এখন বস্তুত সময় এসেছে কাজ করার - উপস্থিত ব্লগারদের আলোচনাতেও সেই আগ্রহ, উচ্ছ্বাস প্রকাশ পেয়েছিল। সংক্ষেপে জেনে নেয়া যাক সবার মতামত এবং আগামীর কিছু করণীয় ।
১. স্বাক্ষর সংগ্রহ পরিসংখ্যান
এ পর্যন্ত ৩০ হাজার স্বাক্ষর সংগ্রহ হয়েছে – আলোচনার শুরুতেই এই পরিসংখ্যান সবাইকে বেশ আশাবাদী করে তোলে। ৯ই ডিসেম্বর থেকে ২২শে ডিসেম্বর পর্যন্ত, ১৩ দিনের এই অগ্রগতির তথ্যাবলী ব্লগে বিভিন্ন সময়ে ব্লগারদের প্রদত্ত মন্তব্য/লেখনী থেকে নেয়া হয়েছে। উপস্থিত সবাই ব্লগার রাহা'কে স্বাক্ষর সংগ্রহের অগ্রগতি সম্পর্কে সকলকে নিয়মিতভাবে অবহিত করার প্রস্তাব দেয় ।
২. যুদ্ধাপরাধী সনাক্তকরণ এবং তালিকা তৈরী ।
আলোচনায় ব্লগারেরা যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিকে আরো দৃঢ় ও শক্তিশালী করার জন্য যুদ্ধাপরাধী সনাক্তকরণ ও যুদ্ধাপরাধীদের তালিকা করণের বিষয়ে জোর দিতে প্রস্তাব দেয়।
এছাড়া বিদেশের বিভিন্ন স্থানে অবস্থানরত, পলাতক যুদ্ধাপরাধীদের সম্পর্কিত তথ্য রয়েছে উক্ত সাইবার ক্যাফের মালিক সানওয়ার ভাইয়ের কাছে। ব্লগারদের প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে সানওয়ার ভাইকে ইতিমধ্যে অনুরোধ করা হয়েছে তথ্যগত সহযোগীতা প্রদানের জন্য।
এর বাইরে এ পর্যন্ত যত যুদ্ধাপরাধীদের নাম এসেছে সবগুলোর আর্কাইভ করার প্রয়োজনীয়তাও ব্লগাররা আলোচনা করেন। এ সমস্ত যুদ্ধাপরাধীদের খবর পাওয়া যাবে নিম্নোক্ত তিনটি ওয়েব লিংকে -
>> http://www.sachalayatan.com/manik061624/14059
>> http://bd71.blogspot.com/
>> http://71erdalalera.blogspot.com/
আমাদের জানার বাইরে যুদ্ধাপরাধীদের তথ্য বর্ণিত উল্লেখযোগ্য ওয়েব লিংক প্রদানের জন্য ব্লগারদের কাছে আহবান জানানো হচ্ছে ।
৩. মুক্তিযুদ্ধের অভিজ্ঞতা লিপিবদ্ধকরণ
যুদ্ধাপরাধীদের সনাক্তকরণের আলোচনাতেই উঠে আসে মুক্তিযুদ্ধকালীন জানা-অজানা অভিজ্ঞতাগুলো তুলে ধরার প্রয়োজনীয়তা । বাবা-মা, দাদা-দাদী, মামা-মামী, খালা-খালু, ফুপু-ফুপা, শশুর-শাশুড়ী, বুড়ো-বুড়ি আত্মীয়-স্বজন, শিক্ষকদের কাছ থেকে ব্লগাররা খুব সহজেই জেনে নিতে পারেন মুক্তিযুদ্ধকালীন স্মৃতি । তাঁদের স্মৃতি থেকে রাজাকার ও যুদ্ধাপরাধী বিষয়ক যে কোন তথ্য বর্ণিত হতে পারে ব্লগে ।
ব্লগাররা আরো প্রস্তাব দেন, সামহোয়্যার...ইন ব্লগের প্রথম পাতায় লিংক দিয়ে একটি গ্রুপ-ব্লগ তৈরী করা যেতে পারে যেখানে ব্লগাররা তাদের এমন অভিজ্ঞতার কথা লিপিবদ্ধ করবে।
৪. মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক প্রকাশনা সংকলন
মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক এবং যুদ্ধাপরাধী সংক্রান্ত বই, প্রকাশনা ইত্যাদি সবরকম দলিলনামাগুলো সকলের সহজপ্রাপ্তির সুবিধার্থে আর্কাইভ করার জন্য ব্লগাররা প্রস্তাব দেয়। এইক্ষেত্রে অনেকেই জানান যে, সেক্টরস কমান্ডার ফোরাম বা ঘাতক দালাল নির্মূল (ঘাদানি) কমিটি সহ অন্যান্য যেসব সংগঠন যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে আসছে, তাদের প্রকাশনাগুলা ব্লগার অমি রহমান পিয়াল ও ব্লগার শওকত হোসেন মাসুম -এর কাছে থাকতে পারে। এরকম প্রকাশনাগুলো নিয়ে আর্কাইভ করা যেতে পারে জেনোসাইড বাংলাদেশ বা মুক্তিযুদ্ধ ওয়েবসাইটে । ফলশ্রুতিতে খুব সহজেই আমাদের ব্লগাররা কিনবা তরুণ সম্প্রদায় বা আগ্রহী গবেষকগণ বিভিন্ন তথ্য, বিভিন্ন সময় ব্যবহার করতে সক্ষম হবেন। এই প্রকাশনাগুলো সম্পর্কিত তথ্য সংগ্রহ ও সংরক্ষণের জন্য সম্ভাব্য পদক্ষেপ নিতে ব্লগার অমি রহমান পিয়াল ও ব্লগার শওকত হোসেন মাসুম'কে মূল দ্বায়িত্ব গ্রহণের প্রস্তাব উত্থাপিত হয়।
৫. শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে গণস্বাক্ষর অভিযানের প্রচারণা
যে সকল ব্লগাররা বর্তমানে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত আছেন তাদের সহযোগীতায় বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গণস্বাক্ষর অভিযানের প্রচারণা চালানোর কর্মসূচী সম্পর্কেও ব্লগাররা আলোচনা করেন । ইতিমধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরজু কয়েক’শ স্বাক্ষর সংগ্রহও করেছেন। ব্লগাররা জানান যে, স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটির নাফিস, এ.আই.ইউ.বি'র শায়ের ইতিমধ্যে নিজ নিজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কাজ শুরু করেছেন। এছাড়া ব্লগার মুতাসিম তার নগরবালক ব্লগে স্কুল পর্যায়ের বিভিন্ন ব্লগারদের আহবান জানিয়েছেন এবং তার স্কুলের ডিবেটিং ক্লাব, ড্রামা ক্লাবের সহায়তায় শীঘ্রই স্বাক্ষর গ্রহণ অভিযানের আশ্বাস দিয়েছেন ।
>>> এ প্রসঙ্গে বলে রাখা ভাল, ব্লগার মুতাসিম অন্তত দু'জন বয়ো:জেষ্ঠ্য ব্লগারকে প্রচারণার সময় পাশে থেকে সহযোগীতার জন্য আহ্বান জানিয়েছে। সেই সাথে প্রায় ৮০-১০০টি মুদ্রিত গণস্বাক্ষর ফর্মের প্রয়োজনীয়তার কথা জানিয়েছে । মুতাসিম গভ: ল্যাব: স্কুলের ছাত্র ; সে ধারণা করছে ব্লগারদের মধ্যে কোন প্রাক্তন গভ: ল্যাব: স্কুলের শিক্ষার্থী থাকলে তাতে প্রচারণাতে বেশ স্বত:স্ফূর্ততা আসবে। মুতাসিম আগামী বুধবার, সকাল ১০:০০ টা থেকে প্রায় ১২:০০ টা পর্যন্ত প্রচারণা চালাতে আগ্রহী । এ সময় তাদের প্রভাতী শাখার পাঠদান শেষ এবং দিবা শাখার পাঠদানের শুরু বলে শিক্ষার্থী সমাবেশ বেশ হয়ে থাকে। মুতাসিম আশা করছে সহযোগীতা পেলে অন্ততপক্ষে তিনদিন তার স্কুলে এই প্রচারণা চালানো সম্ভব।
আলোচনায় আহ্বান করা হয় যে, বিভিন্ন ব্লগাররা তাদের লেখায় যদি এইসব কিশোর-তরুণ ব্লগারদের অনুপ্রেরণা এবং সার্বিক সহযোগীতার আশ্বাস দেন তবে তারা আরো অনেক উদ্যোগী হবে ।
৬. লিফলেট/পোস্টার/স্টিকার : ডিজাইন, ছাপা খরচ, তহবিল সংগ্রহ
এই মুহূর্তে লিফলেট, পোস্টার ও স্টিকার করার বিষয়ে ব্লগাররা তাদের মতামত দেন।
লিফলেট তৈরীর জন্য বক্তব্য, শ্লোগান ইত্যাদি নির্ধারনে ব্লগার একরামুল হক শামীমকে প্রস্তাব দেয়া হয়। ব্লগারদের মতামত জানতে পরবর্তীতে ব্লগার একরামুল হক শামীম সম্ভাব্য লিফলেটর একটি নমুনা প্রদান করবেন ।
ইতিমধ্যে ব্লগার মেঠোজন পোস্টারের জন্য একটি নমুনা দিয়েছেন। (বিস্তারিত : Click This Link)
পোস্টার/লিফলেট/স্টিকারের ডিজাইন ব্লগারদের মতামতের ভিত্তিতেই গ্রহণযোগ্য হবে। আগামী ৩০শে জানুয়ারী'র মধ্যে আগ্রহী ব্লগারদের ডিজাইন জমা দিতে অনুরোধ করা হচ্ছে । ।
স্টিকারের জন্য ইতিমধ্যে কেউ কেউ উদ্যোগ নিয়েছেন। স্টিকার সম্পর্কিত বিভিন্ন তথ্য পাওয়া যাবে এখানে- http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=694 । লিংকের এই স্টিকারের কাজ যারা করেছেন তাদের সাথে ব্লগাররা যোগাযোগ করে জানতে পারেন যে ছাপানোর উপযুক্ত প্লেট করাই আছে; এখন শুধুমাত্র কাগজ ও ছাপার খরচ হলেই পূণ:মুদ্রণ সম্ভব। এমন ৪০০০ হাজার স্টিকারের জন্য চারহাজার টাকা বা তার চেয়ে কম খরচ হতে পারে।
উল্লেখিত লিফলেট/পোস্টার/স্টিকার তৈরীর জন্য প্রকৃত ব্যয়ের নিরিখেই তহবিল সংগ্রহের প্রস্তাব উত্থাপিত হয়। ডিজাইন চূড়ান্ত হলেই ছাপাখানা থেকে সম্ভাব্য ব্যয় সম্পর্কিত হিসাব নির্ধারণ করে সে প্রেক্ষিতে তহবিল সংগ্রহের জন্য ব্লগারদের প্রস্তাব দেয়া হবে। ব্লগার জামাল ভাস্কর -কে ছাপার খরচ নিরূপনের দ্বায়িত্ব নিতে উপস্থিত ব্লগাররা প্রস্তাব করেন ।
এছাড়া এই মুহূর্তে বই, মাল্টিমিডিয়া সংকলন প্রকাশ করার প্রস্তাবনাগুলো পরবর্তীতে সময়-সুযোগমত বিবেচনা করার আশ্বাস দেয়া হয় । গণস্বাক্ষর কর্মসূচীর জন্য লিফলেট, স্টিকার, পোস্টার ছাপানোই এই মুহূর্তে অধিক গুরুত্বপূর্ণ বলে ব্লগাররা মত প্রকাশ করেন।
৭. অভিজ্ঞতা : গণস্বাক্ষর সংগ্রহ অভিযান
ব্লগাররা আলোচনা করেন যে, স্বাক্ষর গ্রহণকালে প্রতিনিয়ত নানাবিধ অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হতে হয় ব্লগারদের। এসব ঘটনার বয়ান দারূন উৎসাহব্যঞ্জক হতে পারে বলে গণস্বাক্ষর সংগ্রহ অভিযান চলাকালীন অভিজ্ঞতার বর্ণনা নিয়ে আরো বেশী পরিমাণে ব্লগে লেখা/পোস্ট দেয়ার জন্য প্রস্তাব করা হয় সভায়।
এ সময় বাণিজ্যমেলায় স্বাক্ষর সংগ্রহকালীন ব্লগার প্রত্যুৎপন্নমতিত্ব'র একটি অভিজ্ঞতার কথা স্মরণ করা হয়। ব্লগার প্রত্যুৎপন্নমতিত্ব'র ভাষ্য অনুযায়ী, একজন বয়সী ভদ্রলোককে স্বাক্ষর করার জন্য অনুরোধ করলে তিনি মহা উৎসাহে স্বাক্ষর দিয়ে মন্তব্য করেন, ”এখন যদি যুদ্ধাপরাধীদের বিচার না করতে পারেন, তবে শীঘ্রই ওরাই আপনাদের বিচার করবে”। উপস্থিত ব্লগারদের মধ্যে একজন এই উদ্ধৃতি দিয়ে পোস্টার তৈরীর প্রস্তাব করেন।
এই বিষয়ে সবচেয়ে আর্শ্চয্যজনক ঘটনা ঘটেছে সভার পর। আলোচনা শেষে ব্লগাররা বসুন্ধরার ফুড কোর্টের দর্শনার্থী এবং বিভিন্ন দোকানের কর্মচারীদের গণস্বাক্ষর নেয়া শুরু করেন। উপস্থতি ব্লগাররা প্রত্যেকেই ফর্ম নিয়ে প্রায় দশ-বারটি দলে বিভক্ত হয়ে ছড়িয়ে পড়েন। একজন সফেদ দাড়ীওয়ালা বয়োবৃদ্ধ, এক ফাস্টফুড দোকানের কর্মচারী, যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে গণস্বাক্ষর ফর্মে মহাউচ্ছ্বাসে স্বাক্ষর করেন। আলী নামের এই বয়োজেষ্ঠ্য স্বাক্ষর করার সময় জানান যে যুদ্ধের সময় মিরপুরের বোটানিক্যাল গার্ডেনের ভেতরে লুকিয়ে থাকার সময় তিনি নিজের চোখে দেখেছেন এক গণহত্যার দৃশ্য। বোটানিক্যাল গার্ডেনের দাপ্তরিক ভবনের ডান পাশে শিকায় ঝুলানো ফুলের বাগানের সন্নিকটে শ’য়ে শ’য়ে মানুষকে হত্যা করেছিল যুদ্ধাপরাধীরা। আলী ভাই জানান যে, এখন পর্যন্ত ঐ গণকবর অনাবিস্কৃত! এই গণকবর খুঁজে বার করার জন্য ব্লগাররা তাকে নিয়ে একদিন ঐ জায়গায় যাবে বলে প্রস্তাব দেয়। আলী ভাইয়ের অভিজ্ঞতা জানার পরে ব্লগাররা বাবা-মা, আত্মীয়স্বজনদের কাছ থেকে যুদ্ধাপরাধীদের খবর জানার জন্য আরো বেশি জোরালো মতামত প্রদান করেন।
৮. ড: মুহাম্মদ জাফর ইকবালের সম্পৃক্ততা
ব্লগার মাহমুদুল হাসান রুবেলের তথ্যের প্রেক্ষিতে ব্লগাররা একে অপরকে অবহিত করেন যে ডঃ মুহাম্মদ জাফর ইকবাল যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে গণস্বাক্ষর র্ফমে স্বাক্ষর করেছেন এবং তিনি আরো অনেককেই স্বাক্ষর প্রদানের জন্য উৎসাহ দিয়েছেন। এমন সব আর্দশস্থানীয়দের সম্পৃক্ত করার উদ্যোগ নেবার জন্য ব্লগাররা সবাইকে আহবান জানিয়েছেন।
৯. গণস্বাক্ষর অভিযানের ছবি/ভিডিও
ব্লগাররা আলোচনা করেন যে, বিভিন্ন স্থানে স্বাক্ষর গ্রহন প্রচারণার ছবি/ভিডিও মূল্যবান দলিল হতে পারে । আর তাই এগুলোকে নির্দিষ্ট কোন একটি ওয়েব লিংকে সংরক্ষণ করা প্রয়োজন। জেনোসাইড বাংলাদেশ, মুক্তিযুদ্ধ ওয়বেসাইটগুলোতে এই প্রচারণার জন্য আলাদা একটি বিভাগ বরাদ্দের সম্ভাব্যতা নিয়ে আলোচনা করা হয়।
এছাড়া ব্লগার জামাল ভাস্কর জানান যে, তিনি ফ্লিকারে একটি গ্রুপ রেজিস্টার করবেন যেখানে কেবল মাত্র গণস্বাক্ষর অভিযানের ছবি থাকবে । তদ্রুপ ইউটিউবেও একটি গ্রুপ রেজিস্টার করে সেখানে গণস্বাক্ষর অভিযানের ভিডিওগুলো সকলের জন্য তুলে ধরবেন । এ সমস্ত লিংকগুলো সামহোয়্যার...ইন ব্লগের যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চাই র্শীষক প্রস্তাবিত আলাদা গ্রুপ-ব্লগে থাকতে পারে । এ ব্যাপারে ভূমিকা নিতে ব্লগারদেরও অনুরোধ করা হয়।
১০. সহযোগী ব্লগ/ওয়েব সাইট/সংগঠন
এই প্রচারণার সাথে ইতি:মধ্যে যারা অংশ নিচ্ছে সেসব ওয়েব সাইট/সংগঠন সম্পর্কেও ব্লগাররা আলোচনা করেন । গণস্বাক্ষর ফর্মে উল্লেখিত ওয়েব লিংক ছাড়াও বর্তমানে আরো অনেক ওয়েব সাইট এই প্রচারণাতে জড়িত। মুক্তমনা, প্রিয় অস্ট্রেলিয়া, হটঢাকা, নগরবালক ইত্যাদি অনেক ওয়েব সাইটে প্রচারণামূলক ব্যানার শোভা পাচ্ছে। এছাড়া বৃত্ত, প্রজন্ম নামে আরো কিছু সংগঠনও গণস্বাক্ষরতা অভিযানে কাজ করে চলেছে।
ইতালী থেকে জনৈক ব্লগার জানিয়েছেন, তাদের একটি সংগঠন গণস্বাক্ষর সংগ্রহের পাশাপাশি যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবির প্রতি সর্মথন জানাবার জন্য ইউরোপিয়ান পার্লামেন্টকে অনুরোধ করেছে। এ বিষয়ে উপস্থিত ব্লগাররা আরো ওয়েব সাইট ও সংগঠনের কাছ থেকে সহযোগীতার আহ্বান এবং প্রাপ্ত বিভিন্ন সহযোগীতার তথ্যগুলো সংগ্রহ এবং তা ব্লগে প্রকাশের প্রস্তাব দেন।
১১. ফেসবুক প্রচারণা
ব্লগাররা আলোচনা করেন যে, এই প্রচারণাকে আরো জোরালো করার জন্য মুক্তিযুদ্ধ ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচার সংক্রান্ত সকল লেখনীর লিংক ফেসবুকে প্রচার করা প্রয়োজন। ইতিমধ্যে ব্লগার অরণ্য আনাম যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে গণস্বাক্ষর ফর্ম সংক্রান্ত যে গ্রুপ করেছেন তা যথেষ্ট পরিমাণে ফেসবুক ব্যবহারকারীদের দৃষ্টি আকর্ষণে সক্ষম হয়েছে।
১২. গণস্বাক্ষর ফর্মের ইংরেজী সংস্করণ ও বিতরণ
ব্লগে মন্তব্য হিসেবে উত্থাপিত ব্লগার রাগিবের মতামতের প্রেক্ষিতে, উপস্থিত ব্লগাররা গণস্বাক্ষর ফর্মে বিদেশীদের স্বাক্ষর নেয়ার প্রস্তাবটি গুরুত্ব সহকারে আলোচনা করেন। সবাই উচ্ছ্বসিত কণ্ঠেই গণস্বাক্ষর ফর্মের একটি ইংরেজী সংস্করণ তৈরীর প্রস্তাব দেন। ইংরেজী ফর্মে সংক্ষেপে গণস্বাক্ষর অভিযানের মূল উদ্দেশ্য বর্ণনা করার প্রয়োজনীয়তাও উল্লেখ করেন সবাই।
ডাউনলোড : গণস্বাক্ষর ফর্মের ইংরেজী সংস্করণ
ব্লগাররা আরো প্রস্তাব দেন ইংরেজী ফর্মটি সমস্ত বিদেশী দূতাবাস, সরকার ও সংস্থার কাছে প্রেরণের জন্য। যাতে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের এই দাবিতে একটি আন্তর্জাতিক সচেতনতা তৈরী হয়।
১৩. টিপসহি
নিম্ন আয়ের অনেক শ্রমজীবিরা স্বাক্ষর দিতে সক্ষম নয় যেমন সি.এন.জি কিনবা রিকশা চালকরা । এক্ষেত্রে তাদের নিকট বিষদ বর্ণনা পূর্বক টিপসহি সংগ্রহের প্রস্তাবনা দেয়া হয় উপস্থিত ব্লগারদের তরফ থেকে।
===========
কৃতজ্ঞতা :
ব্লগার কৌশিক : সমাবেশের খুঁটিনাটির বর্ণনা সরবরাহ করার জন্য ।
ব্লগার ফিউশন ফাইভ : গণস্বাক্ষর ফর্মের চমৎকার একটি ইংরেজী সংস্করণ সরবরাহ করার জন্য ।
============
ছবি সূত্র : http://www.rakibkhan.com/
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে জানুয়ারি, ২০০৯ দুপুর ২:৫১