somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

মাহতাব, একজন বাবা ও একটি ফেইসবুক পেজ এর এডমিন।

২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১২ রাত ১০:২৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

মাহতাবকে আমি কখনো নিজের চোখে দেখিনি। গত বছর যখন হ্যালো টুডে তে কাজ করছিলাম, মাহতাব জয়েন করার পর থেকেই ওর সাথে একটা ভালো সম্পর্ক গড়ে ওঠে। আমাদের সম্পাদক সাহেব কখনোই ওকে মাহতাব বলে উল্লেখ করতেন না, অভ্র ইউজ করার ভুলে সবসময়ই ওকে মাহতবা বলে ডাকতো। মাঝে মাঝেই শুনতাম মাহতাবের বাবা খুব অসুস্থ। ও কারমাইকেল কলেজে পড়ে, তখন জানতাম নিজের খরচ নিজে চালানোর জন্য ও পত্রিকাতে কাজ শুরু করে। রংপুরের মানুষগুলি যেমন মাটির মতো সোঁদা গন্ধ অলা হয়, ও ঠিক তেমন ছেলে। সহজ সরল, প্যাচ ঘোচের কিছুই বোঝেনা। ভালো লাগতো ওকে আমার। পরে হ্যালো-টুডে ত্যাগ করি আমি।

এটা গত বছরের কথা। এক বছর পর মাহতাবের একটা লেখা পড়ে চমকে উঠলাম। ভাবছিলাম, এই মাহতাব কি সেই মাহতাব? পুরানোর সহকর্মীদের কাছে খোজ নিয়ে জানলাম, হ্যা। বাবার পিছনে পরিবারের সব টাকা পয়সা খরচ হয়ে যাওয়ায় মাহতাব পত্রিকায় কাজ শুরু করেছিলো। কিন্তু ফুসফুসের ক্যান্সার পরিবারের সমস্ত সঞ্চয়, বোনের বিয়ের জন্য জমানো টাকা সহ ধার করা লাখ খানেক টাকাও দীর্ঘ গাঢ় কালো নিশ্বাসের সাথে বের করে নিয়ে গেছে। আপনারা চাইলে ওর লেখাটি পড়তে পারেন-

বাংলানিউজ২৪ খবর২৪হ্যালো-টুডেরংপুর ওয়েব

আসলে মাহতাব, কিংবা মাহতাবের বাবার অসুস্থতার জন্য এ ব্লগটি লিখতে বসিনি। এ ব্লগটি লিখতে বসেছি সমাজের কিছু ঘৃণ্য পশু, তাদের পাশবিক মনোবৃত্তি ও তার প্রতিহিংসা নিয়ে।

মাহতাবের যখন অবশিষ্ট কিছুই রইলো না, সে পত্রিকাগুলিতে লেখা দিলো। ফেসবুকে কিছু পেইজ আছে, যাদের হাজার হাজার মেম্বার, সেরকম কিছু পেইজের এডমিন এর সাথে ওর ভালো পরিচয় ছিলো, তাদের অনুরোধ করলো ওর বাবার খবরটি ছড়িয়ে দিতে, যেন সে বাবাকে হেল্প করতে পারে। এর মাঝে অনেকেই উদ্যোগী হয়ে নিজেরাই বিভিন্ন পেইজের এডমিন এর সাথে যোগাযোগ করতে থাকেন। এরকমই একটি ফেইসবুক পেজ ভৌতিক অভিজ্ঞতা ( Paranormal Experience ) {দাঁড়ান, আগে লাইক দিয়েন না}

এই পেইজের এডমিন তখন এটি প্রতারণা বলে স্ট্যাটাস দেয় এবং যোগাযোগ করেন এই বলে যে, তাকে টাকা দিতে হবে। এই যে তার স্ক্রীণশট-

(বড় করে দেখতে চাইলে পোস্টের নিচের দিকে ছবির উপর ক্লিক করলে বড় হবে)
কথোপকথন টি এরকম-

টুটুল আজিজঃ আমি প্যারানরমাল এডমিন, টাকা দিতে হবে।

মাজেদুল ইসলামঃ মানে!

টুটুল আজিজঃ টাকা দাও তাহলে সব ডিলিট করে দেবো না হলে আবার পোস্ট, নিউ পোস্ট।
ভাগা ভাগি

মাজেদুল ইসলামঃ একটা মানুষের চিকিৎসার জন্য টাকা কালেকশন করা হচ্ছে, এটা তো ভাই ব্যাবসা না যে টাকার ভাগ দেবো। আর অনেক টেনশনে আছি, আমাকে এখন বাইরে যেতে হবে। আজই মাহতাব এর বাবার চিকিৎসা শুরু করতে হবে। আমি পরে এসে একবার কথা বলবো। আমি সত্যি খুব অবাক হয়েছি কিভাবে মানুষ এতো অমানবিক হয়।

টুটুল আজিজঃ আমি বুঝছি ব্যাবসা না অন্যকিছু। কিছু খাও, আমাকেও কিছু দাও। না হলে তো দেখছোই কি করেছি। পেজ এ দেখো কি অবস্থা।

উল্লেখ্য, মাজেদুল ইসলাম মাহতাব এর এলাকার বড়ো ভাই। উনি যখনি এই স্ক্রীণশট টা সবাইকে দেখিয়েছেন, তখনই উনাকে ব্লক করে দিয়ে টুটুল আজিজ নাম চেঞ্জ করে হয়ে যায় সাব্বির আহমেদ।

প্রমাণ-


এখন তার পেজ থেকে ক্রমাগত মিথ্যাচার চলছে মাহতাব এর নামে। ভৌতিক অভিজ্ঞতা পেজে গিয়ে দেখে আসতে পারেন। উপরে লিংক আছে। যে ছবিটি দেয়া হচ্ছে সে ছেলেটি রাশিয়ায় থাকে
দেখুন তার স্বীকারোক্তি-


এই অমানুষটি(টুটুল আজিজ/সাব্বির আহমেদ) নাকি এআইইউবি তে পড়ে। একজন মরণাপন্ন বাবাকে বাঁচানোর জন্য সাহায্যের আবেদন ঐ হারামজাদাটা প্রচার করছে প্রতারণা হিসেবে। তারপর করছে টাকা দাবি। এই ধরণের সামাজিক শুওরদের কি করা উচিত বলে আপনার মনে হয়?



¶ যদি চান, তাহলে ঐ ফেসবুক পেজটাকে রিপোর্ট করতে পারেন। না চাইলে এড়িয়েও যেতে পারেন। টুটুল আজিজদের সুযোগ করে দিতে পারেন মরণাপন্ন বাবাদেরকে নিয়ে ব্যাবসা করার, টাকার ভাগাভাগি করার।
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে আগস্ট, ২০১৫ রাত ১১:৪৪
৬২টি মন্তব্য ৬১টি উত্তর পূর্বের ৫০টি মন্তব্য দেখুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ব্লগার'স ইন্টারভিউঃ আজকের অতিথি ব্লগার শায়মা

লিখেছেন অপু তানভীর, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ রাত ১১:০৫



সামুতে ব্লগারদের ইন্টারভিউ নেওয়াটা নতুন না । অনেক ব্লগারই সিরিজ আকারে এই ধরণের পোস্ট করেছেন । যদিও সেগুলো বেশ আগের ঘটনা । ইন্টারভিউ মূলক পোস্ট অনেক দিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

...এবং উচ্চতায় তুমি কখনই পর্বত প্রমাণ হতে পারবে না

লিখেছেন নতুন নকিব, ০৫ ই মে, ২০২৪ সকাল ৮:৫৬

...এবং উচ্চতায় তুমি কখনই পর্বত প্রমাণ হতে পারবে না

ছবি কৃতজ্ঞতাঃ অন্তর্জাল।

ছোটবেলায় মুরব্বিদের মুখে শোনা গুরুত্বপূর্ণ অনেক ছড়া কবিতার মত নিচের এই লাইন দুইটাকে আজও অনেক প্রাসঙ্গিক বলে মনে হয়।... ...বাকিটুকু পড়ুন

লালনের বাংলাদেশ থেকে শফি হুজুরের বাংলাদেশ : কোথায় যাচ্ছি আমরা?

লিখেছেন কাল্পনিক সত্ত্বা, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:১৪



মেটাল গান আমার নিত্যসঙ্গী। সস্তা, ভ্যাপিড পপ মিউজিক কখনোই আমার কাপ অফ টি না। ক্রিয়েটর, ক্যানিবল কর্পস, ব্লাডবাথ, ডাইং ফিটাস, ভাইটাল রিমেইনস, ইনফ্যান্ট এনাইহিলেটর এর গানে তারা মৃত্যু, রাজনীতি,... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমেরিকার গ্র্যান্ড কেনিয়ন পৃথিবীর বুকে এক বিস্ময়

লিখেছেন কাছের-মানুষ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৪১


প্রচলিত কিংবদন্তি অনুসারে হাতে গাছের ডাল আর পরনে সাধা পোশাক পরিহিত এক মহিলার ভাটাকতে হুয়ে আতমা গ্র্যান্ড কেনিয়নের নীচে ঘুরে বেড়ায়। লোকমুখে প্রচলিত এই কেনিয়নের গভীরেই মহিলাটি তার... ...বাকিটুকু পড়ুন

চুরি! চুরি! সুপারি চুরি। স্মৃতি থেকে(১০)

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৩৪


সে অনেকদিন আগের কথা, আমি তখন প্রাইমারি স্কুলে পড়ি। স্কুলে যাওয়ার সময় আব্বা ৩ টাকা দিতো। আসলে দিতো ৫ টাকা, আমরা ভাই বোন দুইজনে মিলে স্কুলে যেতাম। আপা আব্বার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×