সকালে নিউজে দেখলাম এমভি পিনাক-৬ লঞ্চের এক যাত্রীকে ৪ দিন পর পদ্মার একটি চর থেকে অলৌকিকভাবে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে।
আর বিকালে দেখলাম পুরো ঘটনাটায় সাজানো। এক সাংবাদিক রাসেল সর্দার নামের একজন লোককে টাকার বিনিময়ে এই নাটক করতে বলে এবং পরবর্তীতে পুলিশি জেরার মুখে পড়ে সে সবকিছু স্বীকার করে।
মানুষের মনুষ্যত্ব কোন জায়গায় এসে থেমেছে? ব্যাপারটা তো হাটুরও নিচে চলে গেছে টেনেটুনেও আর লজ্জাস্থান ঢাকা যাচ্ছে না। শুধু চ্যানেলের টি আর পি বাড়াতে মানুষের জীবন নিয়েও এমন নোংরা নাটক করা হচ্ছে। সাংবাদিকতা খুব মহান একটা পেশা। কিন্তু সেটাকে টেনে হিচড়ে আজ পদদলিত করা হচ্ছে। এখন যেমন পুলিশের নাম নিলেই মাথায় আসে 'ঘুষ' শব্দটি তেমনি সাংবাদিক পেশাটার সাথেও কেমন যেন 'হলুদ' শব্দটি জড়িয়ে যায়।
বাংলাদেশের মানুষ যতটা না ধর্মভীরু তার চাইতে বেশি ধর্মান্ধ। আর এজন্যই এদেশের আকাশের চাঁদে মাওলানা সাঈদীর ছবি দেখা যায়, ফেসবুকে সানি লিওনির ইসলাম ধর্মগ্রহণ করার ছবি আসে। তরমুজ, বাঙ্গীর মধ্যে আল্লাহর নাম লেখা ছবি এসে নিচে লেখা থাকে আল্লাহর এই কুদরতের কথা সবাইকে শেয়ার করে জানিয়ে দিন। আবার গরূ ছাগলের গায়ে ফটোশপ করে আল্লাহর নাম বসিয়েও দেয়া হয়। মানুষের মধ্যে যুক্তিবাদীতা অনেক কম। কেন যেন অলৌকিকতাকে বিশ্বাস করাটাকে সবাই ফরয বলে মনে করে অথচ আসল ফরয কাজগুলো করার কোন নাম নেই। আর এরই সুযোগ নেই এসব ছ্যাচ্চোর মানুষেরা।
হে বাঙ্গালী, চোখের ঠুলি খুলতে আর কত দেরী পাঞ্জেরী?