ইসলাম যদি শান্তির ধর্ম হয়, তাহলে সেই শান্তির কতটুকু তাতপর্য আমরা মুসলমানরা ব্যাখ্যা দিতে পারব?
থাপ্পড়ের জবাব যেমন থাপ্পড়ে হয়না, তেমনি ভুলের জবাব ভুল দিয়ে হয়না।
সমাজে নানান রকমের নানান পেশার মানুষ রয়েছেন, কেউ আমরা এক রকমের নই।
নাসিরনগরের এক হিন্দু যুবক আমাদের পবিত্র কাবা শরীফ নিয়ে ব্যাঙ করেছেন আর সেই প্রতিশোধের আগুন জ্বালিয়ে দিলেন কিছু নিরীহ মানুষের মনে। মারামারি ভাংচুর করে নিজেকে প্রমাণিত করে দিলেন আপনি কতটা নিচু মনের অধিকারী।
ইসলামের তাতপর্য কি এই?
আমাদের আইকন মহাবিশ্বের মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা: ) তার চলমান জীবন বানী উদারতা থেকে আমরা তো এটা শিখিনি... মহানবীর বিদায় ভাষনের সেই কথা গুলো থেকে আমরা কি শিক্ষা গ্রহণ করেছি।
একটা মানুষের জন্য আপনারা আজ পুরো জাতিকে ছোট করে ফেললেন। মানববন্ধন কিংবা আইনিভাবে ব্যাবস্থা নেয়া যেতো না?
দেশের ভাবমূর্তি আমরা জাতি হিসাবে কেমন তা বারবার আমাদের কিছু সাংবাদিকতা নির্লজ্জতার প্রমান করে দিলেন। করবেই না কেন? ভাইরাল করে নিজেকে বড় কিছু ভাবার সুযোগ তো এটাই। বর্তমান দেশের চলমান পরিস্থিতি নিয়ে কি একবারেও জন্য ভাবেননি।
মনে রাখুন আমরা মুসলমানরাই পুরো পৃথিবীর সংখ্যায় অনেক বৃহত্তর জন গুষ্টি ... আমাদের এগিয়ে যেতে হবে শান্তির সাথে। আমাদের দেখে অন্য ধর্মের মানুষ ভালো কিছু শিক্ষা লাভ করুক সেটাই আমাদের কাম্য। হযরত আবু বকর ওসমান ফারুক কিংবা আলীর কাছ থেকে সেই সোনালী সুদিন ছিলো অন্যরকম, তাদের ভালোবাসা দান আর উদারতা ছিল অনেক প্রশাংসানিয়।
কেন এতো মাথা গরম কেন এতো রক্তের তেজ।
আমরা শান্তি চাই শান্তি প্রতিষ্ঠিত করতে চাই। আমাদের কে দিয়ে কেউ শিখুক।
ভাংচুর রক্তাক্ত দিয়ে এই সল্প জীবন চলেনা। মনে কি নেই, পূর্বে বহুজাতি এভাবে নিজের ভুলের কারনে ধংস হয়ে গেছে।
দয়া করুন এদের উপর... এরাও এই দেশের একটি অংশ, ভালবাসা থাকুক সবার প্রতি।
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ১২:৪১