গনতন্ত্র কতটা আছে দেশে এটা বোঝা যায় জনগণ কতটা গনতন্ত্র বোঝে তার উপর। জনগণতন্ত্র চলছে দেশে নি:সন্দেহে। ২০১৮ সালে আমি কেবল তার মানটা উন্নত দেখতে চাই। জনগণ আরো বেশী গনতান্ত্রিক হোক সেটা প্রত্যাশা।
গনতন্ত্রের রূপ উন্নত হবার উপরে নির্ভর করে আসলে ক্ষমতাসীনরা কতটা গণবান্ধব থাকবেন। জনগণের জন্য অপকার করা স্বাভাবিক একটা প্রক্রিয়া - কিছু না করে বসে থাকলেও জনগণের অপকার হয়। শুধু এই প্রক্রিয়ায় ক্ষমতাসীনরা আমাদের দেশের মানুষদের অপকার করেন সর্বাধিক। কিছু করার তাদের প্রয়োজনই হয় না। বড়ই আরামপ্রদ এক প্রক্রিয়া - এবং এর মাধ্যমেও ক্ষমতায় থাকা সম্ভব।
কিছু করার ঝামেলা অনেক। জনগণই ঝামেলার। যেহেতু তাদের গণতান্ত্রিক চেতনাও ঝামেলার। মেনে নিয়েছে দুর্নীতিবাজ গণপ্রতিনিধি - এমনকি ভোট প্রদান করেও আনন্দ পায় এদের..দলীয় ক্যাণ্ডিডেট বলে।
কোনও একটা 'উন্নয়ন' এর সুবিধাভোগীর চেয়ে দালাল বেশী। এই দালালরা সুবিধাভোগীদের মধ্যে ক্ষমতাপ্রাপ্তরা হয়ে থাকে। ফলে জণগনতান্ত্রিকতার এই স্তর থেকে উন্নয়ন পকেটস্থ হয় অসার্বজনীনভাবে। কেউ খাবে, কেউ খাবে না। বা যে কেড়ে নিয়ে খাবে তারই আসলে মুখে খই ফটুবে গনতন্ত্রের।
২০১৮ এ জনগণ সচেতন হবে এই প্রত্যাশা আমার। জনগণ শিক্ষার, খাদ্যের, স্বাস্থ্যের, পরিবেশের পক্ষে দাঁড়াবে। এগুলো যে তাদের অধিকার এবং এগুলো ধ্বংস করে দেবার অধিকার যে কোনও সরকারের নেই সেটা বুঝবে জনগণ এটাই আমার প্রত্যাশা।
অসহায় জনগণ তার নিজের গনতান্ত্রিক চেতনা উন্নত করার গুরুত্ব বুঝবে সবার আগে এটা আমি প্রত্যাশা করি। সে নিজেকে বাঁচাতে শিখবে এটাই আমার প্রত্যাশা। ২০১৮ সাল পুরোপুরি পাল্টে ফেলুক আমাদের, পাল্টে ফেলুক প্রয়োজনে।
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা জানুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৩:১০