somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আমি মদন / সহজ পৃথিবী এবং থ্রি জি

০২ রা জানুয়ারি, ২০১১ রাত ১১:২১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

থ্রীজি নিয়ে কিছু কথা ও আমাদের ভবিষ্যৎ
আমি মদন / সহজ পৃথিবীর এই লেখার প্রেক্ষিতে আমার এই লেখা। তার প্রতি ব্যক্তিগত কেন আক্রোশ থেকে না। পক্ষে বিপক্ষে যুক্তি শুনতে চাচ্ছি।


ছোট বেলায় মাঠে ফুটবল খেলতাম খালি পায়ে আমরা। বলও খুব একটা ভাল ছিল না, মাঠও ছিল ছোট। কিন্তু তার পরও বুঝতাম আমাদের ভিতর বেশ কিছু প্রতিভাবান খেলোয়াড় আছে। এক নতুন ছেলে পাড়ায় আসল। বিকালে খেলতে এসে বলল আজকে খেলবে না তার নাকি পায়ে ব্যাথা। তারপর শুরু করল বলা সে খুব ভাল খেলে কিন্তু বুট ছাড়া খেলতে পারে না। আমাদের মাঠও সাইজ মত নাই। সে কেমনে তার খেলা দেখাবে। অমুক পাড়ায় খুব ভাল মাঠ আছে, সবাই বুট পইড়া খেলে। তমুক পাড়ায় ৫ বছর আগেই ভাল মাঠ বানান হইছে। শুধু বুট না, সবাই জার্সি পইড়া খেলে। শুইনা তো আমরা টাসকি। শালায় কয় কি? আমরা ছডু পলাপান তো কিছুই জানি না। এ তো মহা জানেওলায়া। সবাই তার শিষ্য হইলাম। ওস্তাদ আমাগো পাড়ার মুরুব্বীগো ইচ্চ্ছামত গালি দিল। শালারা মাঠ বানায় দেয় না। বুট কিনা দেয় না। বুট আর মাঠ পাইলে দেখায় দিতাম খেলা কারে কয়। আমরা প্রথমে একটু গাই গুই করলাম, কইলাম ওস্তাদ আমাগো গরীব পাড়া। সবাই খাইতে পারে না, চিকিতসা পায় না। ওস্তাদ কয় আরে খাওয়া, চিকিতসা কি আবার। খেলাধুলা হল আসল। যাই হোক ওস্তাদ এমনে কইতেই লাগল। ওস্তাদের নাই নাই শুইনা অনেকে খেলা বাদ দিল যে অমুক পাড়াতে ৫ বছর আগে মাঠ হইছে। পাড়ুম না তাদের সাথে। অার খেইলা কি হইব। কিন্তু কেউ কেউ খেলা চালায় গেল তারা পরে ভালও করল। আমার অাফসোস কোনদিন ওস্তাদ তার খেলা দেখাইল না। খালি মুরুব্বীগো ইচ্চ্ছামত গালি দিল।


একসময় বঙ্গ দেশে কিছু লোকজন বলল সবাই কম্পিউটার জান। এর ভিতর টাকার খনি আছে। আমরা তাদের ওস্তাদ মানলাম। এস.এস.সি তে ম্যাথে ৫০ পাওয়া পলা যে কিনা ডিগ্রী পড়তেছে সেও অ্যাপটেক / জেনেটিকে ভর্তি হইল। বিদেশী কেম্পানীরা টাকা হাতায় নিয়া গেল। বের হইল কিছু টাই পড়া টাইপিস্ট। সরকার কইল হায় হায় টাকা তো সব বিদেশীরা নিয়া গেল আমরা কি পাইলাম। ওস্তাদেরা বলল মাল মাথা থেকে মাত্র কম্পিউতে ঢুকছে। এখনে দেশের কম্পিউ থেকে মাল অন্য দেশের কম্পিউতে ঢুকায় টাকা অানতে হইলে লাগব ফাইবার অপটিক। এইটা পাইলেই সব মুশকিল আসান। এক মহিলা মুরুব্বীরে চরম গালি গালাজ করা হল। তুই এই অপটিক আগে দেস নাই কেন আমাগো। আমরা মাল আজায়গা কুজায়গায় ঢালতেছি। অপটিক থাকলে জায়গামত মাল ঢাইলা কত টাকা আনতাম , আহারে। এর ভিতর পাপ্পানা ( দয়া করে কেউ প্রাইভেট / পাবলিক ক্যাচাল কইরেন না। এঅাইইউবি এর অনেকে ভাল কোডার ছিল এবং গুগলেও আছে জানি। ) এবং নাম না জানা অারও কিছু বালক যাদের ভিতর প্রকৃইতই মাল ছিল তারা বড়লোক পাড়া অ্যামেরিকা গিযা মাল ঢেলে বুট না পড়েই খেলা দেখায় দিল। যাগো প্রকুত মাল নাই পাড়ায় সিডির দোকান দিল অার মুরুব্বীগো গাইল দিল। বুট থাকলে খেলা দেখায় দিতাম।


ওস্তাদেরা এরপর মেডিক্যাল ট্রান্সকিপশন, কল সেন্টার নিয়া আসল। আবারও ভারতীয় কোম্পানী কল সেন্টার শিখাইতে আসল। কিন্তু এইবার বানরের মত আমরা আগে পিছেনে দিয়া কলার মাপ দিয়া তারপর মুখে নিব। তাই তাগো ফায়দা হইল না।

এখন থ্রি জি। বিদেশী কোম্পানীরে দিত হইব। দেশের মাল অাটকায় গ্যাছে নইলে।





তথ্য প্রযুক্তি অবকাঠামো ভাল হোক আমি চাই। যারা অাউটাসোসিং এর কাজ বুট, মাঠ ছাড়াই করে তাদের সালাম জানাই।





শুধু মাত্র তথ্য প্রযুক্তি না দেশের সব সেক্টরই পিছায় আছে। তাই বলে খালি নাই নাই করে হাত গুটায় বসে থাকলে চলবে না। যার যা আছে তাই নিয়া যুদ্ধ করতে হবে। এই লাইনে সবচেয়ে যেইটা বেশী লাগে তা হল মাথায় ভাল মাল থাকতে হয়। মাথায় ভাল মাল না থাকলে ব্যান্ডউইথ দিয়া লাভ নাই। পাপ্পানা ভাইরা কিছুই পায় নাই। ভিতরে আগুন ছিল। সেই আগুন দিয়াই জ্বালায় পুড়াই দিছে।

আপনার সবকিছুতেই " নাই নাই " পোষ্ট ভাল লাগে না। আপনার সব লেখা পড়ে আমি শিউর আপনি টৈলকো / তথ্য প্রযুক্তি কোন লাইনেরই লোক না।

বাচ্চাদের গণিত শিখাতে হবে, ফেসবুক না। আমি নিজে মোবাইল / ইন্টারনেটের এ্যাবইউজকে খুবই ভয় পাই। সামাজিক / অর্থনৌতিক এ্যাবইউজকে। ডি জুস আমলে অবস্থা দেখে আমি শিউরে উঠছিলাম।

আমরা সবকিছুর খারাপ দিকটা আগে নেই। ভারতীয় চ্যানেল দেখে পরকীয়া শিখি কিন্তু তাদের মত ইংরেজী জেনে কল সেন্টার দিতে পারি না।

যাই হোক আপনি মনে হয় আমার পয়েন্ট অফ ভিউ বুঝতে পারেন না।

অাবারও বলি ভিতরে আগুন থাকলে থ্রি জি লাগব না। এমনেই সব পুড়ান যাইব। নইলে উল্টা থ্রি জি র আগুন পুড়াইব। :)

সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে মার্চ, ২০১১ সকাল ৮:০৪
৪৬টি মন্তব্য ১২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ব্লগে বিরোধী মতের কাউকে নীতি মালায় নিলে কি সত্যি আনন্দ পাওয়া যায়।

লিখেছেন লেখার খাতা, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:১৮

ব্লগ এমন এক স্থান, যেখানে মতের অমিলের কারণে, চকলেটের কারণে, ভিন্ন রাজনৈতিক মতাদর্শের কারণে অনেক তর্কাতর্কি বিতর্ক কাটা কাটি মারামারি মন্তব্যে প্রতিমন্তব্যে আঘাত এগুলো যেনো নিত্য নৈমিত্তিক বিষয়। ব্লগটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

সিকান্দার রাজার চেয়ে একজন পতিতাও ভালো।

লিখেছেন ...নিপুণ কথন..., ০৪ ঠা মে, ২০২৪ রাত ৮:০৭

সিকান্দার রাজা কোকের বোতল সামনে থেকে সরিয়ে রাতারাতি হিরো বনে গেছেন! কিন্তু তাকে যারা হিরো বানিয়েছেন, তারা কেউ দেখছেন না তিনি কত বড় নেমকহারামি করেছেন। তারা নিজেদেরকে ধার্মিক বলে দাবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ব্লগার'স ইন্টারভিউঃ আজকের অতিথি ব্লগার শায়মা

লিখেছেন অপু তানভীর, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ রাত ১১:০৫



সামুতে ব্লগারদের ইন্টারভিউ নেওয়াটা নতুন না । অনেক ব্লগারই সিরিজ আকারে এই ধরণের পোস্ট করেছেন । যদিও সেগুলো বেশ আগের ঘটনা । ইন্টারভিউ মূলক পোস্ট অনেক দিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

...এবং উচ্চতায় তুমি কখনই পর্বত প্রমাণ হতে পারবে না

লিখেছেন নতুন নকিব, ০৫ ই মে, ২০২৪ সকাল ৮:৫৬

...এবং উচ্চতায় তুমি কখনই পর্বত প্রমাণ হতে পারবে না

ছবি কৃতজ্ঞতাঃ অন্তর্জাল।

ছোটবেলায় মুরব্বিদের মুখে শোনা গুরুত্বপূর্ণ অনেক ছড়া কবিতার মত নিচের এই লাইন দুইটাকে আজও অনেক প্রাসঙ্গিক বলে মনে হয়।... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমেরিকার গ্র্যান্ড কেনিয়ন পৃথিবীর বুকে এক বিস্ময়

লিখেছেন কাছের-মানুষ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৪১


প্রচলিত কিংবদন্তি অনুসারে হাতে গাছের ডাল আর পরনে সাধা পোশাক পরিহিত এক মহিলার ভাটাকতে হুয়ে আতমা গ্র্যান্ড কেনিয়নের নীচে ঘুরে বেড়ায়। লোকমুখে প্রচলিত এই কেনিয়নের গভীরেই মহিলাটি তার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×