somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

চলছেই চলবেই ... অবিরাম

০৩ রা এপ্রিল, ২০০৯ সন্ধ্যা ৬:৩২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

চ্যানেল আইএর খবর দেখলাম মাত্র। যথারীতি ছাত্রলীগ লাইম লাইটে। নিষিদ্ধ হবার পরো জা বি তে নিজেরাই পিটা পিটি করেছে। দশ জন ইঞ্জুর্ড! পাচ জন গ্রেফতার।
ঢাকা মেডিক্যালে রক্তাক্ত আহত লীগ কর্মিরা। এরাই এক্সময় আরেকগ্রপকে এভাবেই হয়তো রক্তাক্ত করেছিল। একজন জানালো কিভাবে তাকে পিস্তলের বাট দিয়ে মারা হয়েছে। আরেকজনের মাথার ব্যান্ডেজ। সাদা গেঞ্জি রক্তে ভরে গিয়েছে। হাতে ব্যান্ডেজ বাধা। সাদা গেঞ্জি তে লিখা লাল অক্ষরে "যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চাই"।

কালকে দেখলাম এক সপ্তাহের মধ্যে ঢামেক খুলে দেবেন। স্বস্তির খবর ,আবার অস্বস্তিরো। কারণ ওখানে নিষিদ্ধ করেছে তো কি হয়েছে , মন থেকে কি মুছে গেছে মার খাবার অভিজ্ঞতা। নিষিদ্ধ করলেই ওরা ঘরে ফিরে যাবে ? এরা কি প্রোগ্রাম করা রোবট? নতুন প্রোগ্রাম লিখা হলেই সেই মত রান করবে? আউটপুট আসবে নির্ভুল?
আমরা এতো নির্লজ্জ কেন? এম বি বি এস চতুর্থ বর্ষে পড়ে আমার কাযিন বোন। তার কোন বিকার দেখলাম না। একজন মরে গেল, যেন সে তার ক্যাম্পাসের কেউ না। আমার নিজের ক্যাম্পাসের দিনের কথা মনে পড়লো, তাইতো... কোথায় কোন হলে কোন দল লীগের ছেলে মারা গেল, তাতে আমার কিছুই যায় আসতোনা। শুধু একটাই ভাবনা, ক্যম্পাসের অনির্দিষ্ট কালের ছুটি ... হটাত এমন কিছু পেয়ে আনন্দিত হয়ে যেতাম অথচ সেই একটা মৃত্যুতে যে একজন মা ও অনেক টা মরে গিয়েছে , একটা পরিবার ও মরে গিয়েছে... আমি সাধারণ জনগন, ভাবার অবকাশ নেই!

ঢাকা কলেজের ছেলেরা মারামারি করেছে, কিসের জন্য ? দুর্নীতি করেছে কোন শিক্ষক বা কর্মচারী তাই ? ফি বাড়িয়েছে তাই ? তাদের কোন সহপাঠি নির্যাতিত হয়েছে তাই ??
না।
মদের বিল প্রদানে অপারগতা।

ঢা বি তে জগন্নাথ হল কে বলা হয় সবচে নিরাপদ যায়গা। এখানে গিয়ে যা খুশী করা যায়। কারো সাধ্য নেই সেখানে ইঙ্কোয়ারী করে! রাতের জগন্নাথ হল কি জিনিশ সেটা আমার দেখা হয়নি। শোনা হয়েছে। আতকে ওঠার জন্য যথেষ্টর চে বেশী। শেষ কবে এই হলে পুলিশ অভিযান চালিয়েছে ?

নারী ঘটিত অনেক ঝামেলা প্রতিনিয়ত ঘটে বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে। এগুলো পত্রিকায় আসেনা। আসুক তা চাইও না। কারণ অনেক মেয়ের জীবনে যথেষ্ট বিপত্তির কারণ হবে সেগুলো। কিন্তু ঘটছে প্রতিনিয়ত। রাফ এন্ড টাফ অনেক নেতা গোত্রীয় ছাত্রদের অশুভ দৃষ্টিতে পরে যায় অনেক ছাত্রী। অনেকে নিজের দোষেই পরে। এক সময় নাজেহাল হয়। অনেক ধরনের গসীপ ছড়ানো হয় সেই মেয়ের নামে, যদি তার কাছ থেকে "না" শুনে। চুপচাপ দিনগুনে পাস করে বেরিয়ে যাবার। এটা কি একটা সমস্যা না ? হয়তো কোন অভিযোগ নেই তাদের পক্ষ থেকে ...

সেদিন এন টিভিতে টক শোতে বানিজ্য মন্ত্রীর কথা শুনলাম একটু। বেশি শোনার রুচী হয়নি। বিভিন্ন কোম্পানীর খাটি তেল উপচে ঢেলে দিচ্ছিলেন জননেতৃর পদতলে।
তিন মাসে দেশের ব্যাপক উন্নতি, বাম্পার উন্নতিতে দেশ ভাসছে ... এই তার কথা।
এই ইনি আজকে কৃতি ছাত্র সংবর্ধনাতে গিয়েছেন!!!!! প্রধান অতিথীর ভাষন দিয়েছেন। শিক্ষা প্রতিষথানে শান্তি ফিরিয়ে আনা হবে, এই তার কথা!
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কি জিনিশ জানে এনারা ? ওনার সন্তান নিশ্চই লক্ষ টাকা খরচ করে ইওরোপ আমেরিকার কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে।
তিনি ভালো আছেন। নেতৃ ভালো আছেন। আমরাও অনেক ভালো আছি ।

লিবিয়াতে যেতে গিয়ে ছেষট্টি জন বাংলাদেশীর মৃত্যুর আশঙ্কা। হয়তো মারা গিয়েছে। থাইল্যান্ডে চারশ জন মারা গিয়েছিল মাঝ সাগরে অনাহারে, ডুবে গিয়ে। আবার অনেকে জান টা হাতে নিয়ে ফিরে আসে দেশে, চাকরিচ্যুত হয়ে। এদিকে ভিটে মাটি বলে কিছু নেই, সব বিক্রি করে গিয়েছিল সেখানে। কিন্তু ...

কিন্তু আমরা সংস্কৃতিমনা জাতি। একি সময়ে চ্যানেল আইতে দেখছিলাম চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা। আফজাল হোসেনের উপস্থাপনা। ব্যাপক আবেগময় কথোপকথন।
বললেন এক পর্যায়ে, যে ছাব্বিশে মার্চ যারা কিনা তাদের বারান্দায় কিংবা ছাদে একটি পতাকা ঝুলায়নি ,তারা আসলে দেশ কে ভালো বাসেন না। তারা প্রকৃত দেশপ্রেমিক নয়, যতই তারা বলুক, আমরাও দেশকে ভালবাসি।
আমি হটাত আমার দেশপ্রেম নিয়ে সন্দেহে পরে গেলাম। পতাকা ঝুলাইনিতো। মনেও আসেনি এটার যে পতাকা ঝুলিয়ে দেশপ্রেম প্রুভ করতে হবে।
হায় আল্লাহ, এখন আমার কি হবে ?


আর অনেক কিছু মাথায় ঘুরছে, লিখার ধৈর্য নেই। লিখেতো কিছু হবেওনা।
বরং ই রাজাকার হয়ে যেতে পারি। (সমস্যা নেই)



সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা এপ্রিল, ২০০৯ সন্ধ্যা ৭:০৭
১৩টি মন্তব্য ১৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

=যাচ্ছি হেঁটে, সঙ্গে যাবি?=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:০৬


যাচ্ছি হেঁটে দূরের বনে
তুই কি আমার সঙ্গি হবি?
পাশাপাশি হেঁটে কি তুই
দুঃখ সুখের কথা ক'বি?

যাচ্ছি একা অন্য কোথাও,
যেখানটাতে সবুজ আলো
এই শহরে পেরেশানি
আর লাগে না আমার ভালো!

যাবি কি তুই সঙ্গে আমার
যেথায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

আগামী নির্বাচন কি জাতিকে সাহায্য করবে, নাকি আরো বিপদের দিকে ঠেলে দিবে?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:১২



আগামী নির্বচন জাতিকে আরো কমপ্লেক্স সমস্যার মাঝে ঠেলে দিবে; জাতির সমস্যাগুলো কঠিন থেকে কঠিনতর হবে। এই নির্বাচনটা মুলত করা হচ্ছে আমেরিকান দুতাবাসের প্রয়োজনে, আমাদের দেশের কি হবে, সেটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

ফেসবুক বিপ্লবে সেভেন সিস্টার্স দখল—গুগল ম্যাপ আপডেট বাকি

লিখেছেন মহিউদ্দিন হায়দার, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:৩০




কিছু তথাকথিত “বাংলাদেশি বিপ্লবী” নাকি ঘোষণা দিয়েছে—ভারতের সেভেন সিস্টার্স বিচ্ছিন্ন করে ফেলবে! সহযোগী হিসেবে থাকবে বিচ্ছিন্নতাবাদী সন্ত্রাসী আর পাকিস্তানি স্বপ্ন।শুনে মনে হয়—ট্যাংক আসবে ইনবক্সে। ড্রোন নামবে লাইভ কমেন্টে। আর... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাঙ্গু এনালিস্ট কাম ইন্টারন্যাশনাল সাংবাদিক জুলকার নায়েরের মাস্টারক্লাস অবজারবেশন !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:২৬

বাংলাদেশের দক্ষিণপন্থীদের দম আছে বলতে হয়! নির্বাচন ঠেকানোর প্রকল্পের গতি কিছুটা পিছিয়ে পড়তেই নতুন টার্গেট শনাক্ত করতে দেরি করেনি তারা। ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহ ঘিরে নতুন কর্মসূচি সাজাতে শুরু করেছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ক্ষমতাচ্যুত ফ্যাসিবাদ: দিল্লির ছায়া থেকে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র

লিখেছেন কৃষ্ণচূড়া লাল রঙ, ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ ভোর ৫:৫৭

একটা সত্য আজ স্পষ্ট করে বলা দরকার—
শেখ হাসিনার আর কোনো ক্ষমতা নেই।
বাংলাদেশের মাটিতে সে রাজনৈতিকভাবে পরাজিত।

কিন্তু বিপদ এখানেই শেষ হয়নি।

ক্ষমতা হারিয়ে শেখ হাসিনা এখন ভারতে আশ্রয় নিয়ে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র... ...বাকিটুকু পড়ুন

×