somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

সাত পাঁচ বার :|

০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১০:৫০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



"ভালোবাসা"- আমি কিন্তু ভালোবাসা মানে লাভ, তার কথা বলছি ভালো একটা বাসা না :P বাসা যেমনই হোক ভালোবাসা টা কিন্তু হওয়া চাই একদম মনের মত ভালো ;) সেটা অতিথির ভালোবাসা হোক, শিক্ষকের ভালোবাসা হোক আর হোক অন্য যে কোন ভালোবাসা ।
কে না চায় ভালোবাসা পেতে। আমরা সবাইই চাই আমাদেরকে সবাই ভালোবাসুক । তবে কেউ যদি বলে থাকে যে আমি চাইনা কেউ আমাকে ভালোবাসুক তাহলে বুঝে নিতে হবে সে তার জীবনে ভালোবাসা নিয়ে বড় ধরনের কোন অঘটন ঘটিয়েছে :-0
তবে ভালোবাসা বলতে আমরা সাধারণত যা বুঝি সেই ভালোবাসা ছাড়াও আরও অনেক ধরনের ছোটখাটো ভালোবাসা আছে সেই ভালোবাসাও যতই ভালো হোক না কেন তা যখন অতিরিক্ত হয়ে যাবে তখন কিন্তু আর সেই ভালোবাসা ভালো লাগবেনা :|| কিভাবে ? তাহলে নিচের লেখাগুলো তে একটু চোখ বুলিয়ে নেই ---------- -

১। কারও বাড়িতে অতিথি হয়ে গেলে তার ভালোবাসা – অতিথি পরায়ন জাতি হিসেবে আমাদের খুব সুনাম । বাড়িতে অতিথি এলে হয় নানা রকম খাবারের আয়োজন :D কিন্তু যার বাড়িতে আপনি অতিথি হয়ে যাবেন যতক্ষণ পর্যন্ত তিনি আপনাকে পরিমিত ভালোবাসবেন ততক্ষণ পর্যন্ত সব ঠিক কিন্তু ঝামেলাটা বাজবে তখনই যখন তিনি আপনাকে একটু বেশীই ভালোবাসবেন । ভালোবেসে খাওয়াতে খাওয়াতে আপনার পেটের অবস্থা খারাপ করে দিবেন তখন বুঝবেন সেই ভালোবাসা কত বিরক্তিকর । কিংবা আপনার হয়তো একটু বাসায় যাওয়ার তাড়া অথচ তিনি? আর একটু থাকেন আর একটু থাকেন বলে বলে আপনার বারোটা বাজিয়ে দিবে ।

২। আপনার বাড়িতে অতিথি – আপনি কারও বাড়িতে অতিথি হয়ে গেলে পরবেন এক রকম বিপত্তিতে আর যখন আপনার নিজের বাড়ীতেই অতিথি ? আপনার কিছু ভালোবাসার মানুষ দুইদিন পর পরেই আপনার বাড়িতে আসবেন অতিথি হয়ে আর আপনাকে করতে হবে বাড়তি ঝামেলা । রান্না বান্না থেকে শুরু করে ঘর গোছানো । আর সেই অতিথি যদি হয় এমন যে সে আপনার বাড়ীতে এসে থাকবে কিছুদিন তাহলে তো কথাই নেই । প্রতিদিনই সেই অতিথিকে আদর আপ্যায়ন করতে গিয়ে আপনার বাজবে বারোটা থেকে তেরটা।

৩। শিক্ষকের ভালোবাসা – ছাত্র জীবনে যখন কারও সাথে শিক্ষক শিক্ষিকাদের একটু বেশী খাতির থাকে তখন সেই মানুষটিরও একটু ভাব বেশী থাকে । কিন্তু যখন পরীক্ষার হলে থাকবেন পরীক্ষা দিতে আর আপনার সেই ভালোবাসার শিক্ষক আপনার পাশে থেকে নড়বেনই না তখন আপনিও আপনার ঘাড়খানি নাড়াতে পারবেন না কোন বিষয়ে বন্ধুর সাহায্য নেওয়ার জন্য আর তখনই বুঝবেন বেশী ভালোবাসার বিড়ম্বনা :-<

৪। অফিসের বসের ভালোবাসা-- অফিসে বসের ভালোবাসা একদিক দিয়ে আপনাকে দিবে সুবিধা আবার মাঝে মাঝে দিবে খুবই অসুবিধা । যেহেতু অসুবিধার কথা বলতে এসেছি তাই সুবিধার দিকে আর না হয় না গেলাম । বেশীরভাগ অফিসের বসেরা সাধারণত অফিস শুরু করে দেরীতে শেষও করে দেরীতে । কিন্তু বস যখন আপনাকে একটু বেশী ভালোবাসবে তখন সেও আপনাকে তাকে সঙ্গ দেবার জন্য আটকে রাখবে অফিস ছুটির পরেও । আবার ধরেন আপনি একটু কাজ ভালো পারেন বলে বস আপনাকে পছন্দ করেন কিন্তু যখন দেখবেন অন্য কারও কাজও আপনার উপর চাপিয়ে দিবে বস তখন বুঝবেন অতিরিক্ত ভালোবাসার কি জ্বালা ।

৫। পাড়ার ভাই ব্রাদারদের ভালোবাসা -
-- পাড়ার বড় ভাই কিংবা ছোট ভাইরা ভালো বাসলে একটু ভালো লাগাটাই স্বাভাবিক । কিন্তু ভালোবেসে তারা যখন হুট হাট দলবল নিয়ে হাজির হয়ে যাবে আপনার বাড়ীতে খাওয়ার জন্য আর তাঁদের জন্য রান্না করতে করতে বিরক্ত আপনার বউ বা মা এর বকা খেতে হবে আপনাকে তখন ?

-------------------------------------------------------------------------------------------------
গত জুন মাস থেকে লেখাটি নিয়ে বসে আছি :| লেখার আইডিয়াটা কেমন বুঝতে পারছিনা তবে খুব একটা ভালো বলে মনেও হচ্ছেনা আবার অনেক চিন্তা ভাবনা করে আর কোন পয়েন্ট মনেও আসছেনা । একবার মনে হচ্ছে লেখাটি অসম্পূর্ণ আবার এই লেখাটি নিয়ে আর বসতেও মন চাইছেনা আবার এত কষ্ট করে লিখেছি তা মুছে ফেলতে ও মন চায়না । সব মিলিয়ে একটি হযবরল অবস্থা :| আজ ভাবলাম যা থাকে কপালে দেই পোস্ট করে :P গত দুদিন ব্লগে একটু ক্যাচালের ঘ্রাণ পাচ্ছিলাম । সবাই মনে হয় খুব সিরিয়াস মুডে আছে এই অবস্থায় তাঁদের মন পাঠক যদি লেখাটিকে একটি ম্যাও প্যাঁও ক্যাও ম্যাও যা খুশী তাই পোস্ট হিসেবে নেয় লেখিকা কষ্ট পাইবেন নহে :(
লেখাটির কোন উপসংহার দিলাম না যারা পড়বেন নিজের মনের মত করে চিন্তা করে নিয়েন । স্কুলে থাকতে একটি ম্যাডাম ছিলেন। ক্লাসে তিনি লিখতে দিতেন এবং লেখার ভুমিকা ও উপসংহার সবাইকে চিন্তা ভাবনা করে নিজে থেকে লিখতে বলতেন এবং তার উপর সে নম্বর দিতেন । আমি সেই বিষয়টি খুব এনজয় করতাম । এখানেও এমন কিছু থাকলে খারাপ হতোনা B-)
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৪:৫৮
১৬টি মন্তব্য ১৬টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

দু'টো মানচিত্র এঁকে, দু'টো দেশের মাঝে বিঁধে আছে অনুভূতিগুলোর ব্যবচ্ছেদ

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১২:৩৪


মিস ইউনিভার্স একটি আন্তর্জাতিক সুন্দরী প্রতিযোগিতার নাম। এই প্রতিযোগিতায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সুন্দরীরা অংশগ্রহণ করলেও কখনোই সৌদি কোন নারী অংশ গ্রহন করেন নি। তবে এবার রেকর্ড ভঙ্গ করলেন সৌদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার প্রফেশনাল জীবনের ত্যাক্ত কথন :(

লিখেছেন সোহানী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সকাল ৯:৫৪



আমার প্রফেশনাল জীবন বরাবরেই ভয়াবহ চ্যালেন্জর ছিল। প্রায় প্রতিটা চাকরীতে আমি রীতিমত যুদ্ধ করে গেছি। আমার সেই প্রফেশনাল জীবন নিয়ে বেশ কিছু লিখাও লিখেছিলাম। অনেকদিন পর আবারো এমন কিছু নিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি হাসান মাহবুবের তাতিন নই।

লিখেছেন ৎৎৎঘূৎৎ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



ছোটবেলা পদার্থবিজ্ঞান বইয়ের ভেতরে করে রাত জেগে তিন গোয়েন্দা পড়তাম। মামনি ভাবতেন ছেলেটা আড়াইটা পর্যন্ত পড়ছে ইদানীং। এতো দিনে পড়ায় মনযোগ এসেছে তাহলে। যেদিন আমি তার থেকে টাকা নিয়ে একটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সাংঘাতিক উস্কানি মুলক আচরন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৪



কি সাঙ্ঘাতিক উস্কানিমুলক আচরন আমাদের রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রীর । নাহ আমি তার এই আচরনে ক্ষুব্ধ । ...বাকিটুকু পড়ুন

×