somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

হেডফোনের প্যাঁচানো তার খুলব, না ফেলে দেব?

০৬ ই জুন, ২০২০ সকাল ১১:৩২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আমার অনেক আক্ষেপ আছে। সবচেয়ে বড় আক্ষেপটিকে বাছাই করে মনে রেখেছি। প্রথম সুযোগে এটিকে আমি বিতাড়িত করবো। তবে প্রস্তুতি চলছে। তবে ধীরে। তবে বলা যাবে না এখনই।

কয়েকদিন হলো সবকিছুকে আমার সবমুখী মনে হয়। এ নিয়ে প্রথমদিকে একটু দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হয়ে পড়েছিলাম। সমাধান খুঁজে পেতে চাইতাম একমুখী করার। পরে নিজের ক্ষমতার বাইরে বুঝে শুনে ওসব চাওয়াকে অপচেষ্টা বললাম। নিজেকে। একটু জোরে। একটু শব্দ করে। একটু মনোবল পেতে।

চার প্যাঁচ ছয় সাত বা আটদিন ধরে ঘুম থেকে জেগে বিছানায় পাথরের মত জমে থাকি। বরফের মতও। শীতকালের। উত্তর মেরুর। মুহূর্তে মাথার চিন্তার ব্লেন্ডারটা ছেড়ে দিয়ে সব কিছুর ঘোট পাকাতে বসি। চিন্তার তার গুলো একটা আরেকটার সাথে পেঁচিয়ে এমন গেড়োতে আটতে থাকি যেনো একটা সময় সবচিন্তাকে জানালা দিয়ে ছুড়ে ফেলতে পারি। পেঁচানো হেডফোনের তারই তো খুলতে পারি না। না পারলে বাদ দেওয়া আগেভাগে বুদ্ধি না নষ্টের লক্ষণ।

আমি কার পক্ষে যাবো। বাইরের পক্ষে। না ঘরের পক্ষে। লোকজন হাঁটছে। কাজেই হয়তো। ঘরে থাকার জন্য জগতের সকল সৃষ্টিকর্তারা বলছেন। নিজেদের কিছু সৃষ্টি এখনও তৈরি হয়নি বলে। তবে উহাদের মধ্যে বিভেদ। কেউ বলছেন তারা আশাবাদী, শীঘ্রই এমন কিছু তারা বানাতে পারবেন যা খেলে দেহের মধ্যে শক্তি আসবে। তখন নামা যাবে।

আমি ঘরের পক্ষে ও বাইরের পক্ষে। লোকজন যারা হাঁটছে তারা গাড়িতেও চড়ছে। তারা বিপদকে মোটামুটি বিদায় জানিয়েছেন। অথবা বিপদ বলে অত ভাবার সুযোগ পায়নি। আমি পেয়েছি। কিন্তু আমি বিপদের মাঝেও হাঁটতে চাই। এজন্য হাঁটি। গাড়িতে চড়ছি, বাসে নয়। লোকজন বাসেও চড়ছে। চা খাচ্ছে। বাইরে দাঁড়িয়ে। বিড়ি খাচ্ছে। বাজার করছে। অবশ্য সেসব ঘরে নিয়েই খাচ্ছে। রেঁধে। মানুষজন রাঁধছেও প্রচুর। ছেলেরাও রাঁধছে। ঘরে থাকছে বলে কেউ অনেক বেশী তেজ দেখাচ্ছে। মারছে সঙ্গীকে। এসব হচ্ছে বলে কেউ কেউ এসব নিয়ে লিখছে। সেইসব লেখায় তুলনা করছে আগের ও পরের।

আমি তুলনায় যাই না। কিন্তু আমি একটা পক্ষে থাকতে চাই। সহজ পক্ষ। যারা বলবে তোমার পক্ষ হলো দক্ষ। তারা যা বলছে তারা তা বলছে। কিন্তু এসবের মধ্যে প্যাচ, হেডফোনের তার পেঁচিয়ে যায়, হেডেও। আমি দক্ষ কাউকে না পেয়ে প্যাচগুলো ছুড়ে ফেলি আবার। দ্বিতীয়বারের মত। ঐ দিনের।

কিন্তু সুস্থ থাকা তো একটা শারীরিক ফটোগ্রাফ নয়। এটা ভিডিও। প্রচুর আলোর খেলা। কখনও রাতের দৃশ্য আসে। তখন বড় মুশকিল হয়। আমাদের যদি ঘরে থাকতে হয় এই লম্বা লম্বা সময় ধরে তাহলে আমরা সারাক্ষণ চোখ দিয়ে ভাবি। চোখে পড়ে ভাবনার এক বিশাল লাইব্রেরী। দেখি কেউ অনেক লাইনে ভাবছেন, কেউ অনেক বলায় ভাবছেন। কেউ সুর করে, আঁকায়, গড়ায়, পড়ায়, রাগে, ক্ষোভে ভাবছেন। এসবের ভেতরে আমি আমার লম্বা সময়টাকে ভাবতে ছেড়ে দেই। সে বিদেশের বিক্ষোভ থেকে এদেশের আক্ষেপ এসবের ভাবনায় নানারকম অনুভূতি প্রকাশ করতে থাকে। কোন ভাবনায় কোন অনুভূতি প্রকাশ করতে হবে সেসব নিয়ে বেশী ভাবতে হয় না। বাটন আছে। বাটনের মধ্যে অনুভূতি ঢুকিয়ে দেয়া আছে। চেপে দেয়া যায় – তারপরে একটা মহাজাগতিক ভাবনা নেটওয়ার্কে আমিও একটা ডেটা হয়ে যাই।

আমার সুস্থ থাকার চলমান যে কর্মযজ্ঞ তা কতগুলো ক্যামেরায় ওঠে। কিছু আমি পরে দেখার জন্য ধরে রাখি। কিছু আমি অন্যকে দেখাই। তারা দেখে এবং তারাও দেখায়। মোটামুটি আমি এবং সে এবং তারা সবাই একই রকম। একই নকশায় আমরা বসে থাকি। একই অঙ্গভঙ্গিতে মুখ, চোখ ও হাত নাড়ি। নাক নড়ানোর তেমন একটা দরকার হয় না। বুঝে যাই আমাদের নাক দিয়ে শ্বাস স্বাভাবিক স্যাচুরেশনে যাচ্ছে। ফুসফুস।

আমি আসলে কিছু নির্দিষ্ট করে বলতে পারি না। জগতের যারা বলে খুব সাহসের সাথে তাদের কেবল নির্দিষ্ট করার বাধ্যবাধকতা থাকে। আমি তাদের মত হতে পারতাম। কিন্তু হইনি বলে আমি অনেক কিছুই এখন পরিকল্পনায় হই। এই যে এত কিছু কিনলাম জীবনে আর এখন যে কিনছি না সেই জন্য একটা ধন্যবাদ দেই। নিজেকে। মহামারীকে। এসব ছাড়া চলে বলে এসব তৈরির বিরুদ্ধে আমি ইতোমধ্যে দাঁড়িয়েছি বলে নিজেকে শনাক্ত করি। পজিটিভ। মানুষের এত এত কেনার দরকার নেই।

যা প্রয়োজন তাই খাবে। খাবো। তাই পরিকল্পনায় নির্দিষ্ট হই। গ্রামে যাব। কৃষিতে কি কি বিষ মেশাচ্ছে মানুষ সেসব ছাড়াই যা যা করা যায় সেসব নিয়ে একদম একটা ই-কমার্স হব। তখন আবার প্যাচ লেগে যায় – এই প্রযুক্তির জন্য খরচ যোগাতে তো আরো বাড়াতে হবে কৃষির আয়।

নির্দিষ্ট হওয়ার দৌড়ে আমি সিনেমা দেখি। তবে মন খারাপ করার সিনেমা দেখলে আগে যতটা মনে হতো এখন তেমন হয় না। পাল্টাচ্ছে মন খারাপের গভীরতা। সিনেমা এখনও ততটা গভীর কল্পনা করে উঠতে পারে নি।
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই জুন, ২০২০ সকাল ১১:৩৯
২টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধাদের মুমিনী চেহারা ও পোশাক দেখে শান্তি পেলাম

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৭ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:৫৮



স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে স্টেজে উঠেছেন বত্রিশ মুক্তিযোদ্ধা তাঁদের চব্বিশ জনের দাঁড়ি, টুপি ও পাজামা-পাঞ্জাবী ছিলো। এমন দৃশ্য দেখে আত্মায় খুব শান্তি পেলাম। মনে হলো আমাদের মুক্তিযোদ্ধা আমাদের মুমিনদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

দু'টো মানচিত্র এঁকে, দু'টো দেশের মাঝে বিঁধে আছে অনুভূতিগুলোর ব্যবচ্ছেদ

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১২:৩৪


মিস ইউনিভার্স একটি আন্তর্জাতিক সুন্দরী প্রতিযোগিতার নাম। এই প্রতিযোগিতায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সুন্দরীরা অংশগ্রহণ করলেও কখনোই সৌদি কোন নারী অংশ গ্রহন করেন নি। তবে এবার রেকর্ড ভঙ্গ করলেন সৌদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের দুই টাকার জ্ঞানী বনাম তিনশো মিলিয়নের জ্ঞানী!

লিখেছেন সাহাদাত উদরাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ২:৫৯

বিশ্বের নামীদামী অমুসলিমদের মুসলিম হয়ে যাওয়াটা আমার কাছে তেমন কোন বিষয় মনে হত না বা বলা চলে এদের নিয়ে আমার কোন আগ্রহ ছিল না। কিন্তু আজ অষ্ট্রেলিয়ার বিখ্যাত ডিজাইনার মিঃ... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি হাসান মাহবুবের তাতিন নই।

লিখেছেন ৎৎৎঘূৎৎ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



ছোটবেলা পদার্থবিজ্ঞান বইয়ের ভেতরে করে রাত জেগে তিন গোয়েন্দা পড়তাম। মামনি ভাবতেন ছেলেটা আড়াইটা পর্যন্ত পড়ছে ইদানীং। এতো দিনে পড়ায় মনযোগ এসেছে তাহলে। যেদিন আমি তার থেকে টাকা নিয়ে একটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×