মুসলমানদের জন্য কোরবানীর ঈদ ত্যাগের মহিমায় উজ্জ্বল একটি ধর্মীয় উৎসব। প্রতি বছরই এই ঈদের অপেক্ষার থাকেন লাখ লাখ পশু ও খামার ব্যবসায়ী। তারা বাছুর কিনে পেলে পুশে বড় করে হাটে নিয়ে বিক্রি করে। অনেক ধৈর্য্য আর শ্রম ব্যয় করে তারা এই ঈদে পশুর যোগান দিয়ে থাকেন। পাশপাশি পার্শ্ববর্তি দেশ সমুহ থেকেও পশু আমদানি করা হয়।ভারত থেকেই মূলত আমাদের দেশে বেশীর ভাগ গরু আমদানী করা হয়।
আগামী জুলাই মাসের তৃতীয় সপ্তাহেই কোরবানীর ঈদ অনুষ্ঠতি হতে যাচ্ছে। বর্তমানে কোভিড-১৯ এর ভয়াবহ ছোবলে সারা বিশ্বই লন্ডভন্ড। পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতও বর্তমানে কোভিডের প্রভাবে জর্জরিত। এমতাবস্থায় যদি ভারত থেতে গরু আমদানী বন্ধ থাকে বা যদি গরু আমদানী নিয়ন্ত্রণ করা হয়, তবে বাজারে চাহিদা মাফিক কোরবানীর গরুর বেশ অভাব পড়বে। পাশপাশি গরু আমদানী বন্ধ হলেই দেশী খামারিরা তাদের লাগামহীন মুনাফা লাভের আশায় গরুর দাম হাঁকাবেন- সে কথা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। সুতরাং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের এখনই এই বিষয়ে সুদৃষ্টি দেয়া উচিৎ। ভারত ছাড়াও ভুটান বা অন্যান্য দেশ থেকে পর্যপ্ত গরু আমদানীর ব্যবস্থা রাখা দরকার। পাশপাশি করোনা কালীন সময়ে দেশীয় খামারিরা যেনো তাদের পশু পালনে সহযোগিতা পায় এবং সর্বিক নিরাপত্তা ও নিরাপদে বাজারজাত করণ করতে পারে, সেই ব্যপারেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের এখনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিৎ।
ছবি সূত্র - ইন্টারনেট!
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে মে, ২০২১ সকাল ১০:২৯