সে বহুদিন আগের কথা,,
সময় টা 1786 সাল, আমেরিকার ফিলাডেলফিয়া অঙ্গরাজ্যের ছাপাখানার কর্মচারীরা তাদের তাদের শ্রম, বেতন, আর সুযোগ -সুবিধার এবং অধিকার আদায়ের জন্য তাদের কাজকর্ম বন্ধ করে দেয়। অর্থাৎ তারা "Strike " করে। তখন থেকেই এই সভ্যতা ' হরতাল ' নামক এই শব্দের সাথে তার যাত্রা শুরু করে। এরপর 1920 সালে জার্মানিতে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার জন্য রাজনৈতিক দল এবং 1926 সালে ব্রিটেনের কয়লা শ্রমিকরা তাদের দাবি -দাওয়ার জন্য ' Strike 'করে।
আমাদের উপমহাদেশ অবশ্য ' হরতালের আগমন টা ঘটে অহিংস আন্দোলনের মহান নেতা 'মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী, মহাত্মা গান্ধীর হাত ধরে। 1918 সালের মার্চ কিংবা এপ্রিল মাসে ইংরেজদের তৎকালীন 'রাউলাট '( ব্রিটিশবিরোধী যেকোন কাজ) আইন বাতিলের বিপক্ষে মহাত্মা গান্ধী ' হরতালের ' ডাক দেন।
বলা বাহুল্য,, #হরতাল : একটি গুজরাটি শব্দ। যার 'হর ' মানে প্রত্যেক এবং 'তাল ' মানে তালা দেয়া। অর্থাৎ প্রতি ঘরেঘরে তালা দেয়া।
গনতান্ত্রিক, রাজনৈতিক কিংবা মৌলিক অধিকার আদায়ের জন্য যেকোন রাজনৈতিক দল, গোষ্ঠী, সম্প্রদায়, প্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে এমনকি ব্যক্তি পর্যায়ের যে কেউ ' হরতালের ' আহ্বান করতে পারে। যেকোন স্বাধীন -সভ্য গনতান্ত্রিক দেশে ইহা বৈধ ব্যাপার। হরতালের ব্যাখ্যায় বলা হয় : রাজনৈতিক এবং গনতান্ত্রিক দাবি -দাওয়া অর্জনের খাতিরে রাস্তা -ঘাট, যানবাহন -স্কুল -কলেজ, অফিস, দোকানপাট বন্ধ করে বিক্ষোভ প্রকাশ করা। গনতান্ত্রিক অধিকার আদায়ের মাধ্যম কিংবা রাজনৈতিক প্রতিবাদের ভাষা হিসেবে হরতালের চর্চাটা অনেক দিনের পুরনো এবং জনপ্রিয়। তাই পৃথিবীর ইতিহাসে হরতাল পালন নতুন কিছু নয়। তবে সেই হরতাল আহ্বান অথবা পালনের নামে আজ যা হচ্ছে সেটা নতুন কিছু বটে!!!
বাংলাদেশের স্বাধীনতা পরবর্তী 1979 সাল পর্যন্ত হরতালের প্রাদুর্ভাব খুব একটা দেখা যায়নি, তবে আশি এবং নব্বই দশকের স্বৈরাচারী 'এরশাদের ' শাসনামলের জুলুম -অত্যাচারের পর সামরিক জান্তার বেড়াজাল থেকে মুক্তির পথ হিসেবে ' গনতন্ত্রের ' সুবাস পাবার আশায় এদেশের সাধারণ জনতা যখন মশগুল ঠিক তখনই দেখা গেলো ' মুদ্রা'র উল্টো পিঠ। স্বাধীন দেশে শাসনতান্ত্রিক উপায়ে নির্বাচিত 1991-96 সালের সেই প্রথম শাসনামলেই 174 দিবস হরতাল পালন হয়েছিলো!!! সে থেকেই হরতালের সাথে এদেশের রাজনৈতিক দলগুলোর বিশাল সখ্যতা। এরপর থেকেই : প্রতিটি রাজনৈতিক দলের নির্বাচন পরবর্তী সময়ে হরতালে সংখ্যা, এতে জান -মাল, ধন -সম্পদের ক্ষয় -ক্ষতির পরিমাণ, এবং এর তীব্রতা মারাত্মক হতে মারাত্মকতর হয়েছে। সময়ের ক্রমান্বয়ে এর ভয়াবহতা বেড়েই চলছে।
আমাদের এই প্রজন্মের বয়স খুব বেশি না হলেও,, আমরা আমাদের ছোটবেলায় দেখতাম : হরতাল মানেই রাস্তা -ঘাট একেবারে ফাঁকা, গাড়িঘোড়া চলতই না বলা চলে, অধিকাংশ দোকানই থাকতো বন্ধ, মহাসড়ক গুলাতে ক্রিকেট খেলা যেতো এমন অবস্থা। হরতাল মানেই মনে হতো অলিখিত একটি রাষ্ট্রীয় ছুটির দিন। আর দিনশেষে হরতাল আহ্বানকারী দল শান্তিপূর্ণ ভাবে হরতাল পালনের জন্য দেশবাসীকে ধন্যবাদ দিতো।
হরতালের এই চালচিত্র এখন দুঃস্বপ্নেও কল্পনা করা যায় না। সম্ভবত হরতাল নিজেও তার সোনালি অতীতের কথা মনে করে নিঃশব্দে ডুকরে কেঁদে উঠে। যুগ পাল্টেছে, তাই বুঝি হরতালের সংজ্ঞাও পাল্টেছে, এখন হরতাল মানেই রাজপথে আরও বেশি যানজট বেঁধে যাওয়া, জীবন নিয়ে আদৌ ঘরে না ফেরার ভয় নিয়ে গাড়িতে উঠা, কারা কোথা থেকে হরতাল আহ্বান করে, তাদের টিকির খবরও খুঁজে পাওয়া যায় না, আর দিনের শেষে শান্তিপূর্ণ উপায়ে হরতাল পালনের জন্য কেউ ধন্যবাদ না দিলেও আমাদের মতো খেটে -খাওয়া সাধারণ মাটির মানুষগুলিকে খড়কুটোর মতো জ্যান্ত আগুনে, পেট্রোলবোমায়,বোমা বিস্ফোরণে কিংবা ককটেলের তান্ডবে পুড়িয়ে, দগ্ধ করে, ঝলসিয়ে কয়লা করার জন্য ঠিকই এইসব মানুষরুপী নরখাদক, বর্বর আর খুনিরা পরের দিনও আবার হরতাল -অবরোধের জন্য আহ্বান করেন।।
পাঁচ জানুয়ারি কে ' গনতন্ত্রের কালো দিবস ' আখ্যায়িত করা একদল, যারা ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য পাগলা কুত্তার মতো ক্ষেপে আছে, পাঁচ জানুয়ারিকে ' গনতন্ত্রের রক্ষা দিবস 'আখ্যায়িত করা আরেকদল, যারা ক্ষমতাকে আকড়ে ধরার জন্য অসভ্য শাসকের মতো হুংকার ছাড়ছে। সেই পাঁচ জানুয়ারি 2015 'র পর হতে আজ হরতাল -অবরোধের 63তম দিন।
আর এই গত 63 দিনের হরতাল -অবরোধে যে পরিমাণ শুধুমাত্র মানুষই মারা গেছে, সেই সংখ্যাটা আৎকে উঠার মতো। এই কয়েকদিনে মানুষ মৃত্যুর সংখ্যাটা ১২০ ছাড়িয়েছে, হতাহতের পরিমাণ almost ২০০। ভাবা যায়!!! কল্পনা করা যায়!! হ্যা এটাই হচ্ছে এদেশে। হ্যা মানুষই খুন করছে এদেশের রাজনৈতিক দলগুলো। শুধুমাত্র দলীয় স্বার্থের জন্য,, মানুষকে পুড়িয়ে -কয়লা করার হুকুম আর এমন জঘন্য কাজও এরা করে যাচ্ছে নির্বিকার ভাবে।। প্রতিদিনই টিভি চালু দিলে, পত্রিকার পাতা খুললে, রেডিওতে কান পাতলে শুধু একটা খবর শুনতে পাওয়া যায়,, ওমুক জায়গায় এতজন পেট্রোলবোমায় দগ্ধ হয়ে মারা গেছে। আর এতজন আগুনে দগ্ধ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি। আমাদের ইসলাম ধর্মে পবিত্র কুরআনে পর্যন্ত একটা জ্যান্ত পাখিকে পুড়িয়ে মারার ব্যাপারে নিষেধ আছে,,আর আমরা মানুষ হয়ে মানুষকে জ্যান্ত পুড়ানোর হুকুম দিচ্ছি নির্দ্বিধায়!!!
'আইয়ামে জাহেলিয়া'র যুগে বর্বর আরবেরা কন্যা শিশুকে পুড়িয়ে মারতো,বর্তমানে IS সদস্যরা এবং আফ্রিকার জঙ্গি সংগঠন 'বোকো হারাম ' মানুষকে আগুনে জ্বালানোর মতো নারকীয় কাজ করে। আমরাও তাদের মতো কাজ করছি। যে নব্বই জনের উপরেও মানুষ মরেছে,,তাদের মধ্যে ফেরেশতার মতো নিষ্পাপ শিশু মরেছে। মরেছে আমার -আপনার নিরপরাধ মা-বোন, আছে স্কুল -কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া মেধাবী শিক্ষার্থী, আগুনে পুড়তে হয়েছে গাড়িচালক -হেলপার কে, দরিদ্র কৃষক কে, চাকুরীজীবী -ব্যবসায়ীকে, আগুনে পুড়ে ঝলসে -কয়লা হতে হয়েছে আমার পিতা, আপনার ভাই, প্রিয়তমা স্ত্রী, কলিজার টুকরো ভাই, বৃদ্ধা অন্ধ মায়ের একমাত্র অবলম্বন সন্তান আর আমার -আপনার মতো ছাপোষা মানুষ,, ছালা মধ্যবিত্তকে! !! এই যে এতগুলো মানুষ মরলো,, এদের কি দোষ?? এরা কি অপরাধ করলো?? এদের অন্যায়টা কোথায়?? এসবের জবাব কেউ দিবে না!! আমাদের জীবন তো জীবন না। আমাদের জীবনের মূল্য তো রাস্তার পাশে পরে থাকা শিয়াল -কুত্তার মতো!! আপনারা রাজনীতি করবেন, ক্ষমতার জন্য পশু হবেন, হরতাল ডেকে ভীরু-নপুংসকদের মতো ইদুরের মতো গর্তে ঢুকে যাবেন , মানুষ খুন করার কাজে মত্ত হবেন আর মরতে হবে আমাদের!! কই যাদের কে ক্ষমতা থেকে নামানোর জন্য অনবরত হরতাল পালনের নামে মানুষ পুড়িয়ে কয়লা করছেন, তাদের কোন রাজনৈতিক নেতা কে তো মরতে দেখি নি,, তাহলে সাধারন মানুষের ওপর কেন এতো ক্ষোভ,, বাসে পেট্রোলবোমা মারছেন, চলন্ত ট্রেনে বোমা ছুড়ছেন, ফিসপ্লেট খুলে ফেলছেন, দেশের হতদরিদ্র সাধারণ মানুষ খুন করার হলি খেলায় মেতে উঠছেন প্রতিদিন।। লজ্জা করবে না,, নির্বাচনের সময় এই কাদামাটির মানুষের সামনেই ভিক্ষুকের মতো একটা ভোটের জন্য ভিক্ষা চাইবেন।
এতো এতো মানুষ মরছে প্রতিদিন যে,, আমাদের অনুভূতি ভোঁতা হয়ে যাচ্ছে, টেলিভিশন, পত্রিকা সবখানেই মানুষ পুড়ে মরার ব্যাপার এখন আর আমাদের চেতনায় খুব একটা ধাক্কা দেয় না, আমরা ধরেই নিচ্ছি হরতালে আগুনে পুড়ে মরার ব্যাপার খুব সহজ -স্বাভাবিক ঘটনা। অথচ একটা বার একটু চোখ বন্ধ করে ভাবুন,, আপনার পিতা, মমতাময়ী মা, আদরের ভাই, অন্তরের বোন, আপনার ভালোবাসার প্রিয় স্ত্রী কিংবা জীবনের চেয়ে বেশি মূল্যবান আপনার সন্তানটি আগুনের লেলিহান শিখাই জ্বলছে!! হ্যা আপনি -আমি এমনটা দুঃস্বপ্নেও চিন্তা করতে পারি না। কিন্তু খুব ঠান্ডা মাথায় আমার -আপনার মতোই রক্তে-মাংসের মানুষেরা একাজের হুকুম দিচ্ছে এবং একাজ করাচ্ছেন। আমার খুব অদ্ভুত লাগে সেসব ভাড়ায় খাটায় মানুষগুলো মাত্র অল্প কয়েকটি টাকার জন্য বাসে -ট্রেনে পেট্রোলবোমা, ককটেল ছুড়ছে তারা কি একটা বারের জন্যও ভাবে না তারা কি করছে!! তাদের বুকের ভিতরে কি 'হৃদয় 'বলে কোন শব্দ নাই। আর সেসব রাজনীতিবিদরা ক্ষমতার জন্য এমন নির্মম কাজের উৎসাহ -হুকুম দিচ্ছে তারা কি তাদের মৃত্যুর কথা ভুলে গেছে, তাদের এমন বর্বর -অসভ্য আর পাপের বিচার কি হবেনা??
এদেশে "বার্ন "ইউনিট নামে একটা জায়গা আছে!! শশ্মান ঘাট আর বার্ন ইউনিট একটা আরেকটার মুদ্রার এপিঠ -ওপিঠ!! শশ্মান ঘাটে মৃত মানুষকে পুড়ানো হয়, আর বার্ন ইউনিটে জ্যান্ত পুড়ানো মানুষকে এনে রাখা হয়। টেলিভিশনের পর্দায় যখন বার্ন ইউনিটে আগুনে দগ্ধ হওয়া স্বজনদের চোখের জল দেখি নিজেকে বড্ড অসহায় লাগে।।এই খেতে -খামারের নিরীহ মানুষ গুলোতো কোন অপরাধ করেনি,, আল্লাহ তায়ালা এদের ওপর কেন এতোবড় শাস্তি দিচ্ছে?? আমাদের দেশের নগ্ন-অসভ্য রাজনীতির বলির পাঠা এরা কেন হবে???
গত কয়েক সপ্তাহে আগে : এফবিসিসিআইয়ের একটা রিপোর্টে বলা হয়েছে: গত 'বত্রিশ 'দিনের (ঐ সময়ের হিসাব মতে ) হরতাল -অবরোধে বিভিন্ন খাতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ 'পচাত্তর' হাজার কোটি টাকা!!! যার মধ্যে ' একত্রিশ' হাজার কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে শুধুমাত্র পোশাক /গার্মেন্টস সেক্টরে!! তৃতীয় বিশ্বের একটা দরিদ্র দেশ হিসেবে বাংলদেশের অর্থনীতির মেরুদন্ড ভাঙ্গার জন্য এটাই কি যথেষ্ট নয়?? পরিবহন, কৃষি,নিম্ন -মধ্যম পুজির ব্যবসায়ীরা প্রতিদিন একটু একটু করে ডুবে যাচ্ছে। একজন রিকশাওয়ালা, গাড়িচালক, কৃষক, সবজি বিক্রেতার জীবনজীবিকার পথ বন্ধ হয়ে যাচ্ছে,, অবশ্য আমাদের মহামান্য রাষ্ট্রনায়কের দল এদের দিকে চোখ ফিরাবার ফুরসত কোথায়?? যে করেই হউক ক্ষমতার চেয়ারটাকে যে শক্ত করে ধরে থাকতে হবে। প্রয়োজন হলে তাদের পোষ্য,, রাষ্ট্রযন্ত্রের দ্বারা মানুষের বুকে গুলি চালাতে দ্বিধা কোথায়?? দেশটাতো ওনাদের একলারাই, ,আমরা তো শিয়াল -কুত্তা!!
আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা মোটামুটি অধপতনের একেবারে তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। অনন্তকালের হরতালের জন্য এবছরের SSC পরীক্ষা আদৌ এবছর শেষ হয়ে রেজাল্ট হবে কিনা আল্লাহ তায়ালা ভালো বলতে পারবেন। ক্ষমতার লোভ এদের এমন ভাবে ঝেঁকে ধরেছে,, শুক্রবার এ ছেলেমেয়েদের পরীক্ষা হয় সেদিনও আমাদের রাজনীতিবিদরা হরতাল আহ্বান করেন। ক্লাস -পরীক্ষা বন্ধ হয়ে শিক্ষা জীবন থেকে গুরুত্বপূর্ণ সময় নষ্ট হয়ে যাচ্ছে সেদিকে তাকানোর কারও সময় নেই,, সময় আছে শুধু মানুষ খুন করে, শিক্ষা ব্যবস্থা পঙ্গু করে হলেও কিভাবে ক্ষমতায় যাওয়া!!
হ্যা,, একদিন হয়তো এই দুঃসহনীয় হরতাল -অবরোধ থেমে যাবে,, মানুষ মৃত্যুর নির্মম মিছিলটা বন্ধ হববে,, কিন্তু যে পরিবার তাদের প্রিয়জন হারিয়ে নিঃস হয়ে যাবে, তার সান্ত্বনা কে দিবে?? তাদের এই অপূরণীয় ক্ষতির উপর কে ক্ষতিপূরনের মলম দিবে?? আপনারা যে রাজনৈতিক দলগুলো শুধুমাত্র আপনাদের রাজনৈতিক লোভকে হাসিল করবার জন্য প্রতিদিন আমাদের মতো সাধারন মানুষগুলো পেট্রোলবোমায় পুড়িয়ে কয়লা করছেন আর ভাবছেন,, আমরা কিছু বলবো না,, ভুল। ইতিহাস ঘুরেফিরে আসে,,আপনারাও আমাদের কাছে আসবেন একদিন,, আমরা আপনাদের ক্ষমা করবোনা!! প্রতিটি মৃত্যুর হিসাব পাইপাই করে দিতে হবে!! বিচার আমরা না করতে পারলেও ওপরে যিনি আছেন, তিনি সত্য, তিনি বিচার করবেন।
আমাদের প্রজন্মকে আপনারা (রাজনীতি) পেট্রোলবোমায় পুড়িয়ে কয়লা হবার যে উপহার দিলেন তার ওপর শত -সহস্রববার ধিক্কার,, আপনাদের ওপর আমাদের অভিশাপ রইলো!!