সাম্প্রতিক সময়ে মিডিয়ার বিভিন্ন সংবাদের মাধ্যমে জানতে পাড়লাম বাংলাদেশের বর্তমান বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা। তাতে আমি খুবই মর্মাহত হলাম। তবে আগেও আমি এমন সংবাদ অনেক দেখেছি, পড়েছি কিন্ত এমনটা দোধগম্য হয়নি কখনো। এইসব কান্ড কর্মের পেছনে কার ইন্ধন, ইশারা কাজ করে এটা অনেকেই হয়তো উপলদ্ধি করেছেন।
আমাদের মনে রাখতে হবে বাংলাদেশ ডিফেন্স জার্নালের সম্পাদক লে. (অব) আবু রুশদ এর পর্যবেক্ষণ।তিনি তাঁরা সারা জাগানো গবেষণা বাংলাদেশে ‘র’ তে উল্লেখ করেন; "বাংলাদেশকে একটি উগ্র হিন্দু বিদ্বেষী সাম্প্রদায়িক দেশ হিসেবে চিহ্নিত করাই ‘র’ এর অন্যতম লক্ষ্য। ভারতে অব্যাহত মুসলমান নির্যাতন, সংখ্যালঘু বিরোধী সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা থেকে জনগণের দৃষ্টি অন্যদিকে ফিরিয়ে দেয়ার জন্য মূলত ‘র’ এই পথে অগ্রসর হয়। …লক্ষ্য করলে দেখা যাবে, ‘৯০ সালে ভারতে বাবরী মসজিদ ইস্যুকে কেন্দ্র করে দাঙ্গা সংঘটিত হওয়ার পর থেকেই ‘বাংলাদেশের হিন্দুরা নিরাপদে নেই’ এ ধরণের প্রচারণা জোরদার করা হয়।(আবু রুশদ, বাংলাদেশে ‘র’ঃআগ্রাসী গুপ্তচরবৃত্তির স্বরূপ সন্ধান, স্টুডেন্ট বুক, ঢাকা, পৃষ্ঠা: ১৬৬-৬৭) (দেখুনঃ Communal riot and plight of minorities in India)
বাংলাদেশীদের এই ব্যাপারে সচেতন হতে হবে সন্দেহ নেই।একই সাথে হিন্দু সম্প্রদায়েরও একচেটিয়া অপবাদ দেয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। হিন্দু সম্প্রদায়ের এক গ্রুপ অন্যগ্রপের মন্দিরে আক্রমণ করে অন্যের ওপর দোষ চাপানোর চেষ্টা করতে দেখা গেছে। বস্তুগত সম্পদ নিয়ে দ্বন্দ্বে হিন্দুদের কেউ কেউ যখন নিজস্ব ধর্মীয় স্থাপনায় ভাংচুর করে,তখন সেটা অন্যধর্মের বখাটে, অসহিষ্ণু লোকদের ভিন্ন বার্তা দিতে পারে।ধর্মীয় স্থাপনার ধর্মীয় আবেদন প্রশ্নের সম্মুখীন হয়।
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:০৭