কোরবানীর ইতিহাস আমরা কম বেশী সবাই জানি। ধর্মীয় ভাব গাম্ভীর্য আর ত্যাগের মহিমায় উজ্জ্বল সেই ইতিহাস। আল্লাহর হুকুমে প্রিয় বস্তুকে উৎসর্গ করাই যার মূল উদ্দেশ্য। হযরত ইসমাইল (আঃ) এঁর পরিবর্তে একটি দুম্বা প্রতিকী হিসাবে আল্লাহর রাহে জবাই হয়। এখানে গোশত খাওয়ার কোন উদ্দেশ্যই ছিলো না। অথচ আমরা এখন পশু কোরবানী দিয়ে থাকি, গোশত খাওয়ার জন্যে। ১০০% ভাগ নিয়্যেত থাকে গোশতের হিসাব। পশু হত্যা করে গোশত খাওয়াই যেনো মূখ্য বিষয়। কোরবানীর পশু কিনতে যাচ্ছেন? লাইভ ওয়েট কত আগে সেই হিসাব কষছেন। গরু বা ছাগল দেখে মনে মনে হিসাব কষছেন এ্ই পশুর গা থেকে কত কেজি গোশত পাওয়া যেতে পারে? ব্যবসায়ীগন কোরবানীর পশু বিক্রির আগেই আপনাকে বলে দিচ্ছে লাইভ ওয়েট এতো কেজি। বাজারে এক কেজি গোশতের দাম এতো টাকা, সেই হিসাবে এই পশুর দাম হবে এত টাকা। এই যখন কোরবানী দাতার মনের হিসাব তখন আপনার আর কসাই এ মধ্যে পার্থক্য কোথায় রাখলেন মশাই? কোরবানীর পশু যখন লাইভ ওয়েট হিসাব করেই নিবেন অর্থাৎ গোশত খাওয়াই যখন আপনার কোরবানীর মূখ্য উদ্দেশ্য তখন পাড়ার কসাইকে বলে রাখলেই তো হয় ঈদের দিন সকালে এতো মণ গোশত দিয়ে যাবেন। তাহলে আপনার আর কোন ঝামেলাও থাকে না। লাইভ ওয়েট হিসাব করে গরু কিনে আমরা কোরবানীর নামে পশু হত্যাই করছি। কোরবানীর মূখ্য উদ্দেশ্য কোন ভাবেই এতে আদায় হয় না। সারা বছর এভাবে লাইভ ওয়েট হিসাবে পশু কিনে খাওয়া যায়, তবে কোরবানীর পশু কোন ভাবেই এই গোশতের পরিমান হিসাব করে কিনে কোরবানী আদায়ের সোয়াব পাওয়া যাবে বলে মনে হয় না।
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে জুন, ২০২৩ রাত ১০:৫৫