somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পৃথিবীর ভয়ঙ্কর সব সড়ক ! তবে সুন্দর !! ;) ;) ;)

০১ লা মে, ২০১১ রাত ১২:০০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আমাদের বাসার সামনের রাস্তাটাই তো খুব বিপজ্জনক। এরচেয়েও বিপজ্জনক রাস্তাও আছে যে সব রাস্তার আরেক নামই হলো ভয়ঙ্কর সব দুর্ঘটনা। তবে ওই রাস্তাগুলো যেমন ভয়ঙ্কর, তেমনি সুন্দর। চলুন সে সব ভয়ঙ্কর রাস্তাগুলো দেখে আসি ।
বলিভিয়ার মৃত্যু সড়ক :

দক্ষিণ আমেরিকার বিখ্যাত নেতা সাইমন বলিভারের দেশ এই বলিভিয়া। রাজধানীর নাম লাপাজ। আবার এই দেশের । লাপাজ থেকে আমাজন অঞ্চলের আঞ্চলিক রাজধানী করোইকা পর্যন্ত যে রাস্তাটি, তার নাম হলো ইউঙ্গাস। কিন্তু মানুষ রাস্তাটাকে ও-ই নামে একদমই ডাকে না। সবাই রাস্তাটাকে ডাকে ডেথ রোড বা মৃত্যু সড়ক বলে। কারণ দুর্ঘটনা হওয়া তো ওই রাস্তায় একেবারেই মামুলি ঘটনা! প্রতি বছর ওই রাস্তায় গড়ে দুই-তিন শ’ মানুষ মারাই যায়! রাস্তাটির কয়েকটা জায়গায় আবার কতোগুলো অদ্ভূত সাইনবোর্ড আছে। ওসব জায়গায় নিয়ম করে গাড়ি নিচে পড়ে যায় তো, তাই!
চিনের গুয়োলিয়াং সুড়ঙ্গ সড়ক :
চিনের হুনান প্রদেশে অবস্থিত তাইহাং পর্বত। আর এই পর্বতের আশেপাশের গ্রামের মানুষদের এই পর্বত ঘুরে যাওয়া-আসা করতে তো খুবই সমস্যা হতো। তাই সবাই মিলে পর্বতের পেট চিরে একটা সুড়ঙ্গ পথই বানিয়ে ফেলে। এই সুড়ঙ্গ পথটি একেবারে পাহাড়ের পেটের মাঝ দিয়ে এফোঁড় ওফোঁড় করে বেরিয়ে যায়নি বরং কিনারা ঘেঁষে পেটের সেলাইয়ের মতো পেঁচিয়ে পেঁচিয়ে চলে গেছে। গ্রামের লোকেরা ১৯৭৭ সাল হতে ৫ বছর পরিশ্রম করে ১২০০ মিটার! এ রাস্তাটা বানিয়েছিল ।
চিলির রুট ৫ :

চিলির এই রাস্তাটি আরিকা থেকে ইকুইক পর্যন্ত গেছে। রুট ৫ নামের এই রাস্তাটি কিন্তু খুবই বিখ্যাত। কারণ রাস্তাটি যেমন সুন্দর, তেমনি ভয়ঙ্কর। পাহাড়ের মাঝ দিয়ে রাস্তাটা এমনভাবে এঁকেবেঁকে গেছে, এমনভাবে হঠাৎ হঠাৎ করে বাঁক ঘুরেছে, যে সামনের দিক থেকে আসা গাড়িটাকে একদম কাছে আসার আগে দেখাই যায় না।
রাশিয়ার কাঁচা মহাসড়ক :
মহাসড়ক বা হাইওয়ে-ই যদি হবে, তবে আর সেটা কাঁচা হয় কি করে। কাঁচা রাস্তা তো হয় গ্রামে। এখন তো সেখানেও সব রাস্তাও প্রায় পাকা হয়ে গেছে। আর রাশিয়ার মতো দেশে কিনা একটা আস্ত হাইওয়েই কাঁচা! আসলে ঘটনা হলো, সাইবেরিয়া থেকে ইয়াকুটস্ক পর্যন্ত এই রাস্তাটি বছরের ১০ মাসই বরফে ঢাকা থাকে। পাকা হবে কিভাবে? আর তুষার ঢাকা কাঁচা রাস্তা কেমন বিপজ্জনক !আর ভয়ের কিন্তু এখানেই শেষ নয়। বছরের ২ মাস আবার ওখানে বরফ যায় গলে যায়। তখন বরফ গলা পানিতে পুরো রাস্তা একেবারে কাদা হয়ে যায়। বর্ষাকালে আমাদের ঢাকা শহরের রাস্তা আর কি এমন কাদা হয় ? হাজার হোক, আমাদের রাস্তাগুলো তো সব পাকা-ই! ওখানে তখন কী যে লম্বা লম্বা সব জ্যাম হয়! হাজার হাজার গাড়ি আটকা পড়ে যায় রাস্তার দু’পাশে। হাজার হাজার গাড়ির ভীড়ে পুলিশ আর কতো পাহারা দেবে বলো। তাই ডাকুরা মহানন্দে ডাকাতি করতে শুরু করে দেয়। তবেই বুঝুন কেমন বিপদ এই রাস্তায়!
চীনের সিচুয়ান-তিব্বত মহাসড়ক :
চায়নার মানে চীনের আরেক বিপজ্জনক রাস্তা এই সিচুয়ান-তিব্বত মহাসড়ক। সিচুয়ান রাজ্যের চেঙর” থেকে তিব্বত রাজ্যের রাজধানী লাসা পর্যন্ত এই রাস্তাটি প্রায় আড়াই হাজার কিলোমিটার দীর্ঘ। আর এই লম্বা রাস্তার দুইপাশে আছে রাজ্যের যতো পাহাড় আর নদী। গুনলে পাহাড় আছে মোটমাট ১৪টি, এদের প্রত্যেকটিই চার-পাঁচ হাজার মিটার উঁচু! আর নদীও আছে প্রায় ১ ডজন! আর নদীগুলোও যেমন তেমন নদী না, দাদু, জিনসা, ল্যান্টসাং, মুজিয়াং-য়ের মতো বিখ্যাত সব নদী। এতো গেলো রাস্তাটার সৌন্দর্য্য। এই রাস্তাটার একটা নিয়মিত ঘটনা হলো ভূমিধ্বস আর পাথর ধ্বস।
নরওয়ের ট্রলসটিগেন সড়ক :
নরওয়ের এই রাস্তাটার নাম ট্রলসটিগেন হলেও সবাই কিন্তু রাস্তাটাকে অন্য একটা নামে চেনে। সবাই জানে এর নাম দানবীয় সিঁড়ি! একটা পাহাড়ি রাস্তা কতোটা খাঁড়া হলে তার নাম হয়ে যায় সিঁড়ি! তবে এই রাস্তাটা কিন্তু পর্যটকদের জন্য খুবই আকর্ষণীয় একটা জায়গা। এই রাস্তা দেখার জন্য রীতিমতো আয়োজনই করে রাখা আছে। রাস্তায় ঢুকলেই দেখা যােব এক পাশে একটা বড়ো খোলা জায়গা। ওটা গাড়ি পার্ক করে রাখার জন্য। ওখানে গাড়ি রেখে ১০ মিনিট হাঁটলেই একটা বারান্দার মতো জায়গায় পৌছে যাবে। আর সেখান থেকে প্রায় পুরো ট্রলসটিগেন রাস্তাটাই দেখা যায়। এই রাস্তাতে নাকি ১১টা খাঁড়া বাঁক আছে! তবে এই রাস্তাতে একবার সাহস করে গেলে কিন্তু একটা উপরি পাওনা আছে। রাস্তাটার এক জায়গায় পাশে আছে ৩২০ মিটার উঁচু স্টিগফোসেন নামের এক জলপ্রপাত।
ইতালীর স্টেলভিয়ো পাস রোড :
ইতালির স্টেলভিয়ো পাস নামের এই রাস্তাটি অবশ্য অন্য রাস্তাগুলোর মতো তেমন ভয়ঙ্কর নয়। তবে এটা যতোটা কম ভয়ঙ্কর, ততোটাই বেশি সুন্দর। ইতালিয়ান পর্বতমালার গাঁ ঘেঁষে, সুইস বর্ডারের পাশ দিয়ে এঁকেবেঁকে এঁকেবেঁকে এগিয়ে গেছে রাস্তাটি। শুধু খাঁড়া বাঁকই আছে ৪৮টা! এবার কল্পনা করুন কেমন সুন্দর আর রোমাঞ্চকর রাস্তা এটা!

সূত্রঃ ইন্টারনেট_








২১টি মন্তব্য ৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বন্ডাইর মত হত্যাকাণ্ড বন্ধে নেতানিয়াহুদের থামানো জরুরি...

লিখেছেন নতুন নকিব, ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:২৫

বন্ডাইর মত হত্যাকাণ্ড বন্ধে নেতানিয়াহুদের থামানো জরুরি...

বন্ডাই সৈকতের হামলাস্থল। ছবি: রয়টার্স

অস্ট্রেলিয়ার সিডনির বন্ডাই সৈকত এলাকায় ইহুদিদের একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানে সমবেত মানুষের ওপর দুই অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী অতর্কিতে গুলি চালিয়েছে। এতে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আল্লাহ সর্বত্র বিরাজমাণ নন বলা কুফুরী

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:১৪



সূরাঃ ২ বাকারা, ২৫৫ নং আয়াতের অনুবাদ-
২৫৫। আল্লাহ, তিনি ব্যতীত কোন ইলাহ নেই।তিনি চিরঞ্জীব চির বিদ্যমাণ।তাঁকে তন্দ্রা অথবা নিদ্রা স্পর্শ করে না।আকাশ ও পৃথিবীতে যা কিছু আছে সমস্তই... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিজয়ের আগে রাজাকারের গুলিতে নিহত আফজাল

লিখেছেন প্রামানিক, ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:১৩


ঘটনা স্থল গাইবান্ধা জেলার ফুলছড়ি থানার উড়িয়া ইউনিয়নের গুণভরি ওয়াপদা বাঁধ।

১৯৭১সালের ১৬ই ডিসেম্বরের কয়েক দিন আগের ঘটনা। আফজাল নামের ভদ্রলোক এসেছিলেন শ্বশুর বাড়ি বেড়াতে। আমাদের পাশের গ্রামেই তার... ...বাকিটুকু পড়ুন

৫৫ বছর আগে কি ঘটেছে, উহা কি ইডিয়টদের মনে থাকে?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:৫৮




ব্লগের অনেক প্রশ্নফাঁস ( Gen-F ) ১ দিন আগে পড়া নিউটনের ২য় সুত্রের প্রমাণ মনে করতে পারে না বলেই ফাঁসকরা প্রশ্নপত্র কিনে, বইয়ের পাতা কেটে পরীক্ষার হলে নিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

১৯৭১ সালে পাক ভারত যুদ্ধে ভারত বিজয়ী!

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৯


দীর্ঘ ২৫ বছরের নানা লাঞ্ছনা গঞ্জনা বঞ্চনা সহ্য করে যখন পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বীর বাঙালী অস্ত্র হাতে তুলে নিয়ে বীরবিক্রমে যুদ্ধ করে দেশ প্রায় স্বাধীন করে ফেলবে এমন সময় বাংলাদেশী ভারতীয়... ...বাকিটুকু পড়ুন

×