somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আমার প্রিয় কবিতা সমগ্র - এক

১৬ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ৯:৫১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

পূর্ণিমার মধ্যে মৃত্যু
নির্মলেন্দু গুন
-------------------------------------------------
একদিন চাঁদ উঠবে না, সকাল দুপুরগুলো
মৃতচিহ্নে স্থির হয়ে রবে;
একদিন অন্ধকার সারা বেলা প্রিয় বন্ধু হবে,
একদিন সারাদিন সূর্য উঠবে না।

একদিন চুল কাটতে যাব না সেলুনে
একদিন নিদ্রাহীন চোখে পড়বে ধুলো।
একদিন কালো চুলগুলো খ’সে যাবে,
কিছুতেই গন্ধরাজ ফুল ফুটবে না।

একদিন জনসংখ্যা কম হবে এ শহরে,
ট্রেনের টিকিট কেটে
একটি মানুষ কাশবনে গ্রামে ফিরবে না।
একদিন পরাজিত হবো।

একদিন কোথাও যাব না, শূন্যস্থানে তুমি
কিম্বা অন্য কেউ বসে থেকে বাড়াবে বয়স।
একদিন তোমাকে শাসন করা অসম্ভব ভেবে
পূর্ণিমার রাত্রে মরে যাব।

একদিন সারাদিন কোথাও যাব না।




মানুষের বুকে এতো দীর্ঘশ্বাস
মহাদেব সাহা

-------------------------------------------------
কেউ জানে না একেকটি মানুষ বুকের মধ্যে কী গভীর দীর্ঘশ্বাস নিয়ে বেড়ায়-
কোনো বিষন্ন ক্যাসেটেও এতো বেদনার সংগ্রহ নেই আর,
এই বুকের মধ্যে দীর্ঘশ্বাসের পর দীর্ঘশ্বাস যেন একখানি অন্তহীন প্রগাঢ় এপিক!
পাতায় পাতায় চোখের জল সেখানে লিপিবদ্ধ
আর মনোবেদনা সেই এপিকের ট্রাজিক মলাট;
মানুষের বুকে এতো দীর্ঘশ্বাস, এতো দীর্ঘশ্বাস, কে জানতো!

দীর্ঘশ্বাসভরা এই বুকের চেয়ে শীতপ্রধান বিপন্ন অঞ্চল আর কোথাও নেই,
এমন হলুদ, ধূসর আর তুষারবৃত!
একেকটি মানুষ বুকের মধ্যে কী গভীর দীর্ঘশ্বাস নিয়ে বেড়ায়, কেউ জানে না
হঠাৎ একসঙ্গে অসংখ্য দুঃখ যদি কখনো কেঁদে ওঠে কিংবা যদি
প্রাচীন শিলালিপি থেকে সব শোকের গান সশব্দে বেজে যায়,
তাহলে যেমন মধ্যাহ্নের আকাশ সহসা দুঃখে ম্লান হয়ে যাবে
গোলাপ হবে কৃষ্ণবর্ণ, তার চেয়েও বিষন্নতা নেমে আসবে
মানুষের বুক থেকে এই দীর্ঘশ্বাস যদি বৃষ্টির মতো ঝরে পড়ে।

তেমন সম্ভাবনা আছে বলেই মানুষ বুকের মধ্যে দীর্ঘশ্বাস চেপে রাখে
তার চোখে নিয়তই জল ঝরে তবু দেখা যায় না;

মানুষের ভেতর কতো যে দীর্ঘশ্বাস, জমাট বেঁধে আছে
কতো যে ক্রন্দন, পাতা ঝরার শব্দ, মৃত্যুসংবাদ
মানুষের বুকের মধ্যে ব্যথিত ব্যাকুল ইতিহাস আর আহত সভ্যতা
মেঘের মতো ঘনীভূত হতে হতে একেকটি মর্মান্তিক দীর্ঘশ্বাস হয়ে আছে
মানুষ তাকে বয়ে বয়ে দগ্ধ বেঁচে থাকে;
একেকটি মানুষ বুকের মধ্যে কী গভীর দীর্ঘশ্বাস বয়ে বেড়ায়, কেউ জানে না
একেকটি মানুষ নিজের মধ্যে কীভাবে নিজেই মরে যায়, হায়, কেউ জানে না!



এক জন্ম
তারাপদ রায়

-------------------------------------------------
অনেকদিন দেখা হবে না
তারপর একদিন দেখা হবে।
দুজনেই দুজনকে বলবো,
‘অনেকদিন দেখা হয় নি’।
এইভাবে যাবে দিনের পর দিন
বত্সরের পর বত্সর।

তারপর একদিন হয়ত জানা যাবে
বা হয়ত জানা যাবে না,
যে
তোমার সঙ্গে আমার
অথবা
আমার সঙ্গে তোমার
আর দেখা হবে না।




ইচ্ছা
মহাদেব সাহা

-------------------------------------------------
হয়তো এই পাহাড় সমান উঁচু হতে চায় কেউ
আমি মাটিতে মেশা ঘাস হতে ভালোবাসি,
যার মাড়িয়ে যাওয়ার সে মাড়িয়ে যাক ঘাস
তবু ঘাসের বুকেই জমে শিশিরবিন্দু ;

হয়তো কেউ পার হতে চায় দীর্ঘ দূরের পথ
আমি বাড়ির উঠোনে লুটিয়ে থাকি,
উঠানের কোণে হয়ে থাকি চারাগাছ
সেইখানে ঐ দূর আকাশকে ডাকি ;

হয়তো কেউ পাখিদের মতো চায় দুইখানি ডানা
আমি ভালোবাসি শিশুদের টলমলে হাঁটা, উড়তে চাইনা,
চাই এইখানে নিরিবিলি শুয়ে থাকি
যার হওয়ার সে হোক জোয়ার,
আমি হতে চাই ভাটা ;

হয়তো কেউ হতে চায় ঐ পাহাড়ের মতো
আমি হাত-পা গুটিয়ে মাটিতেই শুয়ে থাকি,
লেগে থাক এই শরীরে শুধুও কাদামাটির ঘ্রাণ
যে কাছে আছে তাকেই আমি আরো কাছাকাছি ডাকি




অন্তরিন
তসলিমা নাসরিন

-------------------------------------------------
কখনও কোনদিন যদি অন্তরিন হতে হয় তোমাকে
যদি শেকল পরায় কেউ পায়ে, আমাকে মনে কোরো ।
যদি কোনদিন যে ঘরটিতে তুমি আছো
সে ঘরের দরজা ভেতর থেকে নয়,
বাইরে থেকে বন্ধ করে কেউ চলে যায়, মনে কোরো ।

সারা তল্লাটে কেউ নেই তোমার শব্দ শোনে,
মুখ বাধা, ঠোঁটে শক্ত সেলাই ।
কথা বলতে চাইছো কিন্তু পারছো না ।
অথবা কথা বলছো, কেউ শুনতে পাচ্ছে না,
অথবা শুনছে, শুনেও গা করছে না,
মনে করো ।

তুমি যেমন খুব চাইবে কেউ দরজাটা খুলে দিক,
তোমার শেকল সেলাই সব খুলে দিক,
আমিও তেমন চেয়েছিলাম,
মাস পেরোলেও কেউ এ পথ মাড়ায়নি,
দরজা খুলে দিলে আবার কী হয় না হয় ভেবে খোলেনি কেউ ।
মনে করো ।

তোমার যখন খুব কষ্ট হবে, মনে করো আমারও হয়েছিলো,
খুব ভয়ে ভয়ে সাবধান মেপে মেপে জীবন চললেও
আচমকা অন্তরিন হয়ে যেতে পারে যে কেউ, তুমিও ।
তখন তুমি আমি সব একাকার, দুজনে এক সুতো তফাৎ নেই,
তুমিও আমার মতো, তুমিও অপেক্ষা করো মানুষের,
অন্ধকার ঝেঁপে আসে, মানুষ আসে না ।



উল্টো ঘুড়ি
রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ

-------------------------------------------------
এতো সহজেই ভালোবেসে ফেলি কেন!
বুঝিনা আমার রক্তে কি আছে নেশা-

দেবদারু-চুলে উদাসী বাতাস মেখে
স্বপ্নের চোখে অনিদ্রা লিখি আমি,
কোন বেদনার বেনোজলে ভাসি সারাটি স্নিগ্ধ রাত?

সহজেই আমি ভালোবেসে ফেলি, সহজে ভুলিনা কিছু-
না-বলা কথায় তন্ত্রে তনুতে পুড়ি,
যেন লাল ঘুড়ি একটু বাতাস পেয়ে
উড়াই নিজেকে আকাশের পাশাপাশি।

সহজে যদিও ভালোবেসে ফেলি
সহজে থাকিনা কাছে,
পাছে বাঁধা পড়ে যাই।
বিস্মিত তুমি যতোবার টানো বন্ধন-সুতো ধ’রে,
আমি শুধু যাই দূরে।

আমি দূরে যাই-
স্বপ্নের চোখে তুমি মেখে নাও ব্যথা-চন্দন চুয়া,
সারাটি রাত্রি ভাসো উদাসীন বেদনার বেনোজলে…
এতো সহজেই ভালোবেসে ফেলো কেন?




দ্বিধার স্বপ্ন
রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ

-------------------------------------------------
রক্তে তোমার অচেনা জলের ডাক,
জেগেছে অচেনা ইচ্ছার শিহরন।
রক্তে তোমার অমীমাংসিত সাধ
তছনছ করে ফেলছে ভিতর-বাড়ি।

তোমার স্বপ্ন দিনযাপনের ভিড়ে
হঠাৎ ফেলেছে হারিয়ে নিজের ভাষা।
তোমার নিভৃত দৃষ্টির চারিপাশে
জমেছে সোনালি প্রতারক মরিচিকা।

দ্বিধাবিভক্ত করছে তোমাকে দ্বিধা,
ঠিক মোহনায় দাড়িয়েছো এসে তুমি।
দু'পাশে তোমার দুই ধরনের স্রোত,
দু'দিকে তোমার দুই জীবনের টান।

নভোচারি মন জড়-জীবনের ভাষা
এখনো বোঝেনি স্বকালের সংঘাত।
এখনো তোমার স্বায়ুর তিমির জুড়ে
বিমূর্ত সব স্বপ্নের কোলাহল।

রঙিন কাচের বেলোয়াড়ি হাতছানি
তোমাকে ডাকছে উজ্জ্বল উৎসবে।
তোমাকে কাটছে দ্বিধার তীক্ষ চাকু,
প্রানী জীবনের সামাজিক প্রতিরোধ।

কি লাভ দাঁড়িয়ে জীবনের মোহনায়
অমীমাংসিত হৃদয়ের বোঝা টেনে?
তারচেয়ে খোলো অকপটে অনুভব,
বেছে নাও প্রিয়-স্বপ্নের স্রোতখানি।।



তোমার চিবুক ছোঁবো, কালিমা ছোঁবো না
আবুল হাসান

-------------------------------------------------
এ ভ্রমণ আর কিছু নয়, কেবল তোমার কাছে যাওয়া
তোমার ওখানে যাবো,
তোমার ভিতরে এক অসম্পূর্ণ যাতনা আছেন,
তিনি যদি আমাকে বলেন, তুই শুদ্ধ হ' শুদ্ধ হবো
কালিমা রাখবো না!
এ ভ্রমণ আর কিছু নয়, কেবল তোমার কাছে যাওয়া
তোমার ওখানে যাবো; তোমার পায়ের নীচে পাহাড় আছেন
তিনি যদি আমাকে বলেন, তুই স্নান কর
পাথর সরিয়ে আমি ঝর্ণার প্রথম জলে স্নান করবো
কালিমা রাখবো না!

এ ভ্রমণ আর কিছু নয়, কেবল তোমার কাছে যাওয়া
এখন তোমার কাছে যাবো
তোমার ভিতরে এক সাবলীল শুশ্রূষা আছেন
তিনি যদি আমাকে বলেন, তুই ক্ষত মোছ, আকাশে তাকা--
আমি ক্ষত মুছে ফেলবো, আকাশে তাকাবো
আমি আঁধার রাখবো না!

এ ভ্রমণ আর কিছু নয়, কেবল তোমার কাছে যাওয়া
যে সকল মৌমাছি, নেবুফুল গাভীর দুধের সাদা
হেলেঞ্চা শাকের ক্ষেত
যে রাখাল আমি আজ কোথাও দেখি না--
তোমার চিবুকে তারা নিশ্চয়ই আছেন!
তোমার চিবুকে সেই গাভীর দুধের শাদা, সুবর্ণ রাখাল
তিনি যদি আমাকে বলেন, তুই কাছে আয়
তৃণভূমি কাছে আয় পুরনো রাখাল!
আমি কাছে যাবো, আমি তোমার চিবুক ছোঁবো, কালিমা ছোঁবো না




শ্মশান
রুদ্র মুহাম্মদ শহিদুল্লাহ

-------------------------------------------------
বাড়াই তৃষ্ণার হাত, ফিরে আসি শূন্যতাকে ছুঁয়ে-
তুমি নেই, নিষ্প্রদীপ মহড়ায় জ্বলে থাকে একা
পাথরের মতো ঠান্ডা, একজোড়া মানবিক চোখ,
তৃষ্ণার্ত শরীর জুড়ে জেগে থাকে ব্যথিত রোদন।

নরম আলোর চাঁদ মরে যায় অঘ্রানের রাতে,
বেঁচে থাকে ভালোবাসা, নক্ষত্রের আলোকিত স্মৃতি।
তোমার শূন্যতা ঘিরে দীর্ঘশ্বাস, বেদনার ঘ্রাণ,
তোমার না-থাকা জুড়ে জেগে থাকে সহস্র শ্মশান।




তোমার ছায়া
অসীম সাহা

-------------------------------------------------
দরোজা খোলাই ছিলো
তুমি আসোনি।
পথের দিকে তাকিয়ে
কারো প্রতিক্ষায় বসে থাকার মতো
দুঃসহ আর কিছুই নেই,
তুমি তা জানতে।
তবু খোলা দরোজা পেয়ে
তুমি নও --
কেন ছুটে এলো
তোমার গভীর কালো ছায়া !

৮টি মন্তব্য ৮টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

হুজুররা প্রেমিক হলে বাংলাদেশ বদলে যাবে

লিখেছেন মিশু মিলন, ০১ লা মে, ২০২৪ রাত ৯:২০



তখন প্রথম বর্ষের ছাত্র। আমরা কয়েকজন বন্ধু মিলে আমাদের আরেক বন্ধুর জন্মদিনের উপহার কিনতে গেছি মৌচাক মার্কেটের পিছনে, আনারকলি মার্কেটের সামনের ক্রাফটের দোকানগুলোতে। একটা নারীর ভাস্কর্য দেখে আমার... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইসলামের বিধান হতে হলে কোন কথা হাদিসে থাকতেই হবে এটা জরুরী না

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ০১ লা মে, ২০২৪ রাত ১০:৫৫



সূরাঃ ৫ মায়িদাহ, ৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
৩। তোমাদের জন্য হারাম করা হয়েছে মৃত, রক্ত, শূকরমাংস, আল্লাহ ব্যতীত অপরের নামে যবেহকৃত পশু, আর শ্বাসরোধে মৃত জন্তু, প্রহারে মৃত... ...বাকিটুকু পড়ুন

লবণ্যময়ী হাসি দিয়ে ভাইরাল হওয়া পিয়া জান্নাতুল কে নিয়ে কিছু কথা

লিখেছেন সম্রাট সাদ্দাম, ০২ রা মে, ২০২৪ রাত ১:৫৪

ব্যারিস্টার সুমনের পেছনে দাঁড়িয়ে কয়েকদিন আগে মুচকি হাসি দিয়ে রাতারাতি ভাইরাল হয়েছিল শোবিজ অঙ্গনে আলোচিত মুখ পিয়া জান্নাতুল। যিনি একাধারে একজন আইনজীবি, অভিনেত্রী, মডেল ও একজন মা।



মুচকি হাসি ভাইরাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

জীবন চলবেই ... কারো জন্য থেমে থাকবে না

লিখেছেন অপু তানভীর, ০২ রা মে, ২০২৪ সকাল ১০:০৪



নাইমদের বাসার ঠিক সামনেই ছিল দোকানটা । দোকানের মাথার উপরে একটা সাইনবোর্ডে লেখা থাকতও ওয়ান টু নাইন্টি নাইন সপ ! তবে মূলত সেটা ছিল একটা ডিপার্টমেন্টাল স্টোর। প্রায়ই... ...বাকিটুকু পড়ুন

দেশ এগিয়ে যাচ্ছে; ভাবতে ভালই লাগে

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০২ রা মে, ২০২৪ দুপুর ১:০৩


বিশ্বব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ১৯৭২ সালে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার ছিল নেতিবাচক। একই বছরে পাকিস্তানের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার ছিল প্রায় ১ শতাংশ। ১৯৭৩ সালে পাকিস্তানের অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রবৃদ্ধি ছিল ৭... ...বাকিটুকু পড়ুন

×