পাভেল আল ইমরানের গুচ্ছ কবিতা
পুঁথিশালা
সুন্দরী সাপ
জড়িয়ে থাকে যেমন, স্বর্ণলতার ডগায়,
উষ্ণ রঙিলা নিশ্বাস গায়ে মেখে
ধ্যানে মজি আগামী শতাব্দী,
যে নিশ্বাসে তেজপাতা জ্বলে গন্ধ এঁকে যাবে নিস্তব্ধ গুহার দেয়ালে।
ঠিকরে ছুটে আসবে সূর্যচড়ুইপাখি,
একযুগ দেখিনি যার স্কার্ফ পরা নৃত্য।
তেজপাতার ঘ্রানে গান বেঁচে উঠুক
মরুভূমির বালিকনায়,
ফুটুক বন্যফুলের তারকা
উটের খুরে খুরে।
বেদুঈন সেজে সাজিয়ে বেড়াই
পশুচারণের সুদীর্ঘ পুঁথিশালা।
১৯.৭.১৬
পরী সিরিজ ১
ঠোঁটে তার কাটছি পুকুর রঙের পাখি ঢেলে
তুলে ওই কাঁচের আলো রাজহাঁসেরা খেলে
ছিঁটিয়ে তারার ময়ুর
ফলিয়ে রেশোমী সুর
তূনীর ওই আতরছিপি শ্বাসগরমে খুলে
সে শ্বাসের রেখা গুনে ফেরেশতা দলবলে
শরীরের হীরার ক্ষেতে
পশমি গজল ছুটে
উড়ে গায় সমুদ্র ঢেউ রোশনাই তিলগালে
ভ্রু'তে মেঘের নাচন মাতাল জাহাজ তালে
২২.৭.১৬
পরী ২
তোমার হাতে শতাব্দীর চাবি, রূপকথার অন্তঃপুরির সাজ।
ঝুলে থাকে পশমে পশমে সুরেণু ঢাকের আওয়াজ।
আরেকটি বনের চাষ করবো বলে ঢুকি পড়ি ভ্রু'র রথে।
হীরার খনির রাজদ্বার খোলা মসিনা নাযার পথে।
ঘ্রাণ কেনো ভাসে বৃষ্টিজলে ধুয়েছে বৃষ্টি হাতের রসে
ধুইয়ো না দোহাই প্রিয়ে, ও হাতে দুধের সর লেগে আছে।
২০.৭.১৬
পরী ৩
সাদা পশমের রাত গুহাতে , জলস্নানে সূর্যপরী
শরীরে তার রেণুর নরম ম্যাকাও পাখনা জ্বলে
বুনে যায় শ্বেতাভ গালে গীতালি রাগআবরণ
পুকুর পাড়ে হুপোর ডানা জ্বলজ্বলিয়ে নূরে
কুড়িয়ে হিজল পাতা ছুড়ে যায় ঢেউয়ের লাশে
আঁকে সে ম্যান্ডারিন মাছ জলের কাঁথা খুরে
প্রেমে বধ আলোর পাথর ভরে নেয় কোঁচর পেতে
ছেড়ে দেয় দীঘলজলে সোনালী চিল উড়ে।
২৫/৭/১৬
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:২১