লন্ডনে একটি আকাশচুম্বী ভবনের কাচ থেকে প্রতিফলিত সূর্যরশ্মির তাপে গলে গেছে কাছেই পার্ক করে রাখা একটি বিলাসবহুল গাড়ির কাচ। খরচ কমানোর উদ্দেশে সুউচ্চ দালানগুলোতে কাচের বাড়াবাড়ি ব্যবহার কতোটা বিপজ্জনক হতে পারে তার একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত বলে দেখা হচ্ছে এ ঘটনাকে।
লন্ডনের বীমা কোম্পানি অধ্যুষিত এলাকার ওয়াকিটকি টাওয়ার থেকে প্রতিফলিত সূর্যরশ্মিতে গত সপ্তাহে এ ঘটনা ঘটে। ওই ভবনটি নির্মাণ করেছে ক্যানারি হোয়ারপ অ্যান্ড ল্যান্ড সিকিউরিটিজ নামে একটি নির্মাণ প্রতিষ্ঠান। ভবনের প্রতিফলিত রশ্মিতে পাশেই পার্ক করে রাখা জাগুয়ার মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার জন্য এখন ওই নির্মাণ প্রতিষ্ঠানকেই দুষছে সবাই।
জানা গেছে, ভবনটির স্থপতি উরুগুয়ে বংশোদ্ভূত রাফায়েল ভিনোলি। আর ভবনটির এভাবে নকশা করার উদ্দেশ্যই ছিল উপরের তলাগুলোর নির্মাণ খরচ কমানো। অথচ ওইসব তলায় ভাড়া সব সময়ই বেশি হয়।
কিন্তু এ ধরনের আকৃতি বিবর্ধক লেন্সের মতো কাজ করে। এ ভবনের কাচ দিনে প্রায় দুই ঘণ্টা বিবর্ধিত সূর্যালোক প্রতিফলিত করে যা কোনো কিছুর গায়ে পড়লে প্রচণ্ড তাপে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
গত সোমবার ওই নির্মাণ প্রতিষ্ঠানটি দুঃখ প্রকাশ করে বলেছে, খুব শিগগিরই তারা সমস্যাটির একটা স্থায়ী সমাধান করে দেবে।
ক্ষতিগ্রস্ত গাড়ির মালিক মার্টিন লিনডসে জানান, ওই ভবনটির ঠিক বিপরীত পাশে তিনি মাত্র এক ঘণ্টার জন্য গাড়ি পার্ক করে কাজে গিয়েছিলেন। ফিরে এসে দেখেন গাড়ির উইং মিরর, প্যানেল এবং জাগুয়ার ব্যাজ গলে গেছে।
তিনি বলেন, ‘এরকম ঘটনা ঘটতে পারে এটা আপনি বিশ্বাস করতে পারেন? তাদের অবশ্যই এর একটা বিহিত করতে হবে।’
স্থপতি ভিনোলির নকশা করা কোনো ভবনে যে এবারই প্রথম এমন ঘটনা ঘটলো তা নয়। এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের লাস ভেগাসে ভিডারা হোটেল ভবনে এমন ঘটনা ঘটেছিল বলে অভিযোগ রয়েছে।
অবশ্য মঙ্গলবার সেই স্থপতি রাফায়েল ভিনোলির লন্ডন কার্যালয়ে এ ব্যাপারে মন্তব্য করার মতো কাউকে পাওয়া যায়নি।
উল্লেখ্য, ক্যানারি হোয়ারপ গ্রুপের বেশিরভাগ শেয়ার সংবার্ড এস্টেট কোম্পানির। তারা ৩৭তলা বিশিষ্ট আরেকটি ভবন নির্মাণ করছে। আগামী বছর ভবনের দুই তৃতীয়াংশ নির্মাণ সম্পন্ন করেই খুলে দেয়া হবে বলে তারা আশা করছে।