যুদ্ধাপরাধী, রাজাকার, আল বদর, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধী, স্বাধীনতা বিরোধী, পাকিস্থানের গুপ্তচর ইত্যাদি ইত্যাদি বলে এতদিন বাংলার মানুষকে কাছে টানার মরনপণ চেষ্টা করল আওয়ামী লীগ কিন্তু সচেতন, সাহসী, প্রতিবাদী এবং স্বাধীনচেতা বাঙ্গালীকে যখন তারা এটাতে ঘায়েল করতে পারল না তখন বহির্বিশ্বের মামা, খালু ও দাদাদের নিকট সাহায্যের আশায় সাম্প্রদায়িক সম্পৃতির এদেশকে জঙ্গী রাষ্ট্র হিসেবে পরিচিত করার জন্য আদা জল খেয়ে নেমে পড়েছে।
এতে করে তারা কি চায় এটা আমার বুঝে আসে না?? তারা কি চাচ্ছে আফগানিস্থান, পাকিস্থান, ইরাকের মত এদেশেও জঙ্গী দমনের নামে বিদেশী শক্তির অনুপ্রবেশ হোক??
এখন আর তাদের মুখে চেতনার কথা শুনা যায় না, যাবে কি করে তারা বুঝতে পেরেছে যে এদেশের মানুষ এখন আর এ ট্যাবটেল খাবে না। আপনারা উপরে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বলবেন আর ভিতরে ভিতরে দেশকে ভারতের কাছে বিলিয়ে দিবেন তা হয় কি করে?? মনে রাখবেন এদেশের মানুষ যেমন পাকিস্থান বাহিনীর শোষন মেনে নেয়নি তেমনি ভারতেরও তাবেদারী মেনে নেবে না।।
আর তাই এখন কথায় কথায় বলে বেড়াচ্ছে বিরোধীদল জঙ্গী, সন্ত্রাসী ও জঙ্গীদের নেতা ইত্যাদি ইত্যাদি।
তাদের ভাষায় রাজনৈতিক সহিংসতা যদি জঙ্গী কার্যক্রম হয় তাহলে আওয়ামী লীগ কি এ অভিযোগ থেকে মুক্তি পাবে??
তারাওতো বিভিন্ন দাবিতে গাড়ী পুড়িয়েছে, মানুষ হত্যা করেছে, ২০০৬ সালে প্রকাশ্য দিবালকে মানুষকে পিটিয়ে হত্যা করেছে যা সারা বিশ্বের মানুষ সরাসরি দেখেছে, শুধু কি তাই তারা ক্ষমতায় থাকার পরও ঢাবি মেধাবী ছাত্র আবু বকর, রাজশাহীতে নোমানী সহ নিজের ও বিরোধীদলের কত নিরীহ ছাত্রদেরকে হত্যা করেছে। বিশ্বজিতের মত একজন নিরীহ অরাজনৈতিক দর্জিকেও নির্মম ভাবে কুপিয়ে হত্যা করেছে যা সকলেই টিভির পর্দায় সরাসরি দেখেছে। এই সহিংসতার মধ্যেও ঢাকা, চট্টগ্রাম, মাগুড়া, নাটোর, মৌলভিবাজার সহ বিভিন্ন এলাকায় প্রচুর পরিমান পেট্রোলবোমা, ককটেল সহ আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের অনেক নেতা-কর্মী গ্রেফতার হয়েছে। তাহলে এদেরকে কি বলবে আওয়ামী লীগ?? সোনার ছেলে নাকি জঙ্গী??