সুপ্রিয় সামুবাসী , এবং সামুর অতিথিসহ সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি আজকের “অতি সহজে ফটোশপের ড্রেসের কালার চেইনিঞ্জং টিপস” ।
ফটোশপ একটি ডেক্সটপ পাবলিশিং গ্রুপের অন্তর্ভুক্ত একটি অন্যতম পিকচার ইডিটিং পোগ্রাম । সাধারণত পোগ্রামটি ছবি তোলার দোকানে , ছবির সাইজ পরিবর্তন ও প্রাথমিক সামান্য কিছু ইফেক্ট প্রদান করার ফটোশপ জন্য ব্যবহার করা হয় । আর বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ভারী কাজগুলো করতে আমরা ইলাস্ট্রেটর ব্যবহার করে থাকি । তবে ফটোশপেও এমন কিছু ফিচার আছে যা সত্যিই তাক লাগিয়ে দেওয়ার মত ।
চমৎকার একটা পোশাক পরে ছবি তোলার শখ আমাদের অনেকেরই আছে । তবে দোকান থেকে মনের মত ড্রেস কিনে আনার পর ঘরে এনে তা ওয়াশ করার পর দেখা যায় যে কাপড়টির অবস্থা সঙ্গীন হয়ে পড়ে । এমতাবস্থায় দোকানদারকে মনে মনে অভিশাপ দেওয়া ছাড়া আর কিছুই করার থাকেনা ।
যদি এমন হয় যে আমরা কম্পিউটার থেকেই নিজেদের ইচ্ছামত ড্রেস পরিবর্তন করে নিজেদের গায়ে জরিয়ে নিচ্ছি তাহলে ! ভাববেন না যে আমি সনি টিভির “২০২৫ সাল” সিরিয়ালটা থেকে বানিয়ে বানিয়ে বলছি । আসলেই সত্যি । তবে চলুন শুরু করি ।
…………………………
প্রথমে এডোবি ফটোশপ সি.এস.৮/৭ রান করান ।।
তারপর আপনার কাঙ্খিত চিত্রটি খুলুন । জেনে নেওয়া ভাল যে ফটোশপ পোগ্রাম খুলার পর যে ইন্টারফেইসটি আসে তার মাঝখানে ডাবল ক্লিক করেও আপনি সরাসরি আপানার স্টোরেজে চলে যেতে পারবেন ।
[[চিত্র -১]]
যদি আপনার চলতি ডকুমেন্টে লেয়ার পেলেটটি দেখতে না পারেন তাহলে মেনুবার থেকে উইন্ডোজ মেন্যু পপআপ উইন্ডো থেকে লেয়ার অপশনটিতে টিকমার্ক দিয়ে লেয়ার পেলেটটি দৃশ্যমান করুন । অথবা সর্টকার্ট দ্বারা শুধু এফ৭ কি তে চাপ দিন(ডিফল্ট) ।
এখন লেয়ার পেলেটে লক্ষ করলে দেখবেন যে আপনার ছবিটি প্রথম লেয়ারে তার ব্যাকগ্রাউন্ড সহ এসে রয়েছে । আর আমরা ব্যাকগ্রাউন্ড ছাড়া ইমেজগুলোকে ট্রান্সপারেন্ট ইমেজ বলি । ট্রান্সপারেন্ট কথাটার অর্থ আসলে কী ?
ট্রান্সপারেন্ট হল ব্যাকগ্রাউন্ড ছাড়া ইমেজ । অর্থাৎ যে ইমেজগুলিকে ইচ্ছে করলেই যে কোন জায়গায় প্রতিস্থাপন করা যায় । যেমন ফটোশপে ধরুন আপনি আপনার শরীরে কোট পরাতে চাচ্ছেন । তার খাতিরেই আপনি সার্চ ইঞ্জিনে কোট লিখে ইমেজ সার্চ দিয়ে আপনার পছন্দ করা কোটটি ডাউনলোড করলেন । এখন কোটটি পরাতে গিয়ে দেখলেন কোটটির সাথে তার ব্যাকগ্রাউন্ডও চলে এসেছে । আর এই কারণে এখন আপনাকে আবার নতুন করে কোটটি কে কেটে ব্যাকগ্রাউন্ড থেকে আলাদা করে নিতে হবে ।
তো এত ঝামেলা আর করতে হতনা যদি ইমেজটি ট্রান্সপারেন্ট হত । সোজা বিনা ঝকমারিতেই আপনি ছবিটিকে বসিয়ে দিতে পারতেন শরীরের ওপর । তখন একমাত্র কোটটিই বসত , বিনা ব্যাকগ্রাউন্ডে ।
• ট্রান্সপারেন্ট ইমেজ তৈরী করা অত্যন্ত সহজ ।
আপনি করবেন কী শুধুমাত্র ফটোশপে আপনার কাজগুলি শেষে ব্যাকগ্রাউন্ড লেয়ারটি ডিলিট করে ডিলিট করে দিবেন তাহলেই ইমেজটি ট্রান্সপারেন্ট হয়ে যাবে । তবে এইক্ষেত্রে লক্ষ রাখবেন যে আপনার অন্য লেয়ারগুলোতে ব্যাকগ্রাউন্ডসহ যাতে আর কোন ইমেজ আইটেম না থাকে ।
উদাহরণস্বরুপ¬¬¬¬¬¬¬¬
[[চিত্র -২]]
তারপর আপনি আপনার প্রথম লেয়ারে থাকা ছবিটি থেকে ম্যাজিক ওয়ান্ড টুল অথবা পেন টুলের সাহায্যে আপনার শরীরের ড্রেস পরিধান করা অংশটি সিলেক্ট করে আলাদা করে আলাদা করে নিন ।
অনেকেই আছেন যারা পাথ তৈরী করে কোন সিলেক্ট করতে ভালবাসেন । হা!! এই টুলটার কাজ সত্যিই সুন্দর তবে সময়সাপেক্ষ । সেইক্ষেত্রে যদি আপনার দ্রুত কাজ করাবার ইচ্ছা থাকে তাহলে ম্যাজিক ওয়ান্ড টুল দ্বারা সিঙ্গেল কালার সিলেক্ট করেও কাজটি সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে পারেন ।
শরীরের ড্রেস পরা অংশটি সিলেক্ট হওয়ার পর কন্টোল কী+J চাপলেই ড্রেসটি আলাদা লেয়ারে চলে যাবে । তারপর যে লেয়ারে শুধুমাত্র ড্রেসের অংশটি আছে সেটি নির্বাচন করে ম্যানুবার থেকে ইমেজ ম্যানু তারপর তারপর এডজাস্টমেন্ট তারপর হিউ ইন্ড স্যাচুরেশন অপশনটি সিলেক্ট করুন ।
[[চিত্র-৩]]
হিউ এন্ড স্যাচুরেশান অপশনটি দ্বারা ফটোশপে কোন ইমেজকে নানান রঙ্গে সাজানো হয় । হিউ কথাটির অর্থ হচ্ছে রং বা বর্ণ আর স্যাচুরেশন হলো রংয়ের সম্পৃক্ততা অর্থাৎ রঙ্গকে ঘণ করা বা ভিজানো ।
হিউ এন্ড স্যাচুরেশন ডায়ালগ বক্সটির নিচে দিকে খানিক ডানে দেখুন কালারাইজ নামক একটি অপশন আছে সেটিতে টিক দিন ।
আর আপনার পছন্দ মত হিউ স্লাইডার নাড়াচাড়া করে রং পছন্দ করুন তারপর স্যাচুরেশন স্লাইডার ব্যাবহার করে রংকে ঘণ করুন । এবং অবশেষে লাইটনেস স্লাইডারের সাহায্যে উজ্জলতা বাড়িয়ে ওকে ক্লিক করুন ।
তারপর অবশেষে লেয়ার দুটিকে কন্টোল+E চেপে মার্জ অর্থাৎ একত্রিত করে দিন ।
সতর্কঃ লেয়ার দুটিকে মার্জ করার পূবে অতিরিক্ত রংচটা অংশগুলোকে পাথ তৈরী করে ছেটে দিন ।
ব্যাস হয়ে গেল আপনার ড্রেস রং করা ।
উক্ত কর্মটি সম্পাদনের জন্য আরও অনেক সহজ উপায় রয়েছে । তবে সেই সব ক্ষেত্রে আপনার কাজটা এতটা গুণগত সম্প্ন্ন হবেনা । আর তাছাড়াও সহজ ভাবে কাজ শিখা ছোটদের কাজ আমরা এখন বড় হয়েছি না । !!!!!
যদিও লিখাটা দেখে বড় ও অনেক কঠিন মনে হতে পারে তবে আমি কিন্তু কাজটা সম্পাদন করেছি মাত্র তিনটা/চারটা অপশন ব্যবহার করে । তবে অন্যরা দেখার আগেই পোস্ট প্রিভিউতে আমার কাছেই লেখাটিকে অনেক বড় মনে হয়েছে । আসলে বিস্তারিত লিখতে গেলেই লেখা বেশি বড় হয়ে যায় । যেমনটা একটি ক্লাসের লেকচার দিতে থাকা টিচারের ক্ষেত্রে ঘটে । অধ্যয়ের মূল বিষয়টা বোঝাতে গিয়ে প্রায় লেকচারেই টিচার নানান কাহীনি জুড়ে দেন । কাহীনিটা এতটাই সেচুরেট হয় যে অবশেষে টিচার আর বুঝে পাননা যে কোথায় যেন ছিলেন তিনি ।
অবশ্য ছাত্রদের মাঝ থেকে কোন এক মনোযোগী ছাত্র তখন তাকে মনে করিয়ে দেন ‘স্যার আমরা ওমুক জায়গায় ছিলাম”
টিচারও তখন মূল বিষয়ে ফিরে যেতে তৎপর হন এবং দৈবভাবে তখনই বিদায় ঘন্টা বেজে ওঠে । স্কুল জীবনের এমন কাহীনি গুলোর শূন্যতা দারুণ অনুভব করি । সেইদিন আর আসবেনা ফিরে তবুও সেদিনকার কথাগুলো মনে করে সুখ নিতে ক্ষতি কই । তাইনা ।। ।
আজ আর নয়(যদিও চিঠি লিখছিনা!হাহাহা ) বিদায় । আশা রাখছি ভার্চূয়াল জগতের পরিচিতরা ভাল থাকবেন সবাই ।
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:০৭