somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

সামনের পথ আরো কঠিন হবে...

০২ রা অক্টোবর, ২০০৯ দুপুর ২:৩৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

শুরুটা যেভাবেই হোক। শুরুতো হয়েছে? লাভ ক্ষতি হিসেবের বালাই নেই। কীটনাশকের ভয়ও নেই। ধাক্কা ধাক্কি নেই। একটু বুঝে সুঝে পথ অতিক্রম করলেই হলো। আহবান জানাতেও বাধা, সেখানেও অভিযোগ নেই। যুদ্ধ চলছেই। চলবে। অস্তিত্ব রক্ষার জন্য এতো আয়োজন নয়। সুখের জন্য? না সেটাও নয়। একগাদা প্রশ্নের মুখোমুখি হওয়া বিরক্তিকর মনে হতে পারে। কেন যেন বিরক্তিটাই ভালো লেগে যায়। কি জানি। গল্প লিখবো? শুরুটা হয়। অসমাপ্তই থেকে যায়। কবিতা? ওরে বাপস-ডর করে। দেশের কথা? স্বাধীনতার কথা? ভাষা আন্দোলনের কথা? সেকেলে সেকেলে ভাব প্রকাশ পায়। বর্তমান নিয়ে মাথা না ঘামিয়ে কেন যে বারবার ফিরে যেতে মন চায়-সেটাও মাঝে মাঝে উঁকি মারে। গুতোগুতিও কম সহ্য করতে হয় না। এখন আর আহত করে না। তবুও ছুটে চলা। গন্তব্যহীন সে যাত্রা।
শর্ত জুড়ে দিয়ে এখন অপেক্ষায়। কথা রাখা না রাখা তাদের বিষয়। কিন্তু দায়িত্ব এড়িয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। বিশ্বাসের পাল্লাটা দিনকে দিন গাঁঢ় হচ্ছে। এটা বলতে কোন দ্বিধা নেই। প্রেম বিষয়ক কথাগুলো কত সহজেই বলা যায়। বলিও। আমি একা নই। সবাই। কম। বেশী। একজন নারী। অন্যজন পুরুষ। আগ্রহটা এমনিতেই বেড়ে যায়। আর দেশপ্রেম? শিকেয় তোলা আছে। মাঝে মাঝে নেড়ে চেড়ে দেখা। দারুণ অনুভূতি। গেল ২৬ মার্চে এ প্রজন্মের ক’জনকে দেখলাম। না না অবাক হইনি। মাথায় লাল সবুজের পতাকা বাঁধা। গায়ে গেঞ্জি। বাংলাদেশের মানচিত্র। রক্তাক্ত ইতিহাসের কিছু ছবি। পেট্রোল ভর্তি করে বাইক নিয়ে সর্বোচ্চ গতিতে ছুটে চলার প্রতিযোগিতা। হুম, এটাই শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর নতুন পদ্ধতি। দুর্গাপুজাতে দেখলাম, পিচ্চি ছেলেরা আনন্দে আত্মহারা হয়ে বাংলা মদ গিলে টালমাটাল অবস্থায় আছে। অন্য দৃষ্টিতে দেখার কারণ নাই। আনন্দ। নিছক আনন্দ। দশ হাজার মোমবাতি জ্বালিয়ে শহীদদের স্মরণ করার কথাটা ফলাও করে পত্রিকায় প্রকাশ পায়। বাস্তবে জ্বালানোও হয়। কবে যে শুনতে হবে শহীদদের স্মরণে গলা ভেজানো হচ্ছে। চাই উপলক্ষ। পাইলেই হইলো। ব্যস। খারাপ লাগার কোন মানে নেই। অতীত নিয়ে পড়ে থাকা বোকামী। নির্বুদ্ধিতার প্রকাশ। বর্তমানটাকে সাজাতে হবে। কেমন করে সাজানো হবে? কিছু কিছু অতীত যে, বারে বারে ফিরে আসে। অতীত থেকে শিক্ষা নাও। আরে মশাই অতীত কেন? অতীত, অতীতই। কি আর পাবার আছে? কিচ্ছু নেই। ছেঁড়া জালে কি আর মাছ ধরা যায়? ঐটা কোন বীরত্বগাঁথা ইতিহাস হলো? দু’চারটি এটম বোমা ব্যবহার করলেইতো ল্যাঠা চুকে যেত। গেরিলা যুদ্ধ। সম্মুখ যুদ্ধ। সম্ভ্রম হারানো মা, বোনদের কথা। স্বজন হারানোর বেদনা। বাপের বা মায়ের ভাই অথবা বোন। আমার কে? মনে রাখার প্রয়োজন নেই। তাইতো কেন মনে রাখতে হবে?
জন্ম থেকে বাংলায় কথা বলছি, সেইটা কেমনে এলো, কেমনে হলো-জানার দরকার নেই। মাঝে মাঝেতো এইসব বিষয় নিয়ে কথা উঠে। তাতেই যথেষ্ট। স্বপ্ন দেখো। স্বপ্ন বোনো। দেখা যাক কতদিন আর এই স্বপ্ন দেখার অভিযান চলে? কতদিন আর বোকা হয়ে থাকে? দাফনের চিত্রটা আরো করুণ। জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান তাঁরা। তারপরও তাঁদের সহ্য করতে হয়। বিনা চিকিৎসায় মৃত্যুর সাথে সন্ধি করতে হয়। মরলে ব্যথা পাই। জীবদ্দশায়?
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কি হবে? হবে না। কেন হবে না? বিচার করলে যে সামনের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার সম্ভাবনা ক্ষীণ হতে পারে। তার চাইতে সেই ভালো মুলো ঝুলিয়ে কার্য হাসিল করা। চলুক না কটা বছর?
আমরা সেটা দেখার অপেক্ষায়। কারণ সামনের পথ আরো কঠিন হবে...
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

=আকাশে তাকিয়ে ডাকি আল্লাহকে=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:০১


জীবনে দুঃখ... আসলে নেমে
শান্তি গেলে থেমে;
আমি বারান্দায় দাঁড়িয়ে হই উর্ধ্বমুখী,
আল্লাহকে বলি সব খুলে, কমে যায় কষ্টের ঝুঁকি।

আমি আল্লাহকে বলি আকাশে চেয়ে,
জীবন নাজেহাল প্রভু দুনিয়ায় কিঞ্চিত কষ্ট পেয়ে;
দূর করে দাও সব... ...বাকিটুকু পড়ুন

"ছাত্র-জনতার বেপ্লবের" ১৮ মাস পরে, আপনার ভাবনাচিন্তা ঠিক আগের মতোই আছে?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:৫৭



২০২৪ সালের পহেলা জুলাই "ছাত্র-জনতার বেপ্লব শুরু হয়, "৩৬শে জুলাই" উহা বাংলাদেশে "নতুন বাংলাদেশ" আনে; তখন আপনি ইহাকে ব্যাখ্যা করেছেন, ইহার উপর পোষ্ট লিখেছেন, কমেন্ট করেছেন; আপনার... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের হাদিকে গুলি করা, আর আওয়ামী শুয়োরদের উল্লাস। আমাদের ভুল কোথায়?

লিখেছেন তানভির জুমার, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:৫৩



৩০ জনের একটা হিটলিস্ট দেখলাম। সেখানে আমার ও আমার স্নেহের-পরিচিত অনেকের নাম আছে। খুব বিশ্বাস করেছি তা না, আবার খুব অবিশ্বাস করারও সুযোগ নাই। এটাই আমার প্রথম... ...বাকিটুকু পড়ুন

এ যুগের বুদ্ধিজীবীরা !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১:৪০


ডিসেম্বর মাসের চৌদ্দ তারিখ বাংলাদেশে বুদ্ধিজীবী দিবস পালন করা হয়। পাকিস্তান মিলিটারী ও তাদের সহযোগীরা মিলে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে হত্যা করেন লেখক, ডাক্তার, চিকিৎসক সহ নানান পেশার বাংলাদেশপন্থী বুদ্ধিজীবীদের!... ...বাকিটুকু পড়ুন

টাঙ্গাইল শাড়িঃ অবশেষে মিললো ইউনস্কর স্বীকৃতি

লিখেছেন কিরকুট, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:৫৭



চারিদিকে যে পরিমান দুঃসংবাদ ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে এর মধ্যে নতুন এক গৌরবময় অধ্যায়ের সূচনা হলো বাংলাদেশের টাঙ্গাইলের তাতের শাড়ি এর জন্য, ইউনেস্কো এই প্রাচীন হ্যান্ডলুম বুননের শিল্পকে Intangible Cultural... ...বাকিটুকু পড়ুন

×