কথাটা ফেলে দেবার মতো নয়। আর যিনি বলেছেন তিনি যা তা মানুষ নন। সোয়াদুবার তিনি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। তিনি পাগল কিংবা শিশু নন যে মনগড়া যাখুশি একটা কিছু বলে দেবেন। তিনি প্রায় দশ বছর পাচ মাসের মতো সরকারের প্রধান হয়ে অনেক আকাম ও কুকাম করে হাত পাকিয়েছিলেন। ২১ আগষ্টের গ্রেনেড হামলা করে আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করে তিনিই চিরতরে ক্ষমতায় টিকে থাকতে চেয়েছিলেন। তিনিই গৃহপালিত মৌলবাদের জননী। তার অঙ্গুলি হিলনেই একমাথে ৬২টি স্থানে বোমা হামলা হয়েছিল। তিনি জানবেন না জানবেন মমতির মা। হা পুলিশ/র্যাব ও সেনাসদস্যদের কিভাবে কাজে লাগাতে হয় তিনি তার পুরোটাই ওয়াকিবহাল। তিনি যখন বলছেন পুলিশ পেট্রোল বোমা ছুড়ে মানুষ হত্যা করেছিল । বাসে আগুন দিয়ে মানুষ পুড়িয়েছিল। এর অকাট্য প্রমানও নিশ্চয়ই তার হাতে মজুদ আছে। তার কাছে নাকি পুলিশে স্বীকারোক্তিও আছে। বর্তমান জালিম আওয়ামী সরকার সেই সব পুলিশ অপরাধীর কেশগ্রও স্পর্শ করছে না বা তাদের আইনের আওতায় আনছেন না। শনিবার সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি মিলনায়তনে এক আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিলে তিনি এ সব কথা বলেন। এখন প্রশ্ন তিনি কোর্টে যাচ্ছেন না কেন? প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও তো আইনের উর্ধে নয়। শেখ হাসিনার র্নিদেশেই যদি ১৭৫জন মানুষকে পুড়িয়ে মারা হয় ও হাজার হাজার মানুষকে বিকলাঙ্গ করে ঘরে বসিয়ে দেয়া হয় তাহলে তিনি কিভাবে উন্মুক্ত থাকতে পারেন ও রাস্ট্রের কর্নধার হয়ে রাষ্ট্র পরিচালনা করছেন।
বেগম খালেদা জিয়াকে অনুরোধ করছি। আন্দোলনের ফাকা বুলি না কপচিয়ে আপনি প্রমান সহ সত্তর কোর্টে যান ও শেখ হাসিনাকে দোষি সাব্যস্ত করে জাতীকে রক্ষার কাজে নিজেকে নিয়োজিত করুন। এতে দেশে অরাজক অবস্থার সৃষ্টি না হলেও একটি নতুন ধারার আন্দোলনের সুচনা হবে। যা থেকে আপনি হবেন লাভবান ও সরকার হবে লুজার। Click This Link
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ৩:৪৩