বিডিনিউজটোয়েন্টিফোরডটকম/রকিবুল হক/এইচআর/২৭ জুলাই/০৯ থেকে কপি করা
সবাই মনে করে উট-ই বুঝি সবচেয়ে বেশিদিন পানি পান না করে থাকতে পারে। কিন্তু অদ্ভুত তথ্য হলো, একটা ইঁদুর, উটের চেয়েও বেশিদিন পানি পান না করে বেঁচে থাকতে পারে।
কাঠবিড়ালীরা পিছু হটতে পারেনা। মানে পেছন দিকে যেতে চাইলেও পুরো উল্টা ঘুরে তারপর ওদেরকে পিছন দিকে যেতে হয়।
মুরগীর ডান পা থেকে বাম পা বেশি নরম। তাই রান্না করার সময় বাম পা সিদ্ধ হয় তাড়াতাড়ি।
পাশের দেশ ভারতে এক জরিপে করে দেখা গেছে, সেখানে মোট বানরের সংখ্যা পাঁচ কোটিরও বেশি।
এটা জানো! গরু সহজেই সিঁড়ি বেয়ে উপরে উঠতে পারে, কিন্তু নামার বেলায় কোনভাবেই নামতে পারে না।
আগুন বা আলো দেখলেই মথ কেনো ঝাঁপিয়ে পড়ে, বল তো? ওরা কিন্তু আলোর প্রতি আকৃষ্ট হয় না, আলোর পেছনের অন্ধকারই ওদেরকে টানে বেশি।
একজন মানুষ কোন খাবার না খেয়ে বাঁচতে পারে এক মাস, কিন্তু পানি পান না করলে এক সপ্তাহের বেশি বাঁচতে পারে না।
চা আবিষ্কার হয় চীনে, আজ থেকে প্রায় ৩ হাজার বছর আগে। ফুটন্ত পানিতে ভুলে কিছু চা পাতা পড়ে গিয়ে এই পানীয় তৈরি হয়ে যায়। নিউ ইয়র্কে ১৯০৯ সালে টমাস স্যুলিভান প্রথম টি-ব্যাগের প্রচলন করেন।
চা আবিষ্কার হয় আজ থেকে প্রায় ৩ হাজার বছর আগে চীনে। ফুটন্ত পানিতে ভুলে কিছু চা পাতা পড়ে গিয়ে এই পানীয় তৈরি হয়ে যায়।
মশা কামড় দেয় না, হুল ফোঁটায়, এটা তো সবাই জানো। তাই বলে মশার যে দাঁত নেই, তা কিন্তু নয়। মশার সর্বমোট ৪৭টি দাঁত আছে।
মানুষের মতো একেক দেশের গরুও কিন্তু একেক ভাষায় ডাকে!
যখন তুমি হাঁচি দাও, তখন তোমার মস্তিষ্কের কিছু কোষ মারা যায়। কিন্তু, হাঁচি আসলে কী করবো?
উড়ার সময় বাদুড় সবসময় বামদিকে মোড় নেয়, কখনো ডানদিকে যায় না।
ডলফিনরা ঘূমানোর সময় এক চোখ খোলা রেখে ঘুমায়।
তোমার শরীরে হাড্ডির সংখ্যা ২০৬ টি। তবে জন্মের সময় তোমার হাড্ডির সংখ্যা ছিল ৩০০টি। কেউ যদি জন্মাবার সময় গুনতে পারে, তাহলে চেষ্টা করে দেখ।
মাথা কাটা পড়লেও তেলাপোকা বেঁচে থাকে কয়েক সপ্তাহ! ঐ কয়দিন কিভাবে সে খানাপিনা করে কে জানে?
ওক গাছ প্রায় ২০০ বছর বেঁচে থাকতে পারে। আর ৫০ বছর বয়স না হলে এই গাছে কোন ফল ধরে না।
অনেকেই জানে না লিপস্টিকে মাছের আঁশ থাকে।
আমেরিকার ‘দি নিউ ইয়র্ক টাইমস’ সংবাদপত্রের রবিবারের সংখ্যাটি ছাপতে যে পরিমাণ কাগজ প্রয়োজন তার জন্য ৬৩ হাজার গাছ কাটতে হয়।
সূর্য থেকে পৃথিবীতে আলো পৌঁছাতে সময় লাগে মাত্র ৪৯২ সেকেন্ড।
মানুষের মাথার চুল মৃত্যু অবধি বাড়তে থাকে। এভাবে মানুষের চুল প্রায় ৫৯০ মাইল লম্বা হতে পারে।
শামুক একটানা তিন বছর ঘুমিয়ে কাটিয়ে দিতে পারে।
সিংহের গর্জন পাঁচ মাইল দূর থেকেও স্পষ্ট শোনা যায়।
কুমিরের দাঁত পড়ে গেলেও কোন সমস্যা নেই। একটা দাঁত পড়ে গেলেই কয়েকদিনের মধ্যেই সেখানে নতুন আরেকটা দাঁত গজায়। এমনকি বুড়ো বয়সেও।
প্রত্যেক মানুষের হাতের ছাপের মতো জিহ্বার ছাপও পুরোপুরি আলাদা। কারোটার সাথে কারোটার কোন মিল নেই।
বিগত চার হাজার বছর মানুষ নতুন কোন প্রাণীকে পোষ মানাতে পারেনি।
বিশ্বাস করো আর নাই করো, পৃথিবীতে মানুষের বেশি ব্যবহৃত নাম মোহাম্মদ।
তোমার বয়স যখন ৭০ বছর হবে ততোদিনে তোমার ১২ হাজার গ্যালন পানি পান করা হয়ে যাবে।
মানুষ তার সারাজীবনে যে খাদ্য খায় তার পরিমাণ কতো জানো? ৬০ হাজার পাউন্ড। তার মানে ৬টি জলজ্যান্ত হাতির সমান!
পৃথিবীর প্রত্যেক মানুষের যদি প্রতিদিন গোসলের অভ্যাস থাকতো, তাহলে পৃথিবীর পরিষ্কার ও বিশুদ্ধ পানির বেশিরভাগই একদিনেই নোংরা হয়ে যেতো। বাঁচা গেছে!
প্রতিবছর তুমি কতবার চোখের পলক ফেলো তার হিসেব রাখো! এক কোটি বার!
এন্টার্কটিকা হচ্ছে সবচেয়ে ঠাণ্ডা মহাদেশ। যেখানে তাপমাত্রা শূন্যের নিচে থাকে সবসময়। এখানে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা মাইনাস ১২৬.৯ ডিগ্রি ফারেনহাইট রেকর্ড করা হয়েছে।
ভূপৃষ্ঠ থেকে যতই উপরে উঠবে ততই ঠাণ্ডা। মাত্র ১০ মাইলের উপরে তাপমাত্রা কত জানো। মাইনাস ১৬০ ডিগ্রি ফারেনহাইট।
শিশুরা কথা বলতে শিখলেই নানান প্রশ্ন করে। একটি ৪ বছরের শিশু প্রতিদিন গড়ে ৪৩৭টি প্রশ্ন করে।
তোমার পেন্সিলের লেড (গ্রাফাইট) আর হীরক একই পদার্থ থেকে তৈরি। উভয়ই বিশুদ্ধ কার্বনের রূপ। পৃথক পৃথক চাপ আর তাপমাত্রার কারণে একটি সস্তা গ্রাফাইটে আরেকটি বহুমূল্যবান হীরকে রূপান্তরিত হয়।
টুথ ব্রাশ আবিষ্কার হয় ১৪৯৮ সালে। তার আগের মানুষ দাঁত ব্রাশ করতো কীভাবে!
কোমল পানীয় কোকাকোলায় এক ধরনের রঙ মেশানো হয়। রঙ না মেশালে কোকাকোলার রঙ সবুজ হতো।
চোখ খুলে হাঁচি দেখা সম্ভব নয়। আয়নায় চেষ্টা করে দেখতে পারো।
আমরা একটু বেশি খেলেই মুটিয়ে যাই। কিন্তু পাফিন (এক জাতের হাঁস) সারাদিন ধরে তার নিজ দেহের ওজনের সমান খাবার খায়। তারপরও সে মোটা হয় না। এটা কি ঠিক হলো?
আজ যদি তোমার জন্মদিন হয় তাহলে জেনে রেখো তুমি পৃথিবীর প্রায় ৯০ লক্ষ মানুষের সঙ্গে তোমার জন্মদিন পালন করছো। কারণ আজ ওদেরও জন্মদিন।
আমেরিকার ইলিনোয়স রাজ্যে আছে এক অদ্ভূত আইন। সেটা হচ্ছে, কোন মৌমাছি এই শহরের উপর দিয়ে উড়ে যেতে পারবে না।
জিরাফের গলা লম্বা- কে না জানে। কিন্তু জিরাফের কাশি হলেও সে কখনো কাশতে পারে না। হায় রে!
তোমরা হয়তো মনে করো যে, শামুকের কোন দাঁত নেই। অথচ শামুকের ২৫ হাজার দাঁত আছে। কল্পনা করো শামুক যদি কখনো তোমাকে কামড় দেয় তাহলে কি হবে।
একটি তেলাপোকা তার মাথা ছাড়া ৯ দিন দিব্যি বেঁচে থাকতে পারে।
তোমার যদি একটি তারা গুণতে এক সেকেন্ড সময় লাগে, তাহলে একটি গ্যালাক্সির সব গুণে শেষ করতে ৩ হাজার বছর লাগবে। দোয়া করি দীর্ঘজীবী হও।
একটি রক্তকণিকা আমাদের পুরো দেহ ঘুরে আসতে সময় নেয় মাত্র ২২ সেকেন্ড।
তুমি ৮ বছর ৭ মাস ৬ দিন একটানা চিৎকার করলে যে শক্তি খরচ হয়। তা দিয়ে এক কাপ কফি অনায়াসে বানানো যাবে। কি, চেষ্টা করে দেখব
তুমি খালি চোখে কতো দূরত্ব দেখতে পাও জানো? দুই দশমিক মিলিয়ন আলোকবর্ষ। মানে ১৪ এরপর ১৯টি শূন্য বসালে যে সংখ্যাটি হয় সেই দূরত্ব।
তুমি প্রতিদিন কথা বলতে গড়ে ৪৮০০টি শব্দ ব্যবহার করো। বিশ্বাস না হলে এখনই গুনতে শুরু করতে পারো।
কাঁচ আসলে বালি থেকে তৈরি হয়।
প্রাচীনকালে গ্রীক ও রোমানরা শুকনো তরমুজকে মাথার হেলমেট হিসেবে ব্যবহার করতো।
মানুষ তার জীবনের তিন ভাগের একভাগ সময় শুধু ঘুমিয়ে কাটিয়ে দেয়। অর্থাৎ একটি মানুষের বয়স যদি ৬০ বছর হয়, তাহলে সে ২০ বছর স্রেফ ঘুমিয়ে থাকে।
পৃথিবীর প্রাণীদের মধ্যে ৮০ ভাগই হচ্ছে পোকামাকড়।
টমেটো আসলে এক প্রকার সবজি। কোনো ফল নয়।
বজ্রপাতের সময় আলোর যে বিচ্ছুরণ ঘটে তার তেজ থাকে ৯ লাখ ডিগ্রি ফারেনহাইট। যা সূর্যের উপরিভাগের তাপমাত্রার তিনগুণেরও বেশি।
জিরাফের লম্বা গলায় মাত্র ৭টি হাড় আছে।
একটি মাছির গড় আয়ু মাত্র ১৭ দিন। দুঃখই বলতে হবে মাছিরা জন্মদিন পালন করতে পারে না।
পৃথিবীর সব সাপই ছন্নছাড়া। কিন্তু কিং কোবরা পৃথিবীর একমাত্র সাপ যে বাসা বাঁধে।
চায়নায় কোন জাতীয় ফুল ও পাখি নেই।
তুমি তো জানোই হাঙর মানুষকে হাতের কাছে পেলে মেরে ফেলে। কিন্তু অবাক ব্যাপার হচ্ছে প্রতিবছর হাঙরের হাতে যে পরিমাণ মানুষ মরে তার চেয়ে মানুষের হাতেই হাঙর মরে বেশি।
সিংহের গর্জন ৫ মাইল দূর থেকেও দিব্যি শোনা যায়।
বিড়ালের দেহের স্বাভাবিক তাপমাত্রা ১০০.৪° ফারেনহাইট থেকে ১০২.৫° ফারেনহাইট। থার্মোমিটার দিয়ে মেপে দেখতে পারো।
বাচ্চা বিড়াল চোখ বন্ধ অবস্থায় জন্মায়। ৭ থেকে ১৪ দিন এভাবে চোখ বন্ধ অবস্থাতেই থাকে।
তুমি কি জানো, একটি হাতি প্রতিদিন গড়ে ১৩৬ কেজি খাবার খেয়ে থাকে। কী রকম খাদক রে!
শিম্পাঞ্জি অন্যান্য প্রাণীদের চেয়ে (মানুষ ছাড়া) বেশি যন্ত্রপাতি ব্যবহার করতে পারে।
নীল তিমি সবচেয়ে বড় প্রাণী। এর ওজন গড়পড়তা ১২৫ টন হয়ে থাকে। যা প্রায় ১৮০০ জন মানুষের ওজনের যোগফল।
একটি বাদুড় কমসে কম ৩০ বছর বেঁচে থাকে।
বিড়াল ১০০ রকম শব্দ করতে পারে। আর কুকুর পারে মাত্র ১০ রকম।
স্টারফিসের কয়টি চোখ জানো কি? ৮টি। স্টারফিসের প্রতি বাহুতে একটি করে চোখ থাকে।
পৃথিবীর প্রধান নভোচারী কে ছিল জানো তো। একটি কুকুর। যার নাম ছিলো লাইকা।
চায়নায় লাল রঙকে সৌভাগ্যের রঙ হিসেবে দেখা হয়।
প্রাচীনকালে শুধু চায়নায়ই রেশম চাষ হতো। তা হতো কড়া পাহারায়। কেউ এই গোপনীয়তা ফাঁস করার চেষ্টা করলে তার শাস্তি হতো মৃত্যুদণ্ড।
আইসক্রিম সর্বপ্রথম কোথায় তৈরি হয়েছিল জানো? চায়নায়। তাও খ্রিস্টের জন্মেরও দুইহাজার বছর আগে।
তুমি চোখ খুলে কখনোই হাঁচি দিতে পারবে না। বিশ্বাস না হলে এক্ষুণি চেষ্টা করে দেখা।
তোমার মতোই শিম্পাঞ্জিরাও হ্যান্ডশেক করে ভাব বিনিময় করে!
অক্টোপাসকে কি হৃদয়বান বলা যায়? ওর দেহে যে তিনটি হৃৎপিণ্ড আছে!
১০০ বছর আগেও বোর্নিওতে মানুষের মাথার খুলি মুদ্রা হিসেবে ব্যবহার করা হতো।
একটি পোকাখেকো ফ্যালকন পাখি তোমার চেয়েও চোখে বেশি দেখে। সে আধামাইল দূর থেকেই একটা ফড়িংকে ঠিক ঠিক শনাক্ত করতে পারে।
অতীতে রোমান সৈন্যরা বিশেষ এক ধরনের পোশাক পরত। এই পোশাকটাই এখন মেয়েদের কাছে ব্যাপকভাবে জনপ্রিয়। পোশাকটার নাম স্কার্ট।
ডলফিন একচোখ খোলা রেখে ঘুমায়। তুমিও একটু চেষ্টা করে দেখো, সম্ভব কি না।
তুমি কি জানো, এক পাউন্ড বিশুদ্ধ তুলা থেকে ৩৩ হাজার মাইল লম্বা সুতা তৈরি সম্ভব!
আমাদের ত্বকের প্রতি বর্গইঞ্চিতে প্রায় ৬২৫টি ঘামগ্রন্থি আছে। ওগুলো এতো সূক্ষ্ম যে তুমি গুনে দেখতে চাইলেও পারবে না।
পৃথিবীর সব সাগরে যে পরিমাণ লবণ আছে তা দিয়ে পৃথিবীকে ৫০০ ফুট পুরু লবণের স্তুপ দিয়ে ঢেকে ফেলা যাবে।
গ্যালিলিও দূরবীন আবিষ্কার করার আগে মানুষ খালি চোখে আকাশে মাত্র পাঁচটি গ্রহ দেখতে পেতো!
জলের হাতি বা জলহস্তি পানির নিচে ৩০ মিনিট দম বন্ধ করে থাকতে পারে।
ফড়িংয়ের কান মলে দিতে চাইলে কিন্তু একটু সমস্যা হবে। কারণ ফড়িংয়ের কান হাঁটুতে।
কাঠঠোকরা এতো যে কাঠ ঠোকড়ায় তাতে ওর মাথা ব্যথা হয় না? না, হয় না। কারণ কাঠঠোকরার খুলির চারপাশে অনেকগুলো বায়ু প্রকোষ্ঠ আছে, যা নরম কুশনের কাজ করে।
ভালুক অলস হলে কি হবে, সে প্রতি ঘণ্টায় ৪৮ কিলোমিটার (৩০ মাইল) গতিতে দৌড়াতে পারে।
তুমি তো গাছ থেকে সহজেই খাবার পাও। কিন্তু জানো কি এক পাউন্ড খাবার তৈরি করতে গাছের প্রায় ১০০ পাউন্ড বৃষ্টির পানি খরচ করতে হয়।
পৃথিবীর ওজন কতো জানো? ৬৬-এর ডানপাশে ২০টি শূন্য বসালে যে সংখ্যাটি হয় সেটাই পৃথিবীর ওজন। এবার নিজেই হিসেব করে দেখো।
গিরগিটির জিহ্বার আকার তার শরীরের চেয়েও বড়। যতো বড়ো মোবাইল নয় তত বড় সীম, আর কি!
একজন মানুষ প্রতিদিন যে পরিমাণ বাতাস শ্বাস হিসাবে গ্রহণ করে তা দিয়ে একটি নয় ১০০০টি বেলুন ফোলানো সম্ভব।
২০০৪ সাল পর্যন্ত মোট ২২৪৯ জন অভিযাত্রী এভারেস্ট জয় করার উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন। এদের মধ্যে নিহত হয়েছেন প্রায় ১৮৬ জন।
প্রথম এভারেস্ট জয়ী ‘শেরপা’ শুধু শেরপা তেনজিং নোরগের একার নামের মধ্যে আছে এমন নয়। বরং শেরপা হলো একটা পুরো গোত্রের নাম।
একটা কথা কি জানো হিমালয় পর্বতের যে উচ্চতা রয়েছে তা কিন্তু বাড়ছে প্রতিনিয়ত। প্রতিবছর প্রায় ৪ মিলিমিটার করে বাড়ছে হিমালয়ের উচ্চতা!
সমুদ্র সমতল থেকে হিসেব করলে পৃথিবীর দ্বিতীয় সবোর্চ্চ শৃঙ্গ পাকিস্তান ও চীন সীমান্তের কে-টু পাহাড়। এর উচ্চতা ২৮ হাজার ২৫১ ফুট (৮ হাজার ৬১১ মিটার)।
আপেল খেতে যতই স্বাদ লাগুক, জেনে নিও আপেলের ৮৪ ভাগই পানি।
সবচেয়ে লম্বা ঘাসের নাম জানো? বাঁশ। এই ঘাস লম্বায় ১৩০ ফুটও হতে পারে।
প্রতি মিনিটে তোমার শরীর থেকে প্রায় ৩০০টি মৃত দেহ কোষ ঝরে পড়ছে।
সাপ হচ্ছে একমাত্র সত্যিকারের মাংসাশী প্রাণী। কারণ অন্য প্রাণীরা কিছু না কিছু উদ্ভিদ জাতীয় খাবার খেলেও সাপ কখনোই তা করে না।
প্রতি চার মিনিটে মায়েরা একবার তার সন্তানের কথা ভাবেন। এই হিসেবে প্রতিদিন গড়ে ২১০ বার সন্তানের কথা চিন্তা করেন একজন মা।
প্রতিবছর সারা পৃথিবীতে মা দিবসে প্রায় ১৫ কোটি ২০ লাখ কার্ড বিলি হয় মায়েদের কাছে।
সবচেয়ে ছোট ডাকটিকেটটি ছিলো ৯.৫ x ৮ মিমি। ১৮৬৩ সালে এই টিকেটটি প্রকাশ করেছিলো বলিভারের কলাম্বিয়ান স্টেট।
এ পর্যন্ত সবচেয়ে বড় ডাকটিকেট প্রকাশ করেছে চীন। বিংশ শতাব্দির প্রথম দিকে তারা ২১০ x ৬৫ মিমি মাপের ডাকটিকেটটি প্রকাশ করে।
ডাকটিকেটের পেছনে প্রথম আঁঠা লাগানোর পদ্ধতি চালু করে সিয়েরা লিয়ন নামের আফ্রিকা মহাদেশের দেশটি। সালটা ছিলো ১৯৬৪।
ডাকটিকেট কখনো কলার মতো হয়! শুনে তুমি অবাক হবে, কিন্তু উত্তরটা হচ্ছে, হ্যাঁ হয়। প্যাসিফিক আইল্যান্ড অব টঙ্গা কলার মতো দেখতে একটি ডাকটিকেট প্রকাশ করেছিলো একবার।
মানুষের নখ প্রতিদিন ০.০১৭১৫ ইঞ্চি করে বাড়ে।
মানুষের শরীরের রক্ত শরীরের ভেতর প্রতিদিন ১৬ লাখ ৮০ হাজার মাইল সমান পথ অতিক্রম করে।
মানুষ প্রতিদিন ৪৩৮ ঘনফুট বাতাস শ্বাস প্রশ্বাসের কাজে ব্যবহার করে।
মানুষের কান প্রতি বছর এক ইঞ্চির প্রায় ০.০০৮৭ অংশ করে বাড়ে। ভাগ্যিশ! বেশি বাড়লে শেষে একেবারে গাধার কানের মতো লম্বা হয়ে যেতো
দাড়িপাল্লায় যদি ওজন করা সম্ভব হতো তাহলে পৃথিবীর ওজন ৮১টি চাঁদের ওজনের সমান হতো।
নীল তিমিই প্রাণীদের মধ্যে সবচেয়ে জোরে শব্দ করতে পারে। পরস্পর ভাববিনিময়ের সময় ওরা যে শিস দেয়, সেটা ৫৩০ মাইল দূর থেকেও শোনা যায়।
অংকে এক মিলিয়ন লিখতে ৭টি সংখ্যা লাগে। তেমনি ইংরেজিতে মিলিয়ন শব্দটি লিখতে ৭টি অক্ষর লাগে।
পিঁপড়েও চিরুনি ব্যবহার করে। শুধু কি তাই ওরা নিজের কাছে চিরুনি রাখেও সবসময় সামনের দুপায়ের ভাঁজের কাছে। যা দিয়ে প্রয়োজন মতো নিজেকে একটু পরিপাটি করে নেয়।
তুমি যদি ড্রাগনফ্লাই বা গঙ্গা ফড়িংয়ের সঙ্গে দৌড়ে পাল্লা দাও, তাহলে হেরে যাবে নিশ্চিত। কারণ ড্রাগনফ্লাই ঘন্টায় ৩০ মাইল পথ উড়ে যেতে পারে।
নাকের বদলে পা দিয়ে নিঃশ্বাস নিলে কেমন হবে বলো তো? স্যান্ড বারলার ক্র্যাব (এক প্রকার কাঁকড়া) তার পা দিয়েই বিশেষভাবে নিঃশ্বাস নেয়। কারণ ওর নাক নেই।
বোলা স্পাইডার নামের এক ধরনের মাকড়শা বড়শি দিয়ে মাছ ধরার মতো করে পোকামাকড় ধরে খায়।
কোয়েলা ঘুম কাতুরে। ওরা দিনের ২৪ ঘন্টার মধ্যে ১৮ ঘন্টাই ঘুমিয়ে কাটায়।
পৃথিবীতে একমাত্র মানুষই হাসতে পারে। এই তুমি কি হাসতে পারো? না পারলে মানুষের খাতা থেকে তোমার নাম কাটা।
কেঁচোর কোন চোখ না থাকায় সে অন্য প্রাণীদের মতো দেখতে পায় না। তবে সমস্যা নেই, ত্বকের বিশেষ ধরনের কোষের সাহায্য চারিপাশের অবস্থা সে ঠিকই বুঝতে পারে।
তোমার পুরো শরীরের মাংসপেশী আছে মোট ৬৫০টি। গুনে দেখবে একটু?
আয়তনের দিক দিয়ে পৃথিবী ৫০টি চাঁদের সমান। অর্থাৎ পৃথিবীর সমান আয়তনে কোনো পাত্রে ৫০টি চাঁদ রাখা যাবে।
তোমরাই বলো, জাল ছাড়া আবার মাকড়সা হয় নাকি! কিন্তু বোলা স্পাইডার নামে এক ধরনের মাকড়সা আছে যারা কোন জালই বোনে না।
ঘোড়ার নাকের ফুটো দুটো শুধু আকারেই বড় নয়, কাজেও ঠিক তেমনি। ঘোড়ার রয়েছে অসাধারণ ঘ্রাণশক্তি।
কেঁচোকে সারাজীবনে কখনোই চশমা পরতে হয় না। কেন জানো? কারণ ওর শরীরে কোন চোখই নেই।
মানুষের শরীর থেকে প্রতিদিন গড়ে এক চা কাপের সমান ঘাম ঝরে।
মাত্র ৫ লিটার মধু খেয়ে এক একটি মৌমাছির ঝাঁক ৪০ হাজার মাইল পথ পাড়ি দিতে পারে।
একটি কলার শতকরা পঁচাত্তর ভাগই পানি। তুমি যদি ছোট্ট এক গ্লাস পানির বদলে এক গ্লাস কলা খাবো বলো, তাহলে কিন্তু খুব একটা ভুল হবে না!
জানোই তো একজন মানুষের আঙুলের ছাপ আরেকজন মানুষের চেয়ে ভিন্নতর। তেমনি ঠোঁটের ছাপ ও একজনের চেয়ে আরেকজনেরটা থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন।
একটি কলার শতকরা পঁচাত্তর ভাগই পানি। তুমি যদি ছোট্ট এক গ্লাস পানির বদলে এক গ্লাস কলা খাবো বলো, তাহলে কিন্তু খুব একটা ভুল হবে না!
মাশরুমে প্রোটিনের পরিমান আলুর চেয়ে দ্বিগুন, টমেটোর চারগুন এবং কমলা লেবুর ছয় গুন বেশি। তাই বলে মাশরুম কাঁচা খেয়ে ফেলাটা কিন্তু বুদ্ধিমানের কাজ হবে না।
মুরগি পাখি বলে ধরা হয়। তো এ পর্যন্ত একটি মুরগি শূন্যে ডানা ঝাপ্টে সবচেয়ে বেশি পথ পাড়ি দেওয়ার রেকর্ড হচ্ছে ৩০২ ফুট। হায়রে মুরগি!
তুমি কি মাকড়সা ভয় পাও? ভয় পাওয়ার কিছু নেই, ওরা খুব নিরীহ। কিন্তু আমেরিকার ব্ল্যাক উইডো মাকড়সাকে ভয় পেতেই হবে। ওরা এতো বিষাক্ত যে এক কামড়ে মানুষকে মেরে ফেলতে পারে।
খ্রিস্টপূর্ব ৫ শতকে ভারতের পাণিনি সংস্কৃত ভাষার ব্যকরণ রচনা করেন। এই ব্যকরণে ৩৯৫৯টি নিয়ম লিপিবদ্ধ করেন তিনি।
বাংলাভাষায় বিশ্বের বিশ কোটিরও মানুষ কথা বলে। এসব মানুষের বেশির ভাগই বাংলাদেশ ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গে বসবাস করে।
বাংলাভাষায় লেখা প্রথম ব্যাকরণ রচিত হয় ১৭৩৪ থেকে ১৭৪২ সালের মধ্যে। এর লেখক ছিলেন মানোএল দা আসসুম্পসাঁউ নামের এক পুর্তগিজ পাদ্রি।
হ্যারি পটার সিরিজের বই এ পর্যন্ত ৬৫টিরও বেশি ভাষায় অনূদিত হয়েছে। তবে ব্রিটিশ ইংরেজিতে লেখা বইটি প্রথমে আমেরিকান ইংরেজিতে অনূবাদ করা হয়েছিল।
এ পর্যন্ত হ্যারি পটার সিরিজের বই বিশ্বে বিভিন্ন দেশে ৪০০ মিলিয়ন কপিরও বেশি বিক্রয় হয়েছে।
হ্যারি পটার সিরিজের কল্যানে লেখিকা জে কে রাউলিং বিশ্বে ১৩৬তম এবং ব্রিটেনে ১৩তম ধনী।
বাংলা ভাষায় ছাপা প্রথম সম্পুর্ন গদ্যগ্রন্থ ছাপা হয় ১৭৮৫ সালে। বইটি ছিল জোনাথান ডানকানের লেখা ‘ইম্পে কোড’ নামের একটি আইনের বইয়ের বাংলা অনুবাদ।
ইংরেজিতে ছাপা প্রথম বইয়ের নাম ছিল ‘দি রেকুইয়েল অব দি হিস্টোরিয়েস অব ট্রয়’ (The Recuyell of the Historyes of Troye)। এই বইটি ছাপা হয় ১৪৭৫ সালে আর লেখক ছিলেন উইলিয়াম ক্যাক্সটন।
জার্মানির গুটেনবার্গ ১৪৪০ সালে মুভেবল টাইপ উদ্ভাবন করেন। এই ছাপাখানায় তিনি ল্যাটিন ভাষায় ১৪৫৫ সালে বাইবেল ছাপেন। এটিই বিশ্বের প্রথম মুদ্রিত বই।
পৃথিবীতে যত লিপস্টিক আছে, তার বেশিররভাগই তৈরি হয় মাছের আঁশ দিয়ে। (তাইতো বলি এত মাছ খাই, তার আঁশগুলো যায় কোথায়!)
একটার ওপর একটা বিশাল বিশাল ব্লক বসিয়ে তৈরা করা হয়েছে মিশরের পিরামিডগুলো। তাতে একটা দুটো নয়, যেমন ধর গিজার পিরামিড বানাতে লেগেছে আড়াই মিলিয়ন ব্লক। আচ্ছা, তা না হয় বানালো কিন' বসে বসে ওগুলো গুনলো কে?
বিজ্ঞানি টমাস আলভা এডিসন অনেক আগে একটি হেলিকপ্টার বানানোর বুদ্ধি করেছিলেন যেটা চলবে বন্দুকের বারূদ দিয়ে। কিন' তার এই বুদ্ধিটা খুব একটা বুদ্ধিমানের মত ছিল না, কারণ এটা বানাতে যেয়ে সে তার পুরো ল্যবরেটরি উড়িয়ে দিয়েছিলেন।
ভয় পেলে বা কোন কারণে উত্তেজিত হলে একটা টার্কি প্রতি ঘন্টায় ২০ মাইল জোড়ে দৌড়াতে পারে আর দৌড়াতে দৌড়াতে যখন লাফ দেয়, তখন বাতাসে সে প্রতি ঘন্টায় ৫০ থেকে ৫৫ মাইল বেগে উড়ে যেতে পারে।
বেঞ্জামিন ফ্রাংকলিন চেয়েছিলেন আমেরিকার জাতীয় পাখি হোক টার্কি (এক ধরনের বড় মোরগ)। কিন্তু ওনার স্বপ্ন পূরণ হয়নি।
হাতের বুড়ো আঙ্গুলের নখ বড় হয় খুব আস্তে আস্তে, আর সবচেয়ে তাড়াতাড়ি বড় হয় মধ্যমার নখ।
হাসাহাসি করা কিন্তু সোজা না। সে তুমি মুচকি হাসো আর হো হো করে হাসো, প্রতিবার হাসার সময় মুখের কমপক্ষে ৫ জোড়া মাংশপেশী তোমাকে ব্যবহার করতে হয়। আর বেশী হাসি পেলে তো মোট ৫৩টা পেশী লাগবে।
কোন কথা না বলেই মানুষ তার তার মুখ দিয়ে হাজার রকম ভাব প্রকাশ করতে পারে। রাগ, অভিমান, মেজাজ এইসব আরকি। কিন্তু এগুলোর ভেতরে আমরা সবচেয়ে বেশী কি করি জানো? হাসি! হি হি হি!
স্টার ফিশগুলো কিন্তু মস্ত বোকা। ওদের কোন মগজই নেই।
গোল্ড ফিস ছোট্ট হলে কি হবে, ওদের কেউ কেউ ৪০বছর পর্যন্তও বাঁচতে পারে।
আট পা’অলা অক্টোপাসের হৃৎপিন্ড থাকে তিনটা। ওফ্ এই অক্টোপাসগুলোর সবকিছুই বেশী বেশী।
খোলহীন শামুক দেখেছ না? ওদের একটাও খোল না থাকলে কি হবে, ওদের নাক কিন্তু চারটা!
হি হি হি... জানো নাকি কচ্ছপরা ওদের পেছন দিক দিয়েও নিঃশ্বাস নিতে পারে।
স্টোন ফিশ নামের একটি মাছ পাওয়া যায় অস্ট্রেলিয়ার তীর ঘেঁষে। এই স্টোন ফিশের শরীর পাথরের মত শক্ত কিনা জানি না, পৃথিবীর সবচেয়ে বিষাক্ত মাছ কিন্তু এটাই।
দুনিয়া জুড়ে হিসাব করলে প্রতি বছর প্লেন ক্রাশে যত মানুষ মারা যায়, তার চেয়ে বেশি মানুষ মারা যায় গাঁধার পিঠ থেকে পড়ে। এ জন্যই বোধহয় মানুষ গাধার পিঠে না, প্লেনে করেই বিদেশ বেশি যায়।
বসে বসে টিভি দেখার চেয়ে শুয়ে শুয়ে ঘুমালে শরীরের অনেক বেশি ক্যালরি পোড়ে। অবশ্য যদি লাফাতে লাফাতে টিভি দেখ তাহলে অন্য হিসাব।
ওয়াল্ট ডিজনিকে চেনো তো? তিনি মিকি মাউসের স্রষ্টা। কিন্তু এটা কি জানো যে তিনি নিজেই ইঁদুর মারাত্মক ভয় পেতেন।
ব্যাংক অফ আমেরিকার আসল নাম ছিল ব্যাংক অফ ইতালি।
অজ্ঞান হয়ে উল্টে পড়ার সময় পিপঁড়ারা সবসময় তাদের ডান দিকে পড়ে। কাজেই কোন পিপঁড়াকে যদি বাম দিকে উল্টে থাকতে দেখ, বুঝে নিবে সে নিশ্চয়ই স্কুল ফাঁকি দেবার জন্য অজ্ঞান হবার অভিনয় করছে।
মাত্র দশ বছর আগেও চীনের ৫০০ জন মানুষ বরফে স্কি করতে জানতো, কিন্তু এ বছর প্রায় ৫ লক্ষ চীনা স্কিইং করতে বিভিন্ন স্কি রিসোর্টে ঘুরতে গেছে!
ডানহাতি মানুষেরা সাধারণত বাঁহাতি মানুষের চেয়ে অল্প কিছুদিন বেশী বাঁচে। অবশ্য যারা দুই হাতেই সমান তালে কাজ করতে জানে তাদের ব্যাপারে নিশ্চিত করে বলতে পারছি না।
একজন মানুষ তার জীবনের অন্তত দুই সপ্তাহ কাটায় ট্রাফিক সিগনালের লাল বাতিতে। আর জ্যাম লাগলে তো কথাই নেই।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




