somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

২০১১ সালের এস এস সি পরীক্ষার্থীদের জন্য কিছু পরামর্শ

২৯ শে জানুয়ারি, ২০১১ রাত ১১:২৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


পরীক্ষার প্রয়োজনীয় পরামর্শ
এসএসসি পরীক্ষায় ভালো রেজাল্টের জন্যে চাই সঠিক প্রস্তুতি। তাই এখন প্রতিটি বিষয় ভালো করে রিভিশন দিতে হবে। এর সাথে সাথে তোমাদেরকে পরীক্ষা দেওয়ার নিয়মকানুন সম্পর্কে জানিয়ে দিতে চাই। যা জানলে কিছু বাড়তি নম্বর পেতে সাহায্য করবে।

পরীক্ষার খাতা
পরীক্ষার হলে তোমার খাতাটিই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ তা মনে রাখবে। তোমার জানা যাবতীয় বিষয় ওই খাতায় প্রশ্নের উত্তরের মাধ্যমে দিতে হবে। তাই পরীক্ষার খাতার বিষয়ে খুবই যত্নশীল হতে হবে। প্রথম পাতায় রোল নম্বর, রেজি.নম্বর, বিষয় কোডের বৃত্ত সঠিকভাবে ভরাট করবে। নৈর্ব্যক্তিক পরীক্ষায় সেট কোডের বৃত্ত অবশ্যই সঠিকভাবে ভরাট করতে হবে। খাতার কোথাও যেন কালির দাগ না পড়ে।

হাতের লেখা
সুন্দর হাতের লেখা একটি সম্পদ। আবার হাতের লেখা সুন্দর হলেও যদি স্পষ্ট ও পরিচ্ছন্ন না হয় তবে নম্বরও কম ওঠে। তাই শব্দের এবং লাইনের মধ্যে ফাঁক রেখে পরিচ্ছন্ন করে লিখতে হবে। যাতে সহজে পড়া যায়। কোনো শব্দ, লাইন বা অনুচ্ছেদ কেটে দিতে হলে হিজিবিজি করে নয় এক টানে পরিষ্কার করে কাটতে হবে। ভুল শব্দ বা বাক্যাংশের ওপর লিখে সংশোধন করলে খাতাটি নোংরা হয়ে ওঠে তাই এটি কখনই করবে না। এক্ষেত্রে কেটে দিয়ে ওপরে বা পাশে ঠিক শব্দ বসাবে।

প্রশ্ন নির্বাচন ও উত্তর
প্রশ্ন পাওয়ার পর বাছাইয়ের কাজটি সঠিকভাবে করা জরুরি। কোন প্রশ্নের উত্তর লিখবে আর কোন প্রশ্নটা বাদ দিলে সুবিধা তা তোমাকে প্রথমেই নির্বাচন করতে হবে। যেসব প্রশ্নের পূর্ণ নম্বর পাওয়া যায়, জানা থাকলে সে ধরনের প্রশ্ন নির্বাচন করা উচিত। একই ধরনের প্রশ্ন হলে, যেটি ভালো জানা সেটি প্রথমে লিখবে। বেখেয়ালে কোনো প্রশ্ন বাদ রেখে এলে কি না, অথবা প্রশ্নের ভেতরের ছোট অংশগুলোর উত্তর দেওয়া বাদ গেল কি না সে বিষয়ে খুবই সাবধান থাকবে।

সময়ের দাম
সময় ধরে প্রতিটি প্রশ্নের উত্তর দিবে। প্রতিটি বিষয়ের বড় প্রশ্ন ও সংক্ষিপ্ত প্রশ্নের জন্যে কতটুকু সময় দিতে পারবে, তার হিসাব আগে থেকেই করে নেবে। কোনো প্রশ্নের উত্তর ভালোভাবে জানা থাকলে নির্ধারিত সময়ের আগেই লিখে শেষ করবে এতে করে যে সময় বাঁচবে তা অন্য প্রশ্নের উত্তরে কাজে লাগবে। দেখা গেল একটি প্রশ্নের উত্তরদানে অনেক বেশি সময় খরচ করে ফেললে পরে সময়ের অভাবে দু-একটি প্রশ্নের উত্তর দিতে পারলে না বা দায়সারাভাবে উত্তর দিলে। এতে বেশ ক্ষতি হয়। বেশি সময় দিয়ে কোনো প্রশ্নের দু-এক নম্বর বাড়তি জুটলেও সময়ের অভাবে পাঁচ-ছয় নম্বর নষ্ট হয়ে যেতে পারে। তাই ভালোজানা প্রশ্নের উত্তরদানে সময় বাঁচাতে পারলে, সে সময়টি এক্ষেত্রে কাজে দিবে।

সঠিকভাবে প্রশ্নের নম্বর দেওয়া
প্রশ্নের নম্বরটি বাঁ দিকে নির্ভুলভাবে অবশ্যই বসাবে। একটি প্রশ্নের মধ্যে নানা অংশ থাকতে পারে। পৃথক প্রশ্নের উত্তর পৃথক অনুচ্ছেদে লেখা উচিত। আবার অনেক প্রশ্নেই (ক), (খ) অংশ থাকে। এক্ষেত্রে সেভাবে (ক), (খ) নম্বর লিখে তবেই উত্তর দেবে। যেমন : ১নং প্রশ্নের ‘ক’ এর উত্তর।

ঠিক বানান
উত্তরের সময় বানান অনেকেই ভুল করে। কাজেই সতর্কতা দরকার। যেসব বানান সচরাচর ভুল হয় সেগুলো বেশি করে অনুশীলন দরকার। বিখ্যাত আর পরিচিত নামের বানান যেন ঠিক থাকে। কবিদের নামের বানান ভুল করলে পরীক্ষক বিরক্ত হবেন। এতে তোমার নম্বরও কমে যেতে পারে। তোমার পাঠ্যবইয়ের গদ্য, সহপাঠের নাম এবং লেখকের নাম যেন ভুল না হয়।

কিছু যেন বাদ না যায়
একটি প্রশ্নের সকল অংশ জানা না থাকলেও কোনো প্রশ্নের উত্তর ছেড়ে আসবে না। না পারলেও যতটা পারা যায় চেষ্টা করে লিখে আসবে। ব্যাখ্যাটা পারা যাচ্ছে না, কার লেখা, কোন গল্প থেকে এসেছে তা লিখলে দু-এক নম্বর মিলে যাবে। কোনো কোনো প্রশ্নের মধ্যে নানা অংশ থাকে। তার কোনো অংশ যেন বাদ না যায়।

ছক দেওয়া, চিত্র আঁকা
প্রশ্নের প্রয়োজনে যখনই পারবে ছক কিংবা চিত্র এঁকে তোমার উত্তরের গুণমান বাড়াবে, অবশ্য তাড়াতাড়ি আঁকার অভ্যাস থাকলেই এ কাজ পারবে। এতে করে বেশি নম্বর আসবেই। পদার্থ, রসায়ন, জীববিজ্ঞানের ছবি অবশ্যই দেবে। গণিতে উপপাদ্য ও সম্পাদ্যে নিখুতভাবে চিত্র অঙ্কন করবে। অর্থনীতিতে প্রয়োজনীয় ছক দেবে।

গণিতের রাফ কাজ
গণিতের ক্ষেত্রে খাতার বাঁ-পাশের পাতায় রাফ কাজ, হিসাবপত্র করতে হয়। রাফ কাজ শেষে সঠিকভাবে তোলার পর দুটো কোনাকুনি দাগ টেনে কেটে দেবে। অন্য বিষয়েও যখনই রাফ কাজ করবে, তা খাতাতেই করে পরিষ্কারভাবে কেটে দেবে।

রিভিশন দেওয়া
পরীক্ষায় রিভিশন দেওয়ার জন্যে অবশ্যই সময় রাখবে। যদি সময় করে পুরো খাতার রিভিশন করা যায়, খুব ভালো হয়। বেশ কিছু ভুল তাতে সেরে নেওয়া যাবে। গণিতের ক্ষেত্রে এ রকম রিভিশন অবশ্যই জরুরি। কারণ সামান্য একটি অক্ষর বা সংখ্যার জন্যে সম্পূর্ণ নম্বরই কাটা যেতে পারে।

সতর্কতা
গণিতে সতর্কতা সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন। সংখ্যার ক্ষেত্রে তিন এর জায়গা পাঁচ লিখলে উত্তর মেলবে না। +এর বদলে × ভাবলে বিপদে পড়বে। r বা x-কে n এর মতো না লিখে লিখার প্রতি যত্নশীল হও।

টেনশন করবে না
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কথা হলো পরীক্ষায় ঘাবড়ে না গিয়ে টেনশন না করে শান্তভাবে পরীক্ষা দেবে। তা না-হলে জানা ও ভালোভাবে পড়া প্রশ্নের উত্তরও এলোমেলো হয়ে যেতে পারে। তাই আত্মবিশ্বাস নিয়ে পরীক্ষা দিবে।

উত্তরগুলো অবশ্যই প্রাসঙ্গিক হতে হবে
প্রিয় এসএসসি পরীক্ষার্থীরা। তোমরা নিয়মিত অনুশীলন করে যাও দেখবে সাফল্য ধরা দেবেই। এ সময়টা তোমাদের জন্যে খুবই জরুরি তাই মানসিকভাবে তোমাদের অনেক শক্ত থাকতে হবে। ভালো ফলাফলের জন্যে বেশ কিছু বিষয় তোমাদের খেয়াল রাখতে হবে।

পরীক্ষার প্রশ্ন কী চাইছে তা সঠিকভাবে অনুধাবন করতে হবে। প্রশ্নের উত্তরগুলো লেখার সময় খেয়াল রাখবে, তা যেন পাঠ্যবই অনুসরণ করেই হয়। আর উত্তরগুলো অবশ্যই প্রাসঙ্গিক হতে হবে। বানান ভুল হওয়া কোনোভাবেই কাম্য নয়। পরীক্ষার হলে সময় সম্পর্কে সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে। আর প্রশ্নের উত্তর লেখার সময় খাতায় পর্যাপ্ত মার্জিন রেখো। যা লেখো স্পষ্ট করে লিখবে। প্রাসঙ্গিক উদ্ধৃতি উত্তরের মানকে সমৃদ্ধ করে। যে বিষয়টি বেশি খেয়াল রাখতে হবে তা হলো পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্যে রাত জাগা একেবারেই উচিত নয়। অভিভাবকদেরও শিক্ষার্থীদের খাওয়া-দাওয়া, লেখাপড়া সম্পর্কে সজাগ থাকতে হবে।

সিলেবাস অনুযায়ী সব অংশই শিখতে হবে
মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীরা তোমরা প্রথম পাবলিক পরীক্ষায় অংশ নিতে যাচ্ছো। বিশেষ করে প্রথম দিনের পরীক্ষাটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তোমাদেরও নিজস্ব পরিবেশ ছেড়ে সম্পূর্ণ একটি নতুন পরিবেশে পরীক্ষায় অংশ নিতে হবে। এতে অনেকে আতঙ্কগ্রস্থ ও ভয়ের মধ্যে থাকতে পার। এ সময়ে তোমাদের মধ্যে প্রচুর টেনশন কাজ করে। তাই তোমাদের প্রতি আমার উপদেশ, যতই আলাদা পরিবেশ হোক না কেন এটিকে নিজের প্রতিষ্ঠানের মতোই গ্রহণ করতে হবে। হাতে প্রশ্নপত্র পাওয়ার পর খুব মনোযোগ দিয়ে পড়ে প্রশ্নের উত্তর লিখতে হবে। অপ্রাসঙ্গিক কিছু লেখা বা উপস্থাপন করার প্রয়োজন নেই। নৈর্ব্যত্তিক অংশে খুব দ্রুত উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করা বোকামি। বুঝে উত্তর দিতে হবে। আবার প্রশ্ন সহজে হয়েছে অথবা কমন পড়েছে এ ধরনের ব্যাপারে খুব উৎফুল্ল হওয়ারও প্রয়োজন নেই। এতে প্রশ্ন ভুলে যাওয়ার আশঙ্কা বেশি থাকে। প্রশ্ন কমন পড়েনি এমন ব্যাপারে মুষড়ে পড়ারও দরকার নেই। লিখতে লিখতে বিষয়গুলো মনে পড়বে। আর একটি বিষয় সবসময় মনে রাখতে হবে, সিলেবাস অনুযায়ী সব অংশই শিখতে হবে। সিলেবাস অনুসারে পরীক্ষার প্রস্তুতি শেষ করার চেষ্টা করতে হবে। এতেই ফলাফল ভালো হবে বলে আমি মনে করি।

পাঠেই বেশি মনোনিবেশ করবে
এসএসসি পরীক্ষার্থীদের বলছি। তোমরা প্রশ্নের উত্তর লেখার সময় সময়ের দিকে খেয়াল রাখবে। কমপক্ষে ১৫ মিনিট আগে তোমাদের উত্তর লেখা শেষ করবে। এতে যে সময়টুকু বেচে যাবে তা দিয়ে রিভিশনের জন্যে রাখবে। পরীক্ষার আগ মুহূর্তে তোমাদের অনেক শান্ত ও ধৈর্য ধরতে হবে। সামনে যেহেতু পরীক্ষা তাই পাঠেই বেশি মনোনিবেশ করবে। পরীক্ষার আগের রাতে বেশি পড়ার দরকার নেই। এ সময় অনেকে রাত জাগে। বেশি রাত না জেগে ভোরে উঠতে পারলে অনেকক্ষণ পড়া যায়। তাছাড়া সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর মেজাজটাও থাকে ফুরফুরে। এ সময় অভিভাবকের অনেক বেশি দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিতে হবে। সন্তানের লেখাপড়া, খাওয়া ও ঘুমের যেন কোনো ব্যাঘাত না ঘটে সেদিকে তাদেঁর লক্ষ্য রাখতে হবে। পরীক্ষা দিয়ে আসার পর পরবর্তী পরীক্ষা নিয়ে চিন্তা করবে। আগের পরীক্ষা নিয়ে মন খারাপ করে থাকলে পরের পরীক্ষাও খারাপ হতে পারে। সবচেয়ে বড় কথা ওএমআর ফরম পূরণ করার সময় সবসময় সতর্ক থাকবে। ভুল করা যাবে না। আর যাই লেখো, তা স্পষ্ট করে লিখবে। এতে পরীক্ষক খুশি হন। উত্তর লিখবে পাঠ্যবইয়ের সঙ্গে মিল রেখে। তোমার জানা ভালো প্রশ্নের উত্তর দিয়ে লেখা শুরু করতে পারো।

উত্তরপত্র ভাঁজ না করে মার্জিন টানতে হবে
পরীক্ষার আগে এখন তোমাকে সম্ভাব্য প্রশ্নগুলো নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বারবার পড়া এবং লেখার প্রতি গুরুত্ব দিতে হবে। ভয় না করে পরীক্ষাকে স্বাভাবিক ক্লাস পরীক্ষার মতো বিবেচনা করতে হবে। পরীক্ষার রাতে অধিক রাত না জেগে সময়মতো ঘুমিয়ে পড়তে হবে। পরীক্ষার দিন যথাসময়ে পরীক্ষাকেন্দ্রে উপস্থিত হতে হবে। পরীক্ষার হলে প্রবেশপত্র ও নিবন্ধনপত্রসহ প্রয়োজনীয় সব জিনিসপত্র নিয়ে প্রবেশ করতে হবে। খেয়াল করতে হবে, কোনো কিছু বাদ পড়ল কিনা। উত্তরপত্রের কভার পৃষ্ঠার প্রথম অংশের বৃত্তগুলো সঠিকভাবে পূরণ করতে হবে। কখনোই অন্যের সেট কোড পুরণ করা দেখে নিজের উত্তরপত্র পূরণ করার চেষ্টা করা যাবে না। প্রশ্নপত্র হাতে পেয়ে হতাশ না হয়ে বেশ কয়েকবার পড়তে হবে। সে প্রশ্নগুলো লিখলে ভালো নম্বর পাওয়া যাবে সে ধরনের প্রশ্নগুলোর উত্তর আগে লিখতে হবে। অনেকেই উত্তরপত্রে ভাঁজ দিয়ে থাকে। এটা না করে মার্জিন টানতে হবে। লেখা শেষে আবার পড়ে দেখতে হবে। পরীক্ষার হল ত্যাগের আগে প্রবেশপত্র ও নিবন্ধনপত্রসহ অন্যান্য জিনিসপত্র গুছিয়ে নিয়ে বের হতে হবে।

কখনোই আংশিক প্রশ্ন পড়ে উত্তর শুরু করবে না
এসএসসি শিক্ষার্থীরা তোমাদেরকে শুভেচ্ছা। এবার বাংলা ১ম পত্র, ধর্মশিক্ষা, সামাজিক বিজ্ঞান, সাধারণ বিজ্ঞান, ভুগোল, ব্যবসায় পরিচিতি, রসায়ন বিষয়ে সৃজনশীল প্রশ্ন থাকছে, তাই এগুলোর উত্তর করার সময় প্রশ্নগুলো খুব মনোযোগ দিয়ে পড়ে নেবে।

অনেক শিক্ষার্থীকে দেখা যায় প্রশ্নের উত্তর অযথা বড় করতে গিয়ে কিছু অপ্রাসঙ্গিক বিষয় উত্তর নিয়ে আসে। এতে করে পরীক্ষক যেমন বিরক্ত বোধ করেন তেমনি তা লিখতে গিয়ে মূল্যবান সময় নষ্ট হয়ে যায়। তাই এটাকে পরিহার করবে। প্রশ্নে যা যা চাওয়া হয়েছে ঠিক তাই উত্তর দিতে হবে। প্রতিটি প্রশ্নের উত্তর শুরু করার আগে প্রশ্নটি মনোযোগ দিয়ে পড়ে নেবে। কখনোই আংশিক প্রশ্ন পড়ে উত্তর লেখা শুরু করবে না। আর সব সময় চেষ্টা করবে উত্তরগুলো যাতে ধারাবাহিকভাবে হয়। উত্তরপত্রে উত্তর লেখার সময় প্রশ্নের নম্বর লিখে নিচে দাগ টেনে দেবে। খাতার চারপাশে পর্যাপ্ত মার্জিন রেখে নেবে। প্রশ্নের পূর্ণাঙ্গভাবে উত্তর লিখতে হবে। আর উত্তরগুলো অনুচ্ছেদ করে লিখতে হবে। এতে করে পরীক্ষকের মুল্যায়ন ভালো হবে।

প্রত্যেকটা প্রশ্নকে সমান গুরুত্ব দিয়ে লিখবে
প্রিয় পরীক্ষার্থীরা শুভেচ্ছা রইল। এসএসসি পরীক্ষা তোমাদের জন্যে অনেক গুরুত্বপূর্ণ। পরীক্ষা নিয়ে আসলে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। প্রশ্নপত্র হাতে পেলে তা শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত দেখে নেবে। প্রশ্নের যদি তোমার অজানা কোনো প্রশ্ন থেকে থাকে তাতে মন খারাপ করার কিছু নেই।
এতগুলো প্রশ্নের মধ্যে দুই-একটা তোমার অজানা থাকতেই পারে। যে প্রশ্নটার উত্তর তুমি ভালো পার সেটা দিয়ে শুরু করবে। পরীক্ষা হলে সময়টা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। প্রশ্ন হাতে নিয়ে প্রশ্নের মানের সঙ্গে সময়টা ভাগ করে নেবে। প্রত্যেক প্রশ্নের জন্যে আলাদা সময় নিলে তোমার কোনো প্রশ্নই ক্ষতিগ্রস্থ হবে না। তবে সময় ভাগ করার আগে অবশ্যই ১৫ মিনিট সময় হাতে রেখে নিবে। সময় ভাগ করে প্রত্যেকটা প্রশ্নকে সমান গুরুত্ব দিয়ে লিখবে। এতে করে পরীক্ষক যখন তোমার উত্তরপত্র মূল্যায়ন করবেন তখন তোমার খাতা সম্পর্কে একটা ভালো ধারণা জন্মাবে। ফলে তুমি ভালো নম্বর পাবে। পরীক্ষার খাতায় লেখা শেষ হলে খাতা রিভিশন না দিয়ে জমা দেবে না। রিভিশনে অনেক ছোটখাটো ভুল ধরা পড়বে।

ভালো প্রস্তুতির প্রমাণ রাখতে হবে পরীক্ষার খাতায়
এসএসসি পরীক্ষায় ভালো ফল জরুরি। আর ভালো ফলাফলের জন্যে শুধু ভালো প্রস্তুতি থাকলেই চলবে না। ভালো প্রস্তুতির প্রমাণ রাখতে হবে পরীক্ষার খাতায়। ভালো ফলাফলের জন্যে পরীক্ষার খাতায় অবশ্যই সুন্দর উপস্থাপনা জরুরি। সুন্দর উপস্থাপনা বলতে পরীক্ষার খাতার সার্বিক পরিচ্ছন্নতা, নির্ভুল, মানসম্মত ও যথাযথ উত্তর লেখাকেই বোঝায়। খাতার ওপরে ও বাম দিকে পেনসিল বা বল পয়েন্ট কলম দিয়ে এক ইঞ্চি পরিমাণ মার্জিন দিতে হবে। প্রতিটি উত্তর শেষ হলে সরলরেখার সমাপ্ত চিহ্ন দিতে হবে। যে প্রশ্নের উত্তরগুলো উচ্চমানসম্পন্ন এবং সবচেয়ে ভালো মনে আছে, সেগুলোই আগে লিখতে শুরু করবে। তবে চেষ্টা করবে প্রশ্নের উত্তর যেন ধারাবাহিকতা রক্ষা হয়। হাতের লেখা স্পষ্ট এবং সুন্দর করার চেষ্টা করবে। উত্তরপত্রে বেশি কাটাকাটি করবে না। পরীক্ষার হলে যে কলমগুলো তুমি ব্যবহার করবে, সেগুলো বাসায় দু-এক দিন ব্যবহার করে স্বাভাবিক করে নিতে পার। মনে রাখবে, একদম নতুন কলম দিয়ে দ্রুত লেখা যায় না। উত্তরপত্রে বেশি কাটাকাটি না করে লেখার কোনো অংশ কাটতে হলে তা একটানে কাটবে। প্রতিটি প্রশ্নের উত্তর মানসম্পন্ন করতে চেষ্টা করবে। তাতে করে পরীক্ষক যখন মূল্যায়ন করবেন তখন তাঁর তোমার খাতা সম্পর্কে ভালো ধারণা জন্মাবে। প্রয়োজন অনুযায়ী প্রাসঙ্গিক উদ্ধৃতি, চার্ট, চিত্র ইত্যাদির ব্যবহার করতে ভুল করবে না। এগুলো উত্তরের মান বহুলাংশে বাড়ায়। মনে রাখতে হবে, পরীক্ষার খাতায় ভালো উপস্থাপনাই বেশি নম্বর পেতে সহায়তা করে। তোমাদের পরীক্ষা ভালো হোক এই কামনায় শেষ করছি।
শুভ রাত্রি ।

০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

=যাচ্ছি হেঁটে, সঙ্গে যাবি?=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:০৬


যাচ্ছি হেঁটে দূরের বনে
তুই কি আমার সঙ্গি হবি?
পাশাপাশি হেঁটে কি তুই
দুঃখ সুখের কথা ক'বি?

যাচ্ছি একা অন্য কোথাও,
যেখানটাতে সবুজ আলো
এই শহরে পেরেশানি
আর লাগে না আমার ভালো!

যাবি কি তুই সঙ্গে আমার
যেথায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

আগামী নির্বাচন কি জাতিকে সাহায্য করবে, নাকি আরো বিপদের দিকে ঠেলে দিবে?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:১২



আগামী নির্বচন জাতিকে আরো কমপ্লেক্স সমস্যার মাঝে ঠেলে দিবে; জাতির সমস্যাগুলো কঠিন থেকে কঠিনতর হবে। এই নির্বাচনটা মুলত করা হচ্ছে আমেরিকান দুতাবাসের প্রয়োজনে, আমাদের দেশের কি হবে, সেটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

ফেসবুক বিপ্লবে সেভেন সিস্টার্স দখল—গুগল ম্যাপ আপডেট বাকি

লিখেছেন মহিউদ্দিন হায়দার, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:৩০




কিছু তথাকথিত “বাংলাদেশি বিপ্লবী” নাকি ঘোষণা দিয়েছে—ভারতের সেভেন সিস্টার্স বিচ্ছিন্ন করে ফেলবে! সহযোগী হিসেবে থাকবে বিচ্ছিন্নতাবাদী সন্ত্রাসী আর পাকিস্তানি স্বপ্ন।শুনে মনে হয়—ট্যাংক আসবে ইনবক্সে। ড্রোন নামবে লাইভ কমেন্টে। আর... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাঙ্গু এনালিস্ট কাম ইন্টারন্যাশনাল সাংবাদিক জুলকার নায়েরের মাস্টারক্লাস অবজারবেশন !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:২৬

বাংলাদেশের দক্ষিণপন্থীদের দম আছে বলতে হয়! নির্বাচন ঠেকানোর প্রকল্পের গতি কিছুটা পিছিয়ে পড়তেই নতুন টার্গেট শনাক্ত করতে দেরি করেনি তারা। ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহ ঘিরে নতুন কর্মসূচি সাজাতে শুরু করেছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ক্ষমতাচ্যুত ফ্যাসিবাদ: দিল্লির ছায়া থেকে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র

লিখেছেন কৃষ্ণচূড়া লাল রঙ, ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ ভোর ৫:৫৭

একটা সত্য আজ স্পষ্ট করে বলা দরকার—
শেখ হাসিনার আর কোনো ক্ষমতা নেই।
বাংলাদেশের মাটিতে সে রাজনৈতিকভাবে পরাজিত।

কিন্তু বিপদ এখানেই শেষ হয়নি।

ক্ষমতা হারিয়ে শেখ হাসিনা এখন ভারতে আশ্রয় নিয়ে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র... ...বাকিটুকু পড়ুন

×