হরতাল আপডেটঃ বামদের চোখেমুখে মরিচ স্প্রে (১৬.১.১৩) মরিচের গুঁড়ায় (পিপার স্প্রে) গণতান্ত্রিক বাম মোর্চার নেতাকর্মী ও বাংলানিউজের দুই সংবাদ কর্মীসহ অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন পুরানা পল্টনে। জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে ডাকা বুধবারের অর্ধদিবস হরতালের শুরুতেই এ ঘটনা ঘটে। বাম মোর্চার সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকীর নেতৃত্বে সকাল সাড়ে ৬টার দিকে মতিঝিল এলাকা থেকে একটি মিছিল পুরানা পল্টন মোড়ে এসে অবস্থান নিলে প্রথম দফা পিপার স্প্রে ছোঁড়ে পুলিশ। বস্তুত রাস্তা থেকে হরতাল সমর্থকদের সরিয়ে দিতে গেলে পুলিশের বাক-বিতণ্ডার এক পর্যায়ে মরিচ স্প্রে করা হয়। এতে বাম মোর্চার বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী ছাড়াও বাংলানিউজের স্টাফ করেসপন্ডেন্ট সাজেদা সুইটি ও ফটো সাংবাদিক জাহিদ সাইমনসহ অন্তত ৩০ জন আহত হন। এরপর পিকেটাররা সাময়িকভাবে ছত্রভঙ্গ হয়ে পড়লেও ঘুরেফিরে পল্টন মোড়ে আসার চেষ্টা চালায়। তাদের পাশাপাশি অবস্থান নিতে থাকে সিপিবি ও বাসদের নেতাকর্মীরা। তাদের মিছিল থেকে ‘মহাজোট সরকার মূল্যবৃদ্ধির সরকার’সহ নানা সরকার বিরোধী শ্লোগান আসতে থাকে। প্রথম দিকে কেবল অবস্থান হটিয়ে দিতে থাকলেও এক পর্যায়ে মিছিলেও বাধা দিতে শুরু করে পুলিশ।
মরিচ স্প্রে’র পাশাপাশি জলকামান দেগে সিপিবি-বাসদের পিকেটারদের প্রেসক্লাবের দিকে ফেরত পাঠাতে থাকে। প্রেসক্লাব থেকে জিপিও ঘুরে পল্টন মোড়ে মিছিল আসতেও বাধা দেয় পুলিশ। এ সময় পোশাকধারী পুলিশ ছাড়াও সাদা পোশাকের পুলিশের হাতে মরিচ স্প্রে দেখা দেয়। প্রধান রাস্তা ছাড়াও গলিপথগুলোতেও কয়েকজন জমায়েত হলেই কাছে গিয়ে স্পে ছুঁড়ছে সাদা পোশাকের পুলিশ। এখানে দায়িত্বরত পল্টন জোনের এডিসি মেহেদি হাসান বাংলানিউজকে বলেন, “আমরা মিছিলে বাধা দিচ্ছি না। কিন্তু আইন-শৃঙ্খলা ভঙ্গ করলে অবশ্যই আমরা বাধা দেব।” তাহলে সাংবাদিকদের লক্ষ্য করে কেন স্প্রে ব্যবহার জানতে চাইলে তিনি বলেন, “সাংবাদিকদের ওপর স্প্রে ব্যবহার তো করার কথা নয়। হলে সেটা ইচ্ছাকৃত নয়।” এর আগের বাম দলের হরতালে বাধা না দিলেও আজ কেন বাধা দিচ্ছেন জানতে চাইলে প্রসঙ্গ এড়িয়ে তিনি বলেন, “জনজীবনে বিড়ম্বনা তৈরির চেষ্টা করলে বাধা দেবোই।”
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১০:২৬

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


