"ভালোবাসা"- আমি কিন্তু ভালোবাসা মানে লাভ, তার কথা বলছি ভালো একটা বাসা না বাসা যেমনই হোক ভালোবাসা টা কিন্তু হওয়া চাই একদম মনের মত ভালো সেটা অতিথির ভালোবাসা হোক, শিক্ষকের ভালোবাসা হোক আর হোক অন্য যে কোন ভালোবাসা ।
কে না চায় ভালোবাসা পেতে। আমরা সবাইই চাই আমাদেরকে সবাই ভালোবাসুক । তবে কেউ যদি বলে থাকে যে আমি চাইনা কেউ আমাকে ভালোবাসুক তাহলে বুঝে নিতে হবে সে তার জীবনে ভালোবাসা নিয়ে বড় ধরনের কোন অঘটন ঘটিয়েছে
তবে ভালোবাসা বলতে আমরা সাধারণত যা বুঝি সেই ভালোবাসা ছাড়াও আরও অনেক ধরনের ছোটখাটো ভালোবাসা আছে সেই ভালোবাসাও যতই ভালো হোক না কেন তা যখন অতিরিক্ত হয়ে যাবে তখন কিন্তু আর সেই ভালোবাসা ভালো লাগবেনা কিভাবে ? তাহলে নিচের লেখাগুলো তে একটু চোখ বুলিয়ে নেই ---------- -
১। কারও বাড়িতে অতিথি হয়ে গেলে তার ভালোবাসা – অতিথি পরায়ন জাতি হিসেবে আমাদের খুব সুনাম । বাড়িতে অতিথি এলে হয় নানা রকম খাবারের আয়োজন কিন্তু যার বাড়িতে আপনি অতিথি হয়ে যাবেন যতক্ষণ পর্যন্ত তিনি আপনাকে পরিমিত ভালোবাসবেন ততক্ষণ পর্যন্ত সব ঠিক কিন্তু ঝামেলাটা বাজবে তখনই যখন তিনি আপনাকে একটু বেশীই ভালোবাসবেন । ভালোবেসে খাওয়াতে খাওয়াতে আপনার পেটের অবস্থা খারাপ করে দিবেন তখন বুঝবেন সেই ভালোবাসা কত বিরক্তিকর । কিংবা আপনার হয়তো একটু বাসায় যাওয়ার তাড়া অথচ তিনি? আর একটু থাকেন আর একটু থাকেন বলে বলে আপনার বারোটা বাজিয়ে দিবে ।
২। আপনার বাড়িতে অতিথি – আপনি কারও বাড়িতে অতিথি হয়ে গেলে পরবেন এক রকম বিপত্তিতে আর যখন আপনার নিজের বাড়ীতেই অতিথি ? আপনার কিছু ভালোবাসার মানুষ দুইদিন পর পরেই আপনার বাড়িতে আসবেন অতিথি হয়ে আর আপনাকে করতে হবে বাড়তি ঝামেলা । রান্না বান্না থেকে শুরু করে ঘর গোছানো । আর সেই অতিথি যদি হয় এমন যে সে আপনার বাড়ীতে এসে থাকবে কিছুদিন তাহলে তো কথাই নেই । প্রতিদিনই সেই অতিথিকে আদর আপ্যায়ন করতে গিয়ে আপনার বাজবে বারোটা থেকে তেরটা।
৩। শিক্ষকের ভালোবাসা – ছাত্র জীবনে যখন কারও সাথে শিক্ষক শিক্ষিকাদের একটু বেশী খাতির থাকে তখন সেই মানুষটিরও একটু ভাব বেশী থাকে । কিন্তু যখন পরীক্ষার হলে থাকবেন পরীক্ষা দিতে আর আপনার সেই ভালোবাসার শিক্ষক আপনার পাশে থেকে নড়বেনই না তখন আপনিও আপনার ঘাড়খানি নাড়াতে পারবেন না কোন বিষয়ে বন্ধুর সাহায্য নেওয়ার জন্য আর তখনই বুঝবেন বেশী ভালোবাসার বিড়ম্বনা
৪। অফিসের বসের ভালোবাসা-- অফিসে বসের ভালোবাসা একদিক দিয়ে আপনাকে দিবে সুবিধা আবার মাঝে মাঝে দিবে খুবই অসুবিধা । যেহেতু অসুবিধার কথা বলতে এসেছি তাই সুবিধার দিকে আর না হয় না গেলাম । বেশীরভাগ অফিসের বসেরা সাধারণত অফিস শুরু করে দেরীতে শেষও করে দেরীতে । কিন্তু বস যখন আপনাকে একটু বেশী ভালোবাসবে তখন সেও আপনাকে তাকে সঙ্গ দেবার জন্য আটকে রাখবে অফিস ছুটির পরেও । আবার ধরেন আপনি একটু কাজ ভালো পারেন বলে বস আপনাকে পছন্দ করেন কিন্তু যখন দেখবেন অন্য কারও কাজও আপনার উপর চাপিয়ে দিবে বস তখন বুঝবেন অতিরিক্ত ভালোবাসার কি জ্বালা ।
৫। পাড়ার ভাই ব্রাদারদের ভালোবাসা --- পাড়ার বড় ভাই কিংবা ছোট ভাইরা ভালো বাসলে একটু ভালো লাগাটাই স্বাভাবিক । কিন্তু ভালোবেসে তারা যখন হুট হাট দলবল নিয়ে হাজির হয়ে যাবে আপনার বাড়ীতে খাওয়ার জন্য আর তাঁদের জন্য রান্না করতে করতে বিরক্ত আপনার বউ বা মা এর বকা খেতে হবে আপনাকে তখন ?
-------------------------------------------------------------------------------------------------
গত জুন মাস থেকে লেখাটি নিয়ে বসে আছি লেখার আইডিয়াটা কেমন বুঝতে পারছিনা তবে খুব একটা ভালো বলে মনেও হচ্ছেনা আবার অনেক চিন্তা ভাবনা করে আর কোন পয়েন্ট মনেও আসছেনা । একবার মনে হচ্ছে লেখাটি অসম্পূর্ণ আবার এই লেখাটি নিয়ে আর বসতেও মন চাইছেনা আবার এত কষ্ট করে লিখেছি তা মুছে ফেলতে ও মন চায়না । সব মিলিয়ে একটি হযবরল অবস্থা আজ ভাবলাম যা থাকে কপালে দেই পোস্ট করে গত দুদিন ব্লগে একটু ক্যাচালের ঘ্রাণ পাচ্ছিলাম । সবাই মনে হয় খুব সিরিয়াস মুডে আছে এই অবস্থায় তাঁদের মন পাঠক যদি লেখাটিকে একটি ম্যাও প্যাঁও ক্যাও ম্যাও যা খুশী তাই পোস্ট হিসেবে নেয় লেখিকা কষ্ট পাইবেন নহে
লেখাটির কোন উপসংহার দিলাম না যারা পড়বেন নিজের মনের মত করে চিন্তা করে নিয়েন । স্কুলে থাকতে একটি ম্যাডাম ছিলেন। ক্লাসে তিনি লিখতে দিতেন এবং লেখার ভুমিকা ও উপসংহার সবাইকে চিন্তা ভাবনা করে নিজে থেকে লিখতে বলতেন এবং তার উপর সে নম্বর দিতেন । আমি সেই বিষয়টি খুব এনজয় করতাম । এখানেও এমন কিছু থাকলে খারাপ হতোনা
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৪:৫৮