somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

"এমন হাসি হাসলো কে?"

২৬ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১০:১২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আমি তোমাকে নিয়ে একদিন এমন একটা পাহাড়ে যাব যেটার ভেতর সমতল একটা রাস্তা থাকবে। একটু চড়াই-উৎরাই থাকলেও চলবে। সেই রাস্তা ধরে আমরা হাঁটবো।

হাঁটতে হাঁটতে অনেক দূরে যাবো। পাহাড়ের দৃশ্যগুলো হবে সুইজারল্যান্ডের মত। বা কাশ্মীরের মত। আমরা দেখবো আর প্রকৃতির সাথে গল্প করবো। তুমি কথা বলবে বৃক্ষের সাথে। আমি কথা বলবো পাখিদের সাথে।

বৃক্ষরা তোমাকে তাদের নাম শোনাবে।

তুমি নাম শুনে হাসবে। কলকলিয়ে। তোমার হাসি শুনে গাছগুলো চমকে যাবে। তাদের ডালপালা আর পাতা কেঁপে উঠবে।

বলবে, এ কেমন নাম! এই নামের তো অর্থ নাই!

তখন একটা গাছ তোমার নাম জিজ্ঞেস করবে। তুমি বলবে, কাকলি!
নাম শুনে কয়েকটা গাছ নড়ে চড়ে দাঁড়াবে। বাতাসে তাদের ডালগুলো ঢেউ তুলবে। আরো কয়েকটা গাছ চমকে পাতাগুলো চুলকাবে কাণ্ডের গায়ে।

ফিসফিসিয়ে বলবে একটা গাছ, এত সুন্দর নাম বাপবৃক্ষের জন্মেও শুনিনি!

কিন্তু তুমি ঠিকই শুনে ফেলবে তাদের কথা। হেসে উঠবে পাহাড় কাঁপিয়ে। তোমার হাসির প্রতিধ্বনি ফিরে আসবে দূরের পাহাড়ে আছড়ে পড়ে।

অনেকগুলো পাখি এসে হৈচৈ শুরু করবে মাথার উপরে। একটা পাখি জিজ্ঞেস করবে গাছের সর্দারকে, যে সবচেয়ে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে ছিলো, কিন্তু এখন একটু ঝুঁকে তোমাকে দেখছে।

'এমন হাসি হাসলো কে? এখানে তো এখন ঝর্না জন্মাবে!"

শুনে গাছদের মধ্যে শুরু হবে আনন্দ আন্দোলন। আমরা তাদের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে সামনে যাবো। গাছসর্দার তখন ঘোষণা করবে, তাহলে সেই ঝর্নার নাম হবে কাকলি!

একটা পাখি আমাদের পেছনে পেছনে যাবে। ক্ষুধায় দুজনের পেট জ্বলতে শুরু করবে। কিন্তু কোথায় কিছু খাবার মিলবে না। তাপরাজ ঠিক মাথার উপরে। ক্ষুধার্ত দুজন আমরা তখন একে অপরের ঠোঁট খেয়ে জীবনধারণ করবো।

পাখিটা শিশ দিয়ে গান গাইতে শুরু করবে।

একটা মেঘ। একটা পাখি।
মেঘের উপর পাখি।
একটু যদি থামে
মেঘের উপর নামে
পেঁজা তুলোয় জড়িয়ে তাকে
রাখবে পাখির বুকে।

এই পাখিটা ধূলট মেঘে
উড়ায় মনের পাখা
মেঘবালিকা ঘুরে আসে
পাখির বুকে লুকায়।
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১০:১২
২টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শোকের উচ্চারণ।

লিখেছেন মনিরা সুলতানা, ২৬ শে জুলাই, ২০২৪ সকাল ১০:১৬

নিত্যদিনের জেগে উঠা ঢাকা - সমস্তরাত ভারী যানবাহন টানা কিছুটা ক্লান্ত রাজপথ, ফজরের আজান, বসবাস অযোগ্য শহরের তকমা পাওয়া প্রতিদিনের ভোর। এই শ্রাবণেও ময়লা ভেপে উঠা দুর্গন্ধ নিয়ে জেগে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আন্দোলনের নামে উগ্রতা কাম্য নয় | সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যবাদকে না বলুন

লিখেছেন জ্যাক স্মিথ, ২৬ শে জুলাই, ২০২৪ বিকাল ৫:২৭



প্রথমেই বলে নেয়া প্রয়োজন "বাংলাদেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করার সমস্ত অপচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে" ধীরে ধীরে দেশে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে আসছে। ছাত্রদের কোটা আন্দোলনের উপর ভর করে বা ছাত্রদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

কোন প্রশ্নের কি উত্তর? আপনাদের মতামত।

লিখেছেন নয়া পাঠক, ২৬ শে জুলাই, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:১৬

এখানে মাত্র ৫টি প্রশ্ন রয়েছে আপনাদের নিকট। আপনারা মানে যত মুক্তিযোদ্ধা বা অতিজ্ঞানী, অতিবুদ্ধিমান ব্লগার রয়েছেন এই ব্লগে প্রশ্নটা তাদের নিকট-ই, যদি তারা এর উত্তর না দিতে পারেন, তবে সাধারণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

চাকুরী সৃষ্টির ব্যাপারে আমাদের সরকার-প্রধানরা শুরু থেকেই অজ্ঞ ছিলেন

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৬ শে জুলাই, ২০২৪ রাত ৯:০৭



আমার বাবা চাষী ছিলেন; তখন(১৯৫৭-১৯৬৪ সাল ) চাষ করা খুবই কষ্টকর পেশা ছিলো; আমাদের এলাকাটি চট্টগ্রাম অন্চলের মাঝে মোটামুটি একটু নীচু এলাকা, বর্ষায় পানি জমে থাকতো... ...বাকিটুকু পড়ুন

পঁচে যাওয়া বাংলাদেশ আর্মি

লিখেছেন রিয়াজ হান্নান, ২৬ শে জুলাই, ২০২৪ রাত ৯:২৫


একটা দেশের আর্মিদের বলা হয় দেশ রক্ষা কবজ,গোটা দেশের অব্যবস্থাপনা থেকে শুরু করে বহিরাগত দুশমনদের আতংকের নাম। ছোটবেলা থেকে এই ধারণা নিয়ে কয়েকটা জেনারেশন বড় হয়ে উঠলেও সেই জেনারেশনের কোন... ...বাকিটুকু পড়ুন

×