somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

সড়ক দুর্ঘটনা নয় যেন মহামারি লেগেছে!!!!

১৩ ই নভেম্বর, ২০১১ বিকাল ৫:২৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

এবারের ঈদের ছুটির ৪ দিনে ৩১ টি দুর্ঘটনা ঘটেছে((প্রকৃত সংখ্যা আরো অনেক বেশি)। ৪৬ জন মারা গেছে এবং আহত হয়েছে ২শতাধিক মানুষ।সড়ক দুর্ঘটনার নামে আমাদের আর কত হত্যাকান্ড সইতে হবে, আর কতটা লাশ পড়লে আমাদের বিবেক জাগ্রত হবে। এ ব্যাপারে কেন এখনো সরকারে টনক নড়ছে না।কোন খ্যাতনামা ব্যক্তি মারা গেলে কয়েকদিন খুব হইচই হয় ,তারপর থেমে যায় সবকিছু শুধু থামেনা সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যু।

সরকারি হিসাবে গত দেড় দশকে সাড়ে ৭০ হাজার সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেছে অর্ধলক্ষাধিক মানুষ। আহত হয়েছে আরও অর্ধলক্ষাধিক। এর মধ্যে ১৯৯৯ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত এক যুগে সারাদেশে ৫০ হাজার সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেছে ৩৮ হাজার লোক। আহত হয়েছে আরও ৩৫ হাজার। সরকারি হিসাবে বছরে গড়ে তিন হাজারের বেশি লোক সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যায়। তবে বেসরকারি হিসাবে এই সংখ্যা ১২ থেকে ২০ হাজার। বেসরকারি হিসাবে এ বছরের গত সাড়ে সাত মাসে দু'হাজার লোকের প্রাণহানি ঘটেছে।

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) সড়ক দুর্ঘটনা গবেষণা ইনস্টিটিউট (এআরআই) মনে করে, পুলিশ দুর্ঘটনা ও হতাহতের যে হিসাব দেয়, প্রকৃত সংখ্যা এর তিন গুণ। অবশ্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) ২০০৭ সালের হিসাবে বলা হয়েছে, এ বছর বাংলাদেশে সড়ক দুর্ঘটনায় ২০ হাজার ৩৪ জন মারা যায়। বাংলাদেশের প্রতি এক লাখ মানুষের মধ্যে ১২ দশমিক ৬ জন সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যায় বলে ডব্লিউএইচও উল্লেখ করে।

যুক্তরাজ্য সরকারের বৈদেশিক উন্নয়ন সংস্থার (ডিএফআইডি) ২০০৪ সালের এক জরিপে বলা হয়েছে, সড়ক দুর্ঘটনায় বাংলাদেশের মোট দেশীয় উৎপাদনের (জিডিপি) ১ দশমিক ৬ শতাংশ ক্ষতি হয়। তবে এআরআইয়ের তথ্যমতে, এখন সড়ক দুর্ঘটনায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জিডিপির ২ শতাংশেরও বেশি। বুয়েটের হিসাব মতে দেশের ১১৮০০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যেও মহাসড়কের মধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ স্পট হচ্ছে ২০৯টি। তার মধ্যে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ৩৮টি, ঢাকা-খুলনা রোডে ৩৮ টি, বাকিগুলো ঢাকা-সিলেট ও উত্তরানঞ্চলের বিভিন্ন মহাসড়কে।
যোগাযোগ মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, বুয়েটের এআরআই গত বছর জুনে সারাদেশের ২০৯টি স্থানকে অতি দুর্ঘটনাপ্রবণ (ব্ল্যাক স্পট) হিসেবে চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য সওজের কাছে পাঠায়। যোগাযোগ মন্ত্রণালয়কেও বিষয়টি জানানো হয়। কিন্তু এক বছরেও কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।

এআরআই সূত্র বলছে, একটি নির্দিষ্ট এলাকার মধ্যে বছরে তিনবার বা তারও বেশি দুর্ঘটনা ঘটলে এটাকে ব্ল্যাক স্পট হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। ব্ল্যাক স্পটগুলোতে সড়কের অস্বাভাবিক বাঁক থাকে, সড়কের পাশে হাটবাজার গড়ে ওঠে এবং সড়ক সংকেত থাকে না। মানিকগঞ্জের যে স্থানে সড়ক দুর্ঘটনায় মিশুক মুনীর ও তারেক মাসুদ মারা গেছেন, সেটিও একটি ব্ল্যাক স্পট।কিন্তু এখনো কোন পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছেনা তাই মৃতের সংখ্যাও পাল্লা দি্যে বেড়েই চলেছে।

ফেনীতে গত শনিবার (১২ নভেম্বর) সড়ক দুর্ঘটনায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীসহ চারজন নিহত হয়েছেন। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহত যাত্রী শাহ আলম ও তানভীর ইসলাম অভিযোগ করেন, তাঁদের থেকে ‘দিগন্ত পরিবহনের’ কথা বলে জনপ্রতি এক হাজার ২০০ টাকা করে অগ্রিম ভাড়া নিয়ে টিকিট দেওয়া হয়। কিন্তু পরিবহন মালিকেরা প্রতারণা করে তাঁদের ‘সেন্ট মার্টিন পরিবহনের’ একটি নৈশকোচে তুলে দেন। নৈশকোচটি রাত সাড়ে ১০টায় কক্সবাজার থেকে ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা করে। পথে চকরিয়া এলাকায় গাড়ি নষ্ট হয়ে যায়। আধ ঘণ্টা পর আবার যাত্রা শুরু করে। পরে তাঁরা এ দুর্ঘটনার কবলে পড়েন। এতে ঘটনাস্থলেই চারজন নিহত ও ৩৫ জন আহত হন।এইরকম চিত্র প্রায়ই দেখা যায়।যাত্রীরা প্রচুর অর্থ ব্যয় করেও কোন নিশ্চয়তা পাচ্ছেন না।প্রতারিত হচ্ছেন যাত্রীরা।মহামারির মত বাড়ছে সড়ক দুর্ঘটনা ,বাড়ছে মৃত্যু,বাড়ছে হাজার হাজার পরিবারের হাহাকার, ঝরে যাচ্ছে হাজারও পরিবারের স্বপ্ন।


পাবনা এডওয়ার্ড কলেজের ৪র্থ বর্ষের ছাত্র নাছির,বর্তমানে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালের (পি,জি) বিছানায় মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছে। গত ০৯ নভেম্বর দুপুর আনুমানিক ১২টা ৩০মিনিটের দিকে এক মারাত্বক সড়ক দূর্টঘনার আহত হয়। তাৎখনিক ভাবে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। গতকাল পর্যন্ত ২জনের অবস্থার কিছুটা উন্নতি হলেও "নাছিরের" মাথায় প্রচন্ড রক্তক্ষরণ চলছে। ফলে তার অবস্থার আরও অবনতি হলে গতকাল দুপুরে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে পাঠানো হয়। এখন ডাক্তারদের মতে তাকে খুব দ্রুত অপারেশন করতে হবে যার জন্য প্রচুর টাকার প্রয়োজন যা তার পরিবারের পক্ষে যোগাড় করা সম্ভব নয়। সাহায্য পাঠাতে চাইলেঃ
মোঃ রকিবুল হাসান (বন্ধন)
একাউন্ট নং : ৪৪৭০
সোনালী ব্যাংক
জয়নগর শাখা, ঈশ্বরদী।




জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের এই ছাত্রটি মারা গেছে এই ঈদে।মাস্টার্স ফাইনাল দিয়ে বাড়ি গেল আর ফিরে আসা হলনা তার.।কয়েক দিন পর সবাই একে ভুলে কিন্তু তার পরিবারের কি হবে ?সারাজীবন ধরে এই কষ্ট তাদেরকে বয়ে বেড়াতে হবে।



জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যলয়ের এই ভাইটির অবস্থা দেখুন তার পা ভেঙ্গে গেছে বাস দুর্ঘটনায়।



এই পোষ্টটি লিখছি কিন্তু থেমে নেই দুর্ঘটনা,এখনও পাচ্ছি সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুর খবর!!!!!!!
মীরসরাইয়ে মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় দুই বন্ধু মর্মান্তিকভাবে প্রাণ হারিয়েছে। এ ঘটনায় আর এক বন্ধুও আহত হয়েছে। রোববার ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ইসমাইল কার্পেট মিলের সামনে যাত্রীবাহী ভলবো একটি মোটরসাইকেলকে পেছন থেকে ধাক্কা দিলে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

মৌলভীবাজারের বড়লেখায় রোববার সড়ক দুর্ঘটনায় রঙ্গবালা দাস (৭০) নামে এক বৃদ্ধা নিহত হয়েছেন।

আর কতকাল সরকার চুপ করে বসে থাকবে?আর কত পরিবারের আশা ধুলোয় মিশে যাবে? এ মহামারি থামানোর কোন প্রচেস্টা কি নেবেনা সরকার?আর কত হত্যা করলে সরকারে টনক নড়বে??


সূত্রঃ
বিভিন্ন পত্রপত্রিকা,ফেসবুকের পেজ,
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই নভেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:১৪
১টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

রাজাকারিতে কোন দলের কি অবস্থান

লিখেছেন এ আর ১৫, ১১ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:৪৫

জামাত অবশ্যই ১০০% রাজাকার এবং ১০০% মুক্তিযুদ্ধ বিরুধী ।

সে হিসাবে বিএনপি ৩০ % রাজাকার এবং ৭০% মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের,
সে হিসাবে জাতীয় পার্টি ৩০% রাজাকার এবং ৭০ % মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের,... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। 'জয় বাংলা' কখনোই কেবলমাত্র রাজনৈতিক স্লোগান ছিল না।

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১১ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:৪৬



পশ্চিম পাকিস্তানের শাসকদের নির্মম শোষণ, অবিচার ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে স্বাধীনতাকামী বাঙালিদের লড়াইয়ে এই আইকনিক স্লোগানটি অবিচ্ছেদ্য ভূমিকা পালন করেছিল।

এই স্লোগান বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে ত্বরান্বিত করতে সাহায্য করে, যার... ...বাকিটুকু পড়ুন

খোদাকে ধন্যবাদ

লিখেছেন সত্যপথিক শাইয়্যান, ১১ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:৫১



এই ছবিটি ২০২৩ সালের ১৭ নভেম্বর আলোকচিত্রী জিএমবি আকাশের ক্যামেরায় ধারণ করা হয়েছিল।
....খোদা আমাকে মাফ করুন। আর, তাঁর কাছে শুকরিয়া জানাই, তিনি আমাকে এবং আমার আশে-পাশের মানুষকে এই... ...বাকিটুকু পড়ুন

শেখ হাসিনাই বাংলাদেশের বৈধ প্রধানমন্ত্রী

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ১১ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৮



ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বিজেপি ও বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন আমরা বাংলাদেশ সৃষ্টি করেছি। শেখ হাসিনাকে এখনও বাংলাদেশের বৈধ প্রধানমন্ত্রী বলে দাবি করে পশ্চিমবঙ্গের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, শেখ... ...বাকিটুকু পড়ুন

বদ বুয়া

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ১১ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৫:৩৫

আমার বাসার সামনের বাসায় একটা ছোট্ট ছেলে ছিল নাম বাবলু। তার বাবা চায়ের দোকানদার। একদিন আমি একটা ম্যাট্রেস কিনে বাসার সামনে আসতেই বাবলুর বাবা আমাকে সাহায্য করলো ম্যাট্রেস তিনতলার উপরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×