশন্ড গাড়ির বাজার শুধু মধ্যবিত্তই না, উচ্চবিত্তদেরও নাগালের বাইরে চলে যাবে। সরকারের এ সিদ্ধানত্মের কারণে জাপানী গাড়ির দাম আরেক দফা বেড়ে যাবে। অন্যদিকে এর বয়সসীমা ৩ বছর নির্ধারণের কারণে জাপান থেকে রিকন্ডিশন্ড গাড়ি আমদানির পরিমাণ বহুগুণ কমে যাবে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বর্তমান আমদানি নীতিমালা অনুযায়ী জাপান থেকে সর্বোচ্চ ৫ বছরের পুরনো রিকন্ডিশন্ড বা ব্যবহৃত গাড়ি আমদানি করা যায়। এক সময় জাপান থেকে যে কোন বয়সের গাড়ি আমদানি করা যেত। অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, রাশিয়াসহ বিশ্বের প্রায় ১৮৫টি দেশ এখনও পর্যনত্ম জাপান থেকে যে কোন বয়সের রিকন্ডিশন্ড গাড়ি আমদানি করে। বিগত কয়েকটি সরকার একাধিক দফায় জাপানী গাড়ি আমদানির বয়সসীমা কমিয়েছে। সর্বশেষ ৫ বছর করা হয়েছিল। এখন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের এ নির্দেশনার কারণে ৩ বছরের বেশি পুরনো গাড়ি আমদানি করা যাবে না। এ কারণে ইতোমধ্যে জাপানের নিলাম মার্কেটেই বাংলাদেশে রফতানির উপযুক্ত গাড়ির মারাত্মক সঙ্কট সৃষ্টি হচ্ছে। আর এতে গাড়িগুলোর নিলাম মূল্যও অস্বাভাবিক হারে বাড়ছে। যার প্রভাব ইতোমধ্যে দেশের বাজারে পড়তে শুরম্ন করেছে। সে কারণে অদূরভবিষ্যতে ঢাকার বাজারে পেঁৗছানোর পর এসব গাড়ি উচ্চ মধ্যবিত্তদেরও নাগালের বাইরে চলে যাবে।
বড় অঙ্কের টাকা বিনিয়োগ করে ক্রেতা যাতে কোনভাবেই প্রতারিত না হন তার জন্যই অর্থমন্ত্রী এটি করেছেন।
এদিকে অভিযোগ রয়েছে, জাপান থেকে রিকন্ডিশন্ড গাড়ি আমদানির প্রক্রিয়াকে ঘিরে অপর একটি স্বার্থান্বেষী চক্র প্রায় ১৪৬ কোটি টাকার কমিশন বাণিজ্য হাতিয়ে নেয়ার লৰ্যে এ আদেশ জারি করানোর চেষ্টা করছে। এ চক্রটি জাপান থেকে গাড়ি আমদানির ক্ষেত্রে দীর্ঘদিনের মান নিয়ন্ত্রণকারী প্রতিষ্ঠান জাইর পাশাপাশি সদ্য আত্মপ্রকাশ করা জেভিক নামের কোম্পানিকে দিয়েও পরীক্ষা করানোর বাধ্যবাধ্যকতা জারির চেষ্টা করা হচ্ছে। সংশিস্নষ্ট সূত্র মতে, এর জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ওপর ক্রমাগত চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে।
পরীক্ষণ ব্যবস্থা চালু করা হলে প্রতিটি গাড়ির দাম আরও প্রায় ৫০ হাজার টাকা বেড়ে যাবে।
করা হয় ।
জাপানী রিকন্ডিশন্ড গাড়ি ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত একাধিক ব্যক্তি জানিয়েছেন, জাপানীরা নিজেদের ব্যবহৃত গাড়িগুলো সাধারণত ৫ থেকে ৭ বছর ব্যবহারের পর বিক্রি করে দেন। তাদের ছেড়ে দেয়া গাড়িগুলোই নিলাম মার্কেটের মাধ্যমে রিকন্ডিশন্ড হিসাবে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে রফতানি হয়। জাপানের উন্নত রাসত্মা, উচ্চমানের জ্বালানি এবং ঠা-া আবহাওয়ার কারণে ৬/৭ বছর চালানোর পরও প্রতিটি গাড়ি একেবারে নতুনের মতো থাকে। এসব গাড়ি আমদানিতে পরিবেশের নূ্যনতম কোন ঝুঁকিও থাকে না। অথচ বিগত দেড় দশকে বাংলাদেশের প্রতিটি সরকারই জাপানী গাড়ি আমদানির ক্ষেত্রে নানা বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। এর ফলে আমদানিকৃত রিকন্ডিশন্ড গাড়ির দাম অস্বাভাবিক হারে বেড়েছে। অন্যদিকে বিভিন্ন দেশ থেকে নিম্নমানের গাড়ি এ দেশে অবাধে প্রবেশ করছে।
১৫ জুলাই ২০১১
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই জুলাই, ২০১১ সকাল ১১:২১
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মিশন: কাঁসার থালা–বাটি

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:২৭

বড় ভাই–ভাবীর ম্যারেজ ডে। কিছু একটা উপহার দেওয়া দরকার। কিন্তু সমস্যা হলো—ভাই আমার পোশাক–আশাক বা লাইফস্টাইল নিয়ে খুবই উদাসীন। এসব কিনে দেওয়া মানে পুরো টাকা জ্বলে ঠালা! আগের দেওয়া অনেক... ...বাকিটুকু পড়ুন

আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:৪৫


বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন

J K and Our liberation war১৯৭১

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৯



জ্যাঁ ক্যুয়ে ছিলেন একজন ফরাসি মানবতাবাদী যিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান হাইজ্যাক করেছিলেন। তিনি ৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১ তারিখে প্যারিসের অরলি... ...বাকিটুকু পড়ুন

এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ

লিখেছেন এ আর ১৫, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:৪০



এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ


২০০৪ সালের ২১ শে অগাষ্ঠে গ্রেনেড হামলার কারন হিসাবে বলা হয়েছিল , হাসিনা নাকি ভ্যানেটি ব্যাগে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন ছায়াযুদ্ধ: R থেকে MIT—কুয়াশার ভেতর নতুন ক্ষমতার সমীকরণ

লিখেছেন এস.এম. আজাদ রহমান, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:৪৪



বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন ছায়াযুদ্ধ: R থেকে MIT—কুয়াশার ভেতর নতুন ক্ষমতার সমীকরণ

কেন বিএনপি–জামায়াত–তুরস্ক প্রসঙ্গ এখন এত তপ্ত?
বাংলাদেশের রাজনীতিতে দীর্ঘদিন ধরে একটি পরিচিত ভয়–সংস্কৃতি কাজ করেছে—
“র”—ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা নিয়ে রাজনীতিতে গুজব,... ...বাকিটুকু পড়ুন

×