১.
দোলন বাচ্চা ছেলে। জীবনে প্রথম ইমেইল একাউন্ট খুলতে বসেছে; কম্পিউটার তাকে পাসওয়ার্ড লিখতে বললে সে সরল বিশ্বাসে লিখল nunu. কম্পিউটার সাথে সাথে রিপ্লাই দিল 'your password is too short'! ছোট্ট দোলন টেনশনে পড়ে গেল। ভাবতে লাগল- এরা জানলো ক্যামনে?!
আমাদের অনেক অফিসার আর নেতার সরল বিশ্বাসে বলা কথা ও কাজের অডিও, ভিডিও প্রকাশিত হয়ে গেলে- তারাও টেনশনে পড়ে যায় আর ভাবতে থাকে, এরা জানলো ক্যামনে?!
২.
সদ্য বুয়েট থেকে পাশ করা এক ইঞ্জিনিয়ার চাকরীর ইন্টারভিউ দিয়ে বেশ ফুরফুরা মেজাজে এক বন্ধুর সাথে দেখা করতে গেল।
সেই বন্ধু জিগাইলো, "তোর আজ ইন্টারভিউ ছিল না, কেমন হইলো?"
- "আর কইসনা দোস্ত, একটা রুমে ঢুকলাম, দেখলাম একজন কালো লেদারের চেয়ারে বসে পা টেবিলের উপরে তুলে রাখছে। আমারে তার ল্যাপটপটা দেখাইয়া কয়, ওটা বাইরে নিয়ে যাও, তারপরে আবার ভিতরে ঢুকে ল্যাপটপটা আমার কাছে বিক্রির চেষ্টা করো।"
- "কস কি? তারপর.."
- "বেটা নিজেরে বিশাল কিছু মনে করছে। সেইরাম ভাব।"
- "তারপর তুই কি করলি?"
- "আমি ঐখান থেকে ল্যাপটপ নিয়ে চইলা আসলাম।"
- "চইলা আসলি মানে কি? তারপর?"
- "তিরিশ মিনিট পরে বেটা আমারে কল কইরা কাইন্দা দিলো। বললো ল্যাপটপ ফিরায়া দেবার জন্য। ঐখানে নাকি ওর সব প্রয়োজনীয় ফাইল-পত্র, ছবি সব আছে। পুরাই কান্নাকাটি।
- " তারপর..."
- "তারপর আর কি" আমি বললাম, "ল্যাপটপটা কিনবা এখন?"
বেটা কইল বাবা তোমার চাকরি ফাইনাল।
৩.
গ্রামে ভ্যাসেকটমি ক্যাম্প শুরু হয়েছে। এক যুবক এলো ভ্যাসেকটমি করাতে। ডাক্তার তাকে জিজ্ঞাসা করলো:
তোমার কয়জন সন্তান?
যুবক: আমিতো এখনো বিয়েই করিনি!
ডা: তাহলে ভ্যাসেকটমি করতে চাচ্ছ কেন?
যুবক: ডাক্তার সাহেব, দু:খের কথা কি বলব, এই গ্রামের সবাই ইতোমধ্যে ভ্যাসেকটমি করিয়ে ফেলেছে, এখন কারো বাচ্চার জন্ম হলেই সবাই আমাকে মারতে আসে, এইজন্য ভ্যাসেকটমি করাতে চাই!!!!
৪.
রামু যে বাসায় কাজ করে, সেই বাসার মালিকের হুইস্কির বোতল থেকে দু/এক পেগ চুরি করে খায়, আবার ততটাই জল মিশিয়ে রেখে দেয়।
মালিকের সন্দেহ হত কিন্তু কিছু বলত না।
কিন্তু যখন এটা রোজ হতে লাগল তখন একদিন ড্রইং রুমে বউয়ের সাথে বসে চিৎকার করে রামুকে ডাকল, " রামউউ.....উউ!!"
রামু তখন রান্না ঘরে রান্না করছিল। রামু উত্তর দিল, "হাঁ মালিক!"
মালিক জিজ্ঞাসা করল, "আমার হুইস্কির বোতল থেকে হুইস্কি খেয়ে জল মিশিয়ে কে রাখে?"
রান্না ঘর থেকে কোন উত্তর এল না.....
মালিক আবার চিৎকার করে একই প্রশ্ন করল.....
কোন উত্তর নেই. ..
মালিক রেগে রান্না ঘরে গিয়ে জিজ্ঞাসা করল, "এসব কি হচ্ছে? আমি যখন তোর নাম ধরে ডাকছি তখন উত্তর দিচ্ছিস, আর যখন কিছু জিজ্ঞাসা করছি তখন উত্তর দিচ্ছিস না... কেন ?"
রামু, "মালিক, রান্না ঘর থেকে শুধু নাম শোনা যায়, আর কিছু শোনা যায় না..."
মালিক, "চুপ মিথ্যেবাদী, এরকম আবার হয় নাকি? তুই ড্রইং রুমে যা, মালকিনের কাছে বস, ওখান থেকে আমাকে প্রশ্ন কর, আমি কিচেন থেকে উত্তর দিচ্ছি...!!"
রামু ড্রইংরুমে গিয়ে মালকিনের পাশে বসে আওয়াজ দিল, "মালিক.."
মালিক (কিচেন থেকে), "বল রামু...."
রামু, "ঘরের কাজের মেয়েকে মোবাইল কে কিনে দিয়েছে?"
কোন উত্তর নেই. .....
আবার প্রশ্ন করল, "সেদিন যে দেখলাম কাকে যে পাশে বসিয়ে খুব গদগদ হয়ে ড্রাইভিং করা হচ্ছিল। কে ছিল সাথে?"
কোন উত্তর নেই. ....
মালিক কিচেন থেকে দৌড়ে এসে বলল, "তুই ঠিক বলেছিস তো। কিচেন থেকে শুধু নামটাই শোনা যায়, আর কিছু শোনা যায় না!!!"
ক্ষমতার চেয়ারটা রান্নাঘরের মতো। এখানে একবার বসতে পারলে চোখে শুধু ধইঞ্চার ফুল দেখা যায়। কারো কান্না না, কারো দু:খ না, কিছু না। শোনা যায়, যেটুকু শোনা দরকার......
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৯ দুপুর ১২:২১