দোঁহা
নীর যার নীড় সখা, আমি সেই মীন,
আমার পথের রেখা পথেই বিলীন। বাকিটুকু পড়ুন

নীর যার নীড় সখা, আমি সেই মীন,
আমার পথের রেখা পথেই বিলীন। বাকিটুকু পড়ুন
যেতে তো চাই, কিন্তু কোথায় যাই?
জেনেশুনে যদি অজানায় হারাই,
তোমাদের পাবো কি সেখানে?
ভালবাসা পাবো না জানি,
ঘৃণাও তো পাবো না, নিশ্চয়ই!
এমন যত্ন করে
অবহেলা কে দেবে কোথায়?
কে দেবে এমন পরিপাটি তাচ্ছিল্য
অবলীলায়?
এতো এতো ঝকঝকে অবজ্ঞা
কে দেবে অকাতরে?
এমন হৃদয়ভেদী নিখুঁত নিশানা
কার আছে আর?
কোথায় মিলবে
এমন নিপাট কপটতা?
নিরেট নিষ্ঠুরতা?
এমন অমল নখরে ছিন্নভিন্ন করে
কোন পবিত্র শ্বাপদ?
আমি ছাড়া এসবের... বাকিটুকু পড়ুন
রাস্তার মোড়ে একটা মুদি দোকান আছে না, বড়?
মা জেনারেল স্টোর? সেটা আমাকে চেনে।
গলি থেকে বেরিয়ে হাতের বামে
চা-পান-সিগ্রেটঅলা চাচা আমাকে চেনে।
দুপুরে দোকানে বসে তার শালি লিলি খালা,
হাতের চা শেষ না হতেই এক টুকরা শুকনা সুপারি
এগিয়ে দিয়ে বলে, ‘মামা, নেন’।
আর একটু সামনে সন্ধ্যায় কুপি জ্বালিয়ে
কুঁজো হয়ে বসা মুচিটা আমাকে চেনে।
গলির মুখে কিছুদিন... বাকিটুকু পড়ুন
আমি এক সামান্য খরগোশ। নামগোত্রহীন।
এই পাহাড়ের ঢালে সবুজ ঝোপের ভেতর
লতা-পাতা ঢাকা এক ছোট্ট গর্তে অামার জন্ম।
পাহাড়ের খাড়া ঢাল, চূড়া, চড়াই-উৎরাই,
গর্ত, শৈলশিরা এসবের মাঝেই আমার বেড়ে ওঠা।
ক্ষীপ্রতা আমার সহজাত।
মায়ের পেটে থাকতেই ক্ষীপ্রতার দুরন্ত বীজ
উপ্ত হয়ে গিয়েছিল আমার রক্তে।
বিপদে সুরক্ষার সুবর্ণমন্ত্রও।
আমাকে জন্ম দেয়ার আগ মুহূর্তেও
দুরন্ত গতিতে লাফিয়ে বিপদ পেরোতে হয়েছে মাকে।
গতিই হলো... বাকিটুকু পড়ুন
না জানি কপালে খোদা অাছে কোন ফাঁড়া
নাদান বাঞ্ছা দিলে দেয় মাথা চাড়া-
যতই দেখাই তারে শেরেকির ভয়,
শায়ের সাজিতে খাড়া- দমিবার নয়।
নতুন রচিবে কিছু সাধ্যে ধরে কার
যেদিকে তাকাই দেখি শায়েরি তোমার!
কত যে কাতেব-কবি না পাই হদিশ-
আদতে বেবাকে তারা নকলনবিশ।
কী জানি কী মন্ত্রণা কে দিয়েছে ফুঁকে
সৃজনের যন্ত্রণা হরদম বুকে।
কবি হবো এ খোয়াব ষোলআনা... বাকিটুকু পড়ুন
রাত্রি নিঝুম- সবার চোখে ঘুমের সেফটিপিন-
জানলা দিয়ে বাইরে দেখি রাতটা যেনো দিন।
চুপটি করে বিছ্না ছেড়ে আলতো চরণ ফেলে
একলা আমি বেরিয়ে পড়ি দরজাখানা মেলে।
ঘুমিয়ে আছে চড়ুই বাবুই ফিঙে দোয়েল সব
তবু যেনো আসছে ভেসে কাদের কলরব। ... বাকিটুকু পড়ুন
এখন আমার স্টেটাস মানেই তুমি-
তোমার নানা বিভঙ্গের ছবি
নয়তো তোমাকে নিবেদিত পংক্তি।
আমার প্রচছদে তুমি, প্রোফাইলেও তুমি!
তোমার পোস্টগুলোর প্রতিটি প্রথম লাইক,
প্রথম ও বেশি শেয়ার পাগলার!
রাত নেই দিন নেই ... বাকিটুকু পড়ুন
যাবো না মথুরা গয়া অযোধ্যা কাশী
যাবো না সে কৈলাসে হবো না সন্ন্যাসী।
যাবো না মদিনা মক্কা তব সন্ধানে
যাবো না মেরাজে প্রভু সপ্ত-আসমানে।
গির্জায় মন্দিরে মসজিদ-ঘরে
লোকালয় ছেড়ে গুহা-গিরিকন্দরে ... বাকিটুকু পড়ুন
তারার আলো হঠাৎ করে থমকে গেলো নিভে
পাখির কূজন ভোরের আজান আটকে থাকে জিভে
নীল বেদনায় আকাশ গেলো নিকষ কালোয় ছেয়ে
ফেরেশতারা উঠলো করুণ মর্সিয়া গান গেয়ে।
কর্ণফুলী মৌন নিথর চলতে গেলো ভুলে
স্রোতের ধারা আত্মহারা উঠলো ফুলে ফুলে। ... বাকিটুকু পড়ুন
বাবার সাথে যাচ্ছি ঢাকা
ট্রেনটা মৃদু দুলছে
ঘুমের নেশায় ঢুলু ঢুলু
চক্ষু দুটি ঢুলছে।
এমন সময় সামনে দেখি
দাঁড়িয়ে আছে ইটি! ... বাকিটুকু পড়ুন
এসে দেখি- কেউ নেই, সবাই যে যার মতো
চলে গেছে--
যাদের আমার অপেক্ষায়... বাকিটুকু পড়ুন
কেনো যে গেলাম কে জানে?
বিনে পয়সার মাস্টারি। শখে
না ঠেকে, কোন সম্পর্কের টানে
এখনো ধরে না এ মস্তকে।
মহিলা কলেজ বিশেষত
ইংরেজিটা, ফাঁকে অর্থনীতি ... বাকিটুকু পড়ুন
বেদনার জল
মাঝে মাঝে অতীতের কয়েকটা দিন
বৃষ্টির ফোঁটার মতো জানালা বাধা ডিঙিয়ে
ভেতরে এসে পড়ে।
স্মৃতির সাথে ভাব জমিয়ে পুরোনো দিনের
বিমুগ্ধ সময়ে অনিবার্য ভ্রমণে বেরোই ... বাকিটুকু পড়ুন
কতোকিছুই তো ভুলে যাই, কিম্বা এমনিতেই
স্মৃতির চালুনির ফোঁকর গলে অলক্ষ্যেই ঝরে যায়।
কিন্তু তুমি?
কতোবার তোমাকে বিস্মৃতির তরঙ্গের নিচে
হারিয়ে ফেলতে চেয়েছি।
না, পারিনি। কিছুতেই পারিনি।
বার বার তুমি শতো উথাল-পাথাল ঢেউ মাড়িয়ে ... বাকিটুকু পড়ুন
এক যে ছিল বেতাল এবং
আর এক ছিল তাল,
থাকতে পড়ে শুঁড়িখানায়
টানতো বেজায় মাল।
নেশার ঘোরে মাতাল হয়ে
পাড়তো গালাগাল, ... বাকিটুকু পড়ুন