“আমাদের কাছে টিক্কা খানের নির্দেশনা ছিলো, যে একজন ভালো মুসলমান কখনোই তার বাবার সাথে যুদ্ধ করবে না। তাই আমাদের যত বেশী সম্ভব বাঙালী মেয়েদের গর্ভবতী করে যেতে হবে।আমাদের এসব উশৃঙ্খল মেয়েদের পরিবর্তন করতে হবে, যাতে এদের পরবর্তী প্রজন্মে পরিবর্তন আসে। তারা যেন হয়ে ওঠে ভালো মুসলিম এবং ভালো পাকিস্তানী।”
টিক্কা খান বা নিয়াজীরা কবরের মাটির সাথে মিশে গেছে।পূর্ব পাকিস্তান ও ত্রিশ লাখ তাজা প্রাণের রক্তে গোসল করে বাংলাদেশ হয়ে গেছে।কিন্তু এদেশের মাটিতে ঠিক ই থেকে গেছে হানাদারদের কিছু কুলাঙ্গার বীজ।
যার রেজাল্ট প্রতিদিনের সকাল বেলার দৈনিক পত্রিকার সিংহভাগ পাতায় ধর্ষণ নামক শব্দের আনাগোনা।
কোথাও নিউজ হয় শিক্ষাগুরুর পাশবিকতার খবর,আবার কোথাও নিউজ হয় হানাদারের উত্তরসূরি প্রথায় প্রাপ্ত বীজে টগবগ করতে থাকা কোন উঠতি যুবা-নরপশুর লালসার শিকার কেউ।
এরা খুব ই সাহসী হয়ে থাকে।নিজেদের চেতনা সম্পর্কে এরা খুব ই সচেতন।মানে হানাদারদের ছেড়ে যাওয়া জীনের পরিমাণ ও পাওয়ার খুব ই বেশি এদের মাঝে।
এদের মধ্যে কিছু কপট শ্রেণী আছে।তাদের ভাল শব্দে বলা হয় "সেলেব্রিটি"(অবশ্যই মার্ক করা কিছু লোকদের জন্য)!
অদৃশ্য মুখোশ পড়তে অভ্যস্ত এই বিশেষ শ্রেণী ঝোপ বুঝে কোপ মারতে সিদ্ধ হস্ত!
হাতের পাঁচ আঙুল তো আর সমান হয় না,ঠিক তেমনি সবগুলো হানাদার উত্তরসূরি ই আবার সাহসী হয়ে থাকে না।কেউ কেউ আবার হানাদারী জীন প্রথায় হয়ে থাকে দুর্বল মস্তিস্কের।তার মানে এই নয় যে তাদের চেতনা কাজ করে না।খুব করে,খুব বেশি ই করে।বাট সাহসে কুলোয় না।
তাই তারা চক্ষু ধর্ষণে মত্ত হয়ে ওঠে।যেন চোখ দিয়ে গিলে খাওয়ার জন্য ই জন্ম হয়েছে চারপাশের বিপরীত লিঙ্গ গুলোর।
এদের মধ্যেও আবার একটা কপট শ্রেণী আছে।আর এরা কিছুদিন পর পর ই তাদের খোলস বদলায়।যেমন এখন তাদের আপনারা কিছু 'প্রাংক বিশেষজ্ঞ'(অবশ্যই সবাই নয়) হিসেবে চিনে থাকবেন।
সবার আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়ে এই দুই বিশেষ শ্রেণী এমন এক জাল ফেলেছে,যে এদের উপর আকর্ষণ টা একটু বেশি ই থাকে।
এরা জাল ফেলে ইনভেস্ট হিসেবে,আর মুনাফা নিয়ে যায় জাল ভরে।
আফসোস এই যে এক লক্ষ সাতচল্লিশ হাজাত পাঁচশ সত্তর বর্গমাইল মাটি আমরা রক্ত দিয়ে কিনে ফেলতে পারলেও এ দেশ থেকে হানাদারদের জীন গুলোর মূল উৎপাটন করতে পারি নি আজও।
লাল সবুজের পতাকায় শকুন আজও খামচে ধরে রেখেছে!!!!
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে অক্টোবর, ২০১৭ ভোর ৪:২১