১)
আমার মাথার ভিতর ক্রমশ বড় হচ্ছে একটা ভ্রুণ, বোলো না
যে আমি তোমাকে সতর্ক করি নাই, আমিও ছিলাম বীতস্পৃহ
বলেছিলাম রমণে মথিত করোনা মগজ, বলছিনা আমাদের
করোটি-সংসর্গের ইতিবৃত্ত, বলছি শুধু মুছে যাওয়া কৌমার্য,
দূষিত মানস-বোধর ধসে পড়া, যখন করোটির দেয়াল বেয়ে
হরণের চিহ্ন এঁকে এঁকে ঝরেছে বিমিশ্র চেতনার লঘু অপস্বেদ,
আমার জঠর অবদী অসুখ, আমি বিনিদ্র নই, কিংবা জাগরুক
মেঘবন্দী করোটির আকাশ, মগজের গর্ভে ফুটেছে প্রেতফুল, তার
বিভা তেতো বিবমিষা জাগায়, ফুলের আলোয় ঝলসানো রঙান্ধ
চোখ, ছিঁড়ে আসে শরীরের দেয়াল, অনুভুতিহীন ঝরে লালাস্রাব
আমাদের প্রয়োজন ছিল মুখ নিঃসৃত স্পার্ম প্রতিরোধী কনডোম
২)
যতটা পারি ঠিক ততটাই, কত টুকুই বা আমি পারি?
বিপন্ন নগর জুড়ে মায়াহীনতার ব্লুজ, তবুও আমি হাসি,
এই পর্ণমোচী জীবনে মুছে যাওয়ার অসুখ তীব্র হয়ে আসে
কায়ার ছায়া মায়া হয়ে যায়, মায়াও ম্রিয়মান বিস্মরনে
নির্দিষ্ট এক মানবীর দূত্যিময় মুখ ছিল, মনে পড়ে না
ভুলে কি গ্যাছি, গোলাপ কপোলে তীব্র চুমুর আজন্ম বাসনা?
মানবারন্যের তীব্র মুখ গুলো যখন খুব বেশি মায়াহীন, শুষ্ক
নি:প্রান জঙ্গল মৃত মৃগের হাড় বলে মনে হয়, নীলারণ্যে
মেঘ রাতে পারস্পারিকতার আয়োজন ব্যর্থ হলেও, জেগে থাকি
আমি ছায়াবৃক্ষ, শাকুরার লাল জলে দেখি আপন প্রতিবিম্ব,
প্রবল স্পৃহার জালে বন্দী হৃদয়ে অচল পদ্যে গাঁথি আমাদের
সম্পর্কের পুরাণ ।
তোমাকে নিয়ে লিখা কবি্তার তৈজশে আগুন ধরিয়ে দেই
কবিতার ছাই ভাষতে থাকে শুন্য আকাশে, তীব্র জৌলুসে
স্মৃতিপ্রসর প্রলম্বিত হয় জিপসি ক্যাম্পফায়ারের মত
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই মে, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:২০