হঠাৎ করেই সামু তে আসা। এখানে এসে এখানকার লেখকদের লেখা পড়ে, একজন লেখকের লেখায় আরেকজন লেখকের মন্তব্য পড়ে, একজন ব্লগারের সাথে আরেকজন ব্লগারের সুসম্পর্ক, সবকিছু দেখে অনেক বেশী ভালো লেগে যায়।
নিজেকে লেখক বলে দাবী করার দুঃসাহস নেই আমার। তবে ফেসবুক এ দু একটা কবিতা ও ছোটখাটো লেখা লিখে পরিচিত জন দের কাছে থেকে প্রশংসা পেয়েছি, যদিও সেখানে লেখা টা নিয়মিত ছিলনা। মাঝে মাঝে মন চাইলে ভালো লাগলে লেখা হতো।
কিন্তু এটা স্বাভাবিক, সবার ই মন চায় নিজের লেখা সম্পর্কে মতামত জানতে কেমন হল কিংবা আরও একটু কেমন হলে আরও একটু বেশী ভালো হতো তা জানতে, তাই কিছুটা লোভ ও লাগল নিজের পরিচিত মহলের বাইরে যারা আমাকে ব্যক্তিগত ভাবে চেনেনা এমন মানুষগুলো, যারা নিজেরাই লেখক তাদের মাঝে আমার আনাড়ি হাতের লেখা গুলোকে ছড়িয়ে দেই। জানতে ইচ্ছে হল খুব, কেমন লাগে তাদের কাছে আমার লেখা।
আর বরাবর ই আমার মানুষের ভালোবাসা, স্নেহ পাওয়ার খুব শখ, সামুর সবকিছু দেখে লেখা লেখার শখের সাথে সাথে মানুষের ভালোবাসা পাওয়ার লোভ টা ও আরও বেশী বেড়ে গেল।
যেই ভাবা সেই কাজ, খুলে ফেললাম সামু তে একাউন্ট আর খুব বেশী চিন্তা ভাবনা না করে লিখে ফেললাম নতুন একটা কবিতা, পোস্ট ও করলাম।
এভাবে অনেক বেশী ভালো লাগা নিয়ে পুরোপুরি অপরিচিত একটি পথে এক ঝাক গুণী লেখকের সাথে সামু তে আমার পথ চলা শুরু। এ পথ চলতে চলতে কোথায় পৌছাব, কতদুর যাব এমন কোন চিন্তা ভাবনা বা উদ্দেশ্য আসলে মনে ছিলনা। নিজের লেখা এত বড় একটি প্লাটফর্ম এ পোস্ট করতে পারছি, এক ঝাক গুণী লেখকের লেখা পড়ছি, তাদের সংস্পর্শে আছি এটাই আমার কাছে অনেক বড় কিছু।
প্রথম কবিতা পোস্ট করার সাথে সাথে দেখি মোঃ নিজাম উদ্দিন মণ্ডল ভাই এর মন্তব্য, কি যে খুশী লাগল তখন। নিজাম ভাই ছিলেন সামু তে আমার প্রথম পোস্ট এর প্রথম মন্তব্য কারী। তারপর দেখি কাওসার চৌধুরী ভাই ও আবু আফিয়া আপু। এই তিনজন মানুষ সামু তে আমার প্রথম পোস্ট এর প্রথম ৩ জন মন্তব্য কারী।
তারপর নিজাম ভাই ও আবু আফিয়া আপু হারিয়ে যায় কিছুদিনের জন্য। কিন্তু যেই মানুষটা সেই প্রথম থেকে আজ পর্যন্ত আমাকে লেখার জন্য উৎসাহ, পরামর্শ, দিক নির্দেশনা ও সাপোর্ট দিয়ে আমার পাশে আছেন, তিনি কাওসার চৌধুরী ভাই। ভাইয়া কে ধন্যবাদ দিয়ে ছোট করবোনা। একজন নতুন ব্লগার/ লেখকের জন্য একজন সিনিয়র ব্লগার/লেখকের সাপোর্ট অনেক বেশী সাহস সঞ্ছয়কারক ও উৎসাহ জনক যেটা প্রথম থেকে কাউসার ভাই এর কাছে থেকে পেয়ে আসছি।
এরপর অনেকদিন পর আবার খুজে পাই নিজাম ভাই কে। তার উৎসাহে আমি এখন মাঝে মাঝে ছড়া লিখি।
এভাবে পথ চলতে চলতে ধীরে ধীরে জানতে পারি সেফ হওয়া কি, প্রথম পাতা কি। তখন এই আনাড়ি লেখিকার মনে ও খুব ইচ্ছে জাগে সেফ হওয়ার, লেখা প্রথম পাতায় প্রকাশ পাওয়ার।
কিন্তু ইদানিং দু একটা লেখায় পড়লাম অনেকে অনেক মাস এমন কি বছর পার করে তারপর সেফ হয়েছেন। তখন হতাশ মনে সেফ হওয়ার ইচ্ছে ছেড়েই দিয়েছিলাম।
কিন্তু আজ সকালেই দুর্ঘটনা টা ঘটল। দীর্ঘ এক মাস এক সপ্তাহ পর খুশী হওয়ার সাথে সাথে মনের মধ্যে আরও ভয় ও সংকোচ কাজ করছে কারন এতদিন আমার লেখা প্রথম পাতায় যায়নি আর এখন সরাসরি আমার লেখা প্রথম পাতায় যাবে সেখানে আরও বেশী পাঠক আমার লেখা পড়বে, আর প্রথম পাতায় জায়গা পেতে হলে লেখা মানসম্পন্ন হতে হয়, সবকিছু মিলিয়ে এখন থেকে নতুন যা কিছু লিখব আগের চেয়ে আরও দশবার বেশী ভাবতে হবে। বিষয়টা অনেক বেশী চিন্তার। কারন প্রশংসা, কিংবা জায়গা পাওয়া যত টা না কঠিন তার চেয়ে কঠিন সেটি ধরে রাখা।
আরও যেসব ব্লগার বন্ধু কিংবা ভাই ও বোন দের আমার পোস্ট এ মন্তব্য করার মাধ্যমে, তাদের পরামর্শ, উৎসাহ, অনুপ্রেরনা ও সাপোর্ট এর সাহায্যে আজ আমার প্রথম পাতা পর্যন্ত পৌঁছানো তারা হলেন,
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন, বিজন রয়, রাজিব নুর, মোস্তফা সোহেল, প্রামানিক, সেলিম আনোয়ার, মনিরুল ইসলাম বাবু, শামচুল হক, মোঃ মাউদুল সরকার, শাহরিয়ার কবীর, খালেদা শাম্মী, সাইন বোর্ড, মনিরা সুলতানা, করুনাধারা, ফারহানা সুন্দর মন, মিথী_মারজান, জুনায়েদ বি রাহমান, ওবায়দুল হক, মীর সাজ্জাদ, পবন সরকার, কাইকর, বৃষ্টি বিন্দু, নাজিম সৌরভ, আকতার আর হোসাইন, ঠাকুরমাহমুদ, জোকস, প্রান্তর পাতা, ন্যায়দন্ড, নিশাচড়, সৈয়দ ইসলাম, নূর মোহাম্মদ নূরু, উদাস মাঝি, আখেনাটেন, সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই, রোকনুজ্জামান খান, তারেক_মাহমুদ, মোঃ মাইদুল সরকার (ভুল বশত যদি কার ও নাম বাদ পড়ে যায় আমি খুব ই দুঃখিত)
আর অবশ্যই ধন্যবাদ সামু মোডারেটর দের আমাকে প্রথম পাতায় লেখার সুযোগ দেওয়ার জন্য।
এবং আমার প্রিয় ব্লগার বন্ধু/ভাই/ বোন, এতদিন আপনাদের সাপোর্ট এ যেমন প্রথম পাতা পর্যন্ত পৌছাতে পেরেছি আশা করছি সামনের দিনগুলোতে আরও ভালো কিছু লিখতে আগের মত আপনাদের সাপোর্ট পাবো। ভালো লাগার পাশাপাশি আমার লেখা আপনাদের যদি ভালো নাও লাগে সেটা ও জানালে খুশী হব কিংবা আরও একটু কিভাবে হলে ভালো হতো এমন পরামর্শ ।
বিঃ দ্রঃ আনন্দ কিংবা খুশী নাকি বাটলে বাড়ে তাই আমার আনন্দের/খুশীর খবর সবার সাথে বাটতে আসা। আর যদি কেউ মিষ্টি খাওয়ার কথা বলেন, এখন ইফতারির সময় না হওয়াতে মিষ্টি খাওয়াতে পারছিনা বলে দুঃখিত। ইফতারির পর নিজ নিজ দায়িত্বে কথার ফুলঝুরির নাম করে কিনে খেতে পারেন
পরিশেষে অনেক অনেক ধন্যবাদ ধৈর্য নিয়ে আমার লেখাটি পড়ার জন্য।
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:০১