somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ভারতের দেওবন্দ নিয়ে দস্তার রাজদরবারের ঐতিহাসিক স্ট্যাটাস এবং আমার প্রথম নোট

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১০:৪৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

দস্তার রাজদরবারের সাথে আমার প্রথম দেখা হয় আনুমানিক ৫ বছর আগে বুয়েটের সেন্ট্রাল মসজিদে, সেখানে তার সাথে আমার প্রথম পরিচয়। বেশি জটিল কথা বলা দস্তারকে প্রথমে আঁতেল ভাবলেও পরে টের পেয়েছিলাম কি ধরনের ট্যালেন্ট সে। সে তার ছোট্ট বক্তব্য দিয়ে আমাকে খুব সহজেই বুঝিয়ে দিতে সক্ষম হয়েছিল ভারতে মুসলমানরা কিভাবে হিন্দুদের দ্বারা নিপীড়িত হচ্ছে এবং হিন্দুরা কতটুকু জঘণ্য চরিত্রের অধিকারী।
গত পরশুদিন রাতে সেই দস্তার রাজদরবারের একটি স্ট্যাটাস (Click This Link) আমার নজরে আসে। হিন্দুদের সর্বদা বাশদাতা দস্তার এ স্ট্যাটাসটিতে অতিপরিচিত একটি মুসলিম জনগোষ্টীকে তথা দেওবন্দীদেরকে হিন্দু বলে দাবি করেছে। দস্তার রাজদরবারের সেই ঐতিহাসিক স্ট্যাটাসটির বিষয় নিয়েই আমি আজ আমার প্রথম নোট লিখব। আর আমার লেখা প্রথম নোট হিসেবে এটা আমার কাছে অবশ্যই স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
ভারতের মুসলমানদের ইতিহাস বীরত্ব গাথা। শিহাবুদ্দিন ঘোরী কিংবা মুহম্মদ বিন ক্বাসিম রহমতুল্লাহির ইতিহাস তা সত্য বলে প্রমাণ করে। সামান্য সৈন্যবাহিনী নিয়ে কিভাবে উনারা এ উপমহাদেশে কর্তৃত্ব লাভ করেছেন তা আজও আমরা গর্বের সাথে স্মরণ করি। অনুরূপ দেখা যায় দস্যু ব্রিটিশদের আমলেও। সেই সময় প্রায় সবগুলো ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলন হয়েছিল মুসলমানদের মাধ্যমে। সিপাহি বিপ্লব, মহিশুরের শাসক হযরত টিপু সুলতান রহমতুল্লাহির যুদ্ধ, বালাকোটে ইংরেজসহযোগী শিখদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ, বাশেরকেল্লায় হযরত মীর শহীদ তীতুমীর রহমতুল্লাহির যুদ্ধ এরকম আরো বহু ইতিহাস পাওয়া যাবে সেই সময়কার বীর মুসলমানদের কীর্তি থেকে।
কিন্তু দুঃখের সাথে বলতে হয়, দেশভাগ হওয়ার পর পরিস্থিতি সম্পূর্ণ ভিন্ন হয়ে গেছে। জনসংখ্যার দিক থেকে যদিও এখন মুসলমানরা এখানে হয়েছে সংখ্যাগুরু (ভারত-বাংলাদেশ-পাকিস্তান ও আফগানিস্তান মিলে) হয়েছে কিন্তু তারপরও অবধারিতভাবে মার খেয়ে যাচ্ছে তারা।
দেখুন!! যেখানে স্পেনে একটা খ্রিস্টান মেয়ে ধর্ষিত হয়েছিল বলে তার প্রতিশোধ তুলতে তারিক বিন যিয়াদ রহমতুল্লাহির নেতৃত্বে সেখানে গিয়েছিল মুসলমানরা। কিন্তু সেই মুসলমানরাই আজ ভারতে নিজের মেয়ে ধর্ষিত হলেও তা চোখ-মুখ মুজে সহ্য করে।
যেখানে শিবাজীর প্রার্থনায় তার পিতাকে উদ্ধার করতে গিয়েছিল বাদশাহ শাহজাহান সেখানে আজ গুজরাট, কাশ্মীর, অযোধ্যা, মুজাফফরনগর আর হায়দ্রাবাদে মুসলমানদের কচুকাটা করলেও মুসলমানরাই তার বিরুদ্ধে জিহাদ করতে একত্র হতে পারে না।
আমার ইতিহাসের বহর দেখে আপনার বিরক্ত হতে পারেন, কিন্ত আমি আজ আপনাদের সামনে সত্যি কথাটাই তুলে ধরব কি কারণে মুসলমানরা আজ এ উপমহাদেশে নির্যাতিত, নিপীড়ত এবং দুর্বল হয়ে রয়েছে। কেন ভারতে একটি বিশাল মুসলিম জনগোষ্ঠী থাকার পরও তারা জেগে উঠতে পারছে না। (২০১০ সালে ভারতের ১১৫ কোটি জনসংখ্যার মধ্যে সরকারি হিসেবে মুসলমান সংখ্যা ছিল মাত্র ১৩ কোটি, কিন্তু বেসরকারি হিসেবে শুধু উত্তর প্রদেশ, পশ্চিমবঙ্গ, বিহার এবং আসামে অর্থ্যাৎ মাত্র ৪ প্রদেশে মুসলমান সংখ্যা ছিল ১৩ কোটি, তাহলে বাকি ২৪টি প্রদেশে কত মুসলমান রয়েছে? এ পরিসংখ্যান থেকে বোঝা যায় হিন্দুত্ববাদী ভারত সরকার মুসলিম জনসংখ্যা নিয়ে কতবড় লুকোচুরি করছে)
সময়ে সময়ে মুসলমানদের বিপর্যয়ের মূল কারণ ছিল মুসলমান ভেকধারী মুনাফিকরা। উহুদ যুদ্ধে উবাই বিন সুলুল তার অধিনস্ত সেনাবাহিনী নিয়ে সটকে পড়েছিল, যার কারণে মুসলমানরা সাময়িক বিপর্যয়ে পড়ে যায়।
পলাশীর যুদ্ধে প্রধান সেনাপতি মীর জাফর সটকে পড়ায় হেরে যায় নবাব সিরাজউদ্দৌলার। বাংলা চলে যায় ব্রিটিশ করায়ত্ত্বে।
ঠিক তেমনি বর্তমানেও ভারতের মুসলমানদের মধ্যে রয়ে গেছে সেই মুনাফিক গোষ্ঠী, যাদের কারণেই এ অঞ্চলে বিশাল জনগোষ্ঠীর মুসলমানরা শত নিপীড়ন সত্ত্বেও জাগতে পারে না, পারে না জিহাদ করে মুক্ত হতে।
হা আপনারা ঠিক ধরেছেন মুসলমানদের মধ্যে লুকিয়ে থাকা সেই মুনাফিক হচ্ছে দেওবন্দ গোষ্ঠী বা দারুল উলুম দেওবন্দ তথা জমিয়তে উলামায়ে হিন্দ নামক দলটি। জানি আপনারা এ বক্তব্য শুনে অনেকে আমার উপর ক্ষেপে যাবেন, কিন্তু মনে রাখবেন, সত্য কথা তিতা হয়, এবং সত্য মেনে নেয়াই মুসলমানের ধর্ম।

১) দারুল উলুম দেওবন্দ গোষ্ঠী সর্বদাই অখণ্ড ভারতে বিশ্বাসী। তারা মন থেকে মেনে নেয়নি মুসলিম ভূমি পাকিস্তানের সৃষ্টি। হুসাইন আহমদ মাদানি দেশভাগের সময় ঘুড়ে ঘুড়ে বাসায় বাসায় গিয়ে হিন্দু-মুসলমানদের মধ্যে মিথ্যা একাত্বতার কথা বলেছিল। এই দারুল উলুমের প্রচেষ্টার কারণে ভারত নামক হিন্দু রাষ্ট্রের মধ্যে একটি বিশাল মুসলিম জনগোষ্টী আটকা পড়ে যায়। সোভিযেত ইউনিয়ন যেমনি ভাগ হয়ে ৬টি আলাদা মুসলিম রাষ্ট্রের জন্ম দিয়েছিল, ঠিক তেমনি ভারত বিভক্তের সময় বেশি কয়েকটি মুসলিম রাষ্ট্রের (যেমন কাশ্মীর, আসাম, হায়দারাবাদ) জন্ম হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এ গোষ্ঠীটির বিরোধীতা এবং ইসলামের নামে ফতওয়ার কারণে তা হতে পারেনি। যার ফল এখন ভোগ করছে ভারতের মুসলমানরা। তাদের প্রতিদিন প্রতিনিয়ত কষ্ট পেতে হচ্ছে হিন্দুদের কাছ থেকে।
২) কংগ্রেসের সাথে গাট বাধে তারা। ইসলামে তো নারী নেতৃত্ব জায়িজ নেই সেখানে তারা ইসলামের নাম দিয়ে নারী নেতৃত্ব গ্রহণ করলো, তাও আবার এক হিন্দু মহিলার (ইন্দিরা গান্ধী)!!! এটা তারা জায়িজ পেলো কোথায়।
আর পবিত্র কুরআনের সূরা মায়িদার ৮২ নং আয়াতে মহান আল্লাহ তায়ালা যেখানে নিজেই বলেছেন: “নিশ্চয়ই মুসলমানদের সবচেয়ে বড় শত্রু ইহুদী, অত:পর মুশরিক।” সেখানে যারা সারা বছর মাদ্রাসায় পড়ে এবং পড়ায় তারা কিভাবে ইসলামের নাম দিয়ে হিন্দুদের সাথে তারা বন্ধুত্ব করতে পারে??
৩) জোর করে কাশ্মীরকে আটকে রেখেছে হিন্দুত্ববাদী ভারত। মুসলমানদের মেরে কেটে একাকার করছে তারা। সারা বিশ্ব এই নিপীড়নের নিন্দা করলে, এর পক্ষে উল্টো সাফাই গেয়েছে বিবেকহীন দেওবন্দীরা। তারা বলেছে এই কাশ্মীর নাকি ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ। (Click This Link)। শুধু তাই না ভারতে মুসলমানরা এত নির্যাতিত হওয়ার পরও তারও তারা বলেছে ভারতে মুসলমানদের জিহাদ করার কোন দরকার নেই। তারা উগ্রহিন্দুত্ববাদী বিশ্বহিন্দুপরিষদের অনুরোধে ভারতকে দারুল আমান বলে ঘোষণা দিয়েছে, যেখানে জিহাদের কোন প্রয়োজন নেই। ((Click This Link)। তাদের এ ভুল ফতওয়ার কারণে কাশ্মীরসহ বিভিন্ন প্রদেশে মুসলমানরা হিন্দুদের বিরুদ্ধে জিহাদ করতে অনুৎসাহিত হয়ে পড়ে।
৪) মুসলমানদের মসজিদ বাবরী মসজিদ, এই মসজিদকে অন্যায়ভাবে ভাঙল হিন্দু সন্ত্রাসীরা। সাথে সারা ভারত জুড়ে মারলো লক্ষ লক্ষ মুসলমানকে। হিন্দুদের দাবি: তাদের কল্পকাহিনী রামায়নের মতে বাবরী মসজিদ নাকি রামের জন্মস্থান। এলাহাবাদের সাম্প্রদায়িক হাইকোর্টও রায় দিলো: বাবরি মসজিদের যায়গার তিন ভাগের মাত্র একভাগ পাবে মুসলমানরা, দুই ভাগ পাবে অন্যরা। বলাবাহুল্য এ রায়ের পর মুসলমানদের প্রতিবাদ করা ফরজ হয়ে পড়ে। কিন্তু দেওবন্দরা তখন উল্টো বললো: “মুসলমানদের এই রায় শ্রদ্ধার সাথে মেনে নেয়া উচিত। ”
(Click This Link)
৫) মহান আল্লাহ তায়ালা হিন্দুদের কাফিরা বললেও দেওবন্দরা তাদের কাফির বলতে নারাজ। এই ফতওয়া কিন্তু তারা কোন কুরআন হাদীস ঘেটে দেয়নি, দিয়েছে হিন্দু উগ্রবাদী সংগঠন বিশ্ব হিন্দু পরিষদের নেতা সন্ত্রাসী অশোক সিংহোলের অনুরোধে। (Click This Link)
৬) ভারতে গরু কুরবানী আইন-২০০৪ অনুসারে একজন মুসলমান গরু কুরবানী করলে তার সর্বোচ্চ ৭ বছর কারাদণ্ড হতে পারে, একই সাথে ১০ হাজার রুপি জরিমানা হবে। এটা অবশ্যই মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত এবং মুসলমাদের উপর ভারত হিন্দু সরকারের জুলুম। কিন্তু এখানে দেওবন্দরা এর প্রতিবাদ করতে পারত, কিংবা সেটা যদি সম্ভব না হয় তাহলে তারা চুপ থাকত। কারণ হাদীস শরীফ অনুসারে ঈমানের স্তর তিনটি: ১) অন্যায় দেখলে হাতে বাধা দেয়া, দুই মুখে বাধা দেয়া, তিন খারাপ জেনে সরে আসা। এরপর ঈমানের আর কোন স্তর নেই। কিন্তু দেখা গেলো তারা হিন্দুদের সাথে একত্বতা প্রকাশ করে ফতওয়া দিলো: “গরু কুরবানী করা নাজায়িজ”।
(Click This Link), তারা আরো বলল: হিন্দুদের ধর্মীয় অনুভূতির কথা বিবেচনা করে আপনারা গরু কুরবানী করবেন না। (Click This Link)
বলাবাহুল্য হিন্দুদের ধর্মীয় অনুভূতি সংরক্ষণের দায়িত্ব হিন্দুদের এবং মুসলমানদেরটা সংরক্ষণের দায়িত্ব মুসলমানের।
কিন্তু দেখা যাচ্ছে সেই গান্ধীর আমল থেকে হিন্দু গান্ধীর অনুরোধে দেওবন্দরা গরু কুরবানী করতে নিষেধ করে আসছে। (http://khabar.ibnlive.in.com/news/109892/13) তাহলে তারা কি হিন্দুর অনুরোধে মুসলমানিত্ব বাদ দিয়ে হিন্দু হয়ে গেছে??
উল্লেখ্য ২০১১, ২০১০, ২০০৮, ২০০৭, ২০০৪ সালে তারা সরাসরি গরু কুরবানী করতে বিরোধীতা তার প্রমাণও মিডিয়াতে আছে। (Click This Link)
৭) দারুল উলুম দেওবন্দের ২৯ তম বার্ষিক সভার প্রধান অতিধি হয় মুসলিম বিদ্বেষী রবি শঙ্কর (http://www.youtube.com/watch?v=cYm4sUmvmtw), ৩০ তম সভার প্রধান অতিধি হয় ঠাকুর রামদেব (http://www.youtube.com/watch?v=rCjhoCN3bRA)| )।
কুরআন পাকে আছে ‘মুশরিকরা নাপাক’। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, যারা কুরআনের দোহায় দিয়ে চলে তারাই হিন্দুদের প্রধান অতিথি বানায়, তাদের সাথে বন্ধুত্ব করে।
মনে রাখবেন প্রত্যেকে সমগোত্রীয়দের সাথে চলে, কুকুর চলে কুকুরের সাথে, ছাগল চলে ছাগলের সাথে। কুকুরকে কখন ছাগলের সাথে আর ছাগলকে কখন কুকুরের সাথে ঘুরতে দেখবেন না। তেমননি দেওবন্দের এই খাসলতের কারণ হচ্ছে তারা মুশরিকদের সমগোত্রীয় হয়ে গেছে। বলাবাহুল্য এ্টা যদি কোন সাধারণ শার্ট-প্যান্ট-দাড়িচাছা মুসলমান করতো তবে তাও মেনে নেয়া যেত, কিন্তু দেওবন্দীরা তো মুসলমানদের প্রতিনিধিত্বকারী হিসেবে দাবি করছে, তাই তাদের এ অপকর্ম কিছুতেই মেনে নেয়া যায় না।
৮) রাশিয়ায় গীতাকে নিষিদ্ধ করার ঘোষণা দিলে এর প্রতিবাদ করে উঠলো দেওবন্দীরা। (Click This Link) কিন্তু রাশিয়া যখন পবিত্র কুরআন নিষিদ্ধ করলো (Click This Link) তখন এর প্রতিবাদ স্বরূপ টু শব্দ পর্যন্ত করলো না তারা।
৯) নরখাদক নরেন্দ্র মোদির পক্ষ নিয়েছিল এ দেওবন্দীরা। তারা গুজরাটে মুসলমানদের উপর হিন্দুদের নৃশংস আচরণকে ভুলে যেতে বলে ভারতীয় মুসলমানদের। (Click This Link)। এ বক্তব্যের পর মুসলমানদের তীব্র প্রতিবাদের মুখে দেওবন্দে ভিসিকে সরিয়ে দিতে বাধ্য হয় কর্তৃপক্ষ।
১০) ২০০৭ সালের কথা, তসলিমার বিতর্কিত বই ‘দিখণ্ডিত’ নিয়ে যখন কলকাতার মুসলমানরা সরব, তাকে যেন কলকাতায় স্থান না দেওয়া হয় যে জন্য চলছে তুমুল আন্দোলন। ঠিক তখন এই দেওবন্দ মুসলমানদের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করলো। তসলিমার পক্ষে ফতওয়া দিল। জমিয়তে উলামায়ে হিন্দ নেতা মৌলানা মেহমুদ মাদানি বলেছিল, "পবিত্র ইসলামেই আছে, কোন ব্যক্তি ক্ষমা চাইলে তাকে ক্ষমা করে দেওয়াই উচিত। তসলিমা যখন ক্ষমা চেয়েছেন, তখন তাকে ক্ষমা করে দেওয়াই ঠিক কাজ হবে। তিনি যেখানে থাকতে চান, সেখানেই তাকে থাকতে দেওয়া হোক।"
সত্যি অবাক বিষয় । তসলিমা ক্ষমা চাইল কবে!!!! সে তো এখন ইসলামের বিরুদ্ধে বলছে। আর নবীজি সম্পর্কে কটূক্তি করায় সে সময় মুরতাদ তসলিমাকে হত্যার ঘোষণা দিয়েছিল এক আলেম (মুরতাদের শাস্তি মৃত্যুদণ্ড)। কিন্তু সেই আলেম এর বিরুদ্ধে উল্টো ফতওয়া দিলেছিল দেওবন্দী জালেমরা। সে সময় জমিয়তে উলামায়ে হিন্দের মুখপাত্র কাকি সফিউদ্দিন বলেছিল, “কারও মুন্ডু চাওয়া বা প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া ইসলামবিরোধী। যদি কেউ এমন দাবি করে থাকেন, প্রমাণ পেলে তাদের বহিস্কার করা হবে।” মুরতাদ তসলিমার পক্ষে সাফাই গাওয়ার অধিকার দেওবন্দীদের কে দিল??? (Click This Link)
মনে রাখবেন হাড়ির ভাত কিন্তু সব টিপতে হয় না , যদি আজমীরী শরীফের ১২০ মনের হাড়িও হয় তবেও। তাই উপরের আলোচনার পুরোটা দেখার দরকার নাই, সামান্য কিছু দেখলেই যথেষ্ট দেওবন্দীরা কিভাবে হিন্দুদের পক্ষে কাজ করছে।
প্রকৃতপক্ষে দেওবন্দীগোষ্ঠীর কাজ মুসলমানদের হিন্দুদের পক্ষে নিয়ে যাওয়া, মুসলমানদের চোখে হিন্দুদের দোষ ত্রুটি গোপন রাখা, মুসলমানদের হিন্দুভক্ত করে ঈমানীভাবে দুর্বল ও সংখ্যাগত বিভক্ত করা, যাতে তারা হিন্দুদের বিরুদ্ধে জিহাদ করতে না পারে।
আজ আমরা যারা মুজাফফরনগরে মুসলিম নারীদের নির্যাতন দেখে চোখের পানি ফেলি, যারা ভারতে হিন্দু যুলুমবাজদের নিপীড়ন দেখে প্রতিবাদ করি, যারা ভারতে হিন্দু সন্ত্রাসীদের হাত থেকে মুক্ত করার স্বপ্ন দেখি, তাদেরকে বলছি: যতদিন মুসলমান নামধারী মুনাফিকদের চিহ্নিত করে তাদের সমূলে উৎপাটন না করতে পারবেন, ততদিন ভারতের মুসলমানরা এক হবে না, স্বাধীনতাও পাবে না, সময়ের স্রোতে হিন্দুদের দ্বারা অত্যাচারিত হতেই থাকবে। তাই সময় এসেছে এ দেওবন্দ মুনাফিকদের চিহনত করা এবং তাদের প্রতিহত করা। মহান আল্লাহ তায়ালা আমাদের সেই তৌফিক দান করুন। (আমীন)
(বি:দ্র: দয়া করে অন্ধ দেওবন্দ ভক্তরা আমার নোটে তালগাছবাদী কমেন্ট করবেন না, নূনতম জ্ঞান নিয়ে বা পড়ালেখা করে এখানে কমেন্ট করার আহ্বান জানাচ্ছি)

(কপি-পেষ্ট)
৪টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বৃষ্টির জন্য নামাজ পড়তে চায়।

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৮



ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী গত বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে বৃষ্টি নামানোর জন্য ইসতিসকার নামাজ পড়বে তার অনুমতি নিতে গিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এটির অনুমতি দেয়নি, যার জন্য তারা সোশ্যাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

=তুমি সুলতান সুলেমান-আমি হুররাম=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৩৬



©কাজী ফাতেমা ছবি

মন প্রাসাদের রাজা তুমি, রাণী তোমার আমি
সোনার প্রাসাদ নাই বা গড়লে, প্রেমের প্রাসাদ দামী।

হও সুলেমান তুমি আমার , হুররাম আমি হবো
মন হেরেমে সংগোপনে, তুমি আমি রবো।

ছোট্ট প্রাসাদ দেবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

মৃত্যুর আগে ইবলিশ ঈমান নিয়ে টানাটানি করে

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:০২



ইউটিউব হুজুর বললেন, মৃত্যুর আগে ইবলিশ ঈমান নিয়ে টানাটানি করে। তখন নাকি নিজ যোগ্যতায় ঈমান রক্ষা করতে হয়। আল্লাহ নাকি তখন মুমিনের সহায়তায় এগিয়ে আসেন না। তাই শুনে... ...বাকিটুকু পড়ুন

মহিলা আম্পায়ার, কিছু খেলোয়ারদের নারী বিদ্বেষী মনোভাব লুকানো যায় নি

লিখেছেন হাসান কালবৈশাখী, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:০৯



গত বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল প্রাইম ব্যাংক ও মোহামেডানের ম্যাচে আম্পায়ার হিসেবে ছিলেন সাথিরা জাকির জেসি। অভিযোগ উঠেছে, লিগে দুইয়ে থাকা মোহামেডান ও পাঁচে থাকা প্রাইমের মধ্যকার ম্যাচে নারী আম্পায়ার... ...বাকিটুকু পড়ুন

জানা আপুর আপডেট

লিখেছেন আরাফআহনাফ, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৫৭

জানা আপুর কোন আপডেট পাচ্ছি না অনেকদিন!
কেমন আছেন তিনি - জানলে কেউ কী জানবেন -প্লিজ?
প্রিয় আপুর জন্য অজস্র শুভ কামনা।



বি:দ্র:
নেটে খুঁজে পেলাম এই লিন্ক টা - সবার প্রোফাইল... ...বাকিটুকু পড়ুন

×