দূর পাল্লার গাড়ি না চল্লেও শহরের ভিতরে গাড়ি চলবে, অর্থাৎ আন্ত জেলাবাস সার্ভিস বন্ধ থাকবে। এমন সিদ্ধান্ত আমাদের জন্যে কতটুকু ভালো কিছু বয়ে আনবে? একজন ব্যাক্তি যদি ভেঙে ভেঙে যাতায়াত করে, তবে তো সে আরো বেশি সংক্রমিত হবার এবং সংক্রমন প্রসারের কাজে ব্যবহৃত হতে পারে। আবার যে গাড়ি গুলো আন্ত জেলার মধ্যে চলাচল করে, তারাই বা নিজ জেলার মধ্যে কোন দূরত্বে কত টাকা ভাড়ায় গাড়ি চালাবে? সেটা তাদের পরিবার বা আয়ের ক্ষেত্রে কতটুকু সুবিধাজনক হবে? আর এই পরিস্থিতিতে পরবহন শ্রমিকগন নিজেদের আয় ছাড়া কিভাবে তার পরিবার পরিজন সংসার জীবকিা নির্বাহ করবে সেই ব্যপারেও সুষ্ঠ দিক নির্দেশনা সহ আর্থিক সহায়তা প্রয়োজন।
দোকান পাট সহ কল কারখানা সবই বর্তমানে চালু আছে। সুতরাং শুধু দূর পাল্লার যাতায়াত সম্পূর্ন বন্ধ রাখাটা এই পেশার সাথে জড়ি সকল মানুষকে চরম ভোগান্তিতে ফেলে দিয়েছে। স্বাস্থ্য বিধি কঠোর ভাবে পালনের মাধ্যমে দূর পাল্লার গাড়ি লঞ্চ ট্রেন চালু করা যায় কিনা সে বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ হয়তো ভেবে দেখবেন।আভ্যন্তরীন বিমান কিন্তু চলাচল করছে। যেহেতু করোনা বিস্তারের বিশেস কোন পথ নাই, যেকোন পরসরেই এটি বিস্তারে সক্ষম, যেকোন ভাবেই ছড়াতে পারে, তাই দূর পাল্লার বাস ট্রেন বন্ধ রাখলেই যে করেনার বিস্তার রোধ হবে, এমনটা নয়।
স্বাস্থ্য সচেতনা ও নির্দিষ্ট নিয়ম কানুন মেনে চলাই আমাদেরকে এই পরিস্থিতি উত্তরণে সহায়ক।
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা মে, ২০২১ সকাল ৯:৪৩