গ্যালাতিয়া
❑
সূফি সঙ্গীতের রসের ঘ্রাণ নিয়ে ঘুমিয়েছিলাম, অসংখ্য মৌমাছি আমাকেই ঘিরে ছিলো বেহেস্তে। সিংহের রক্তে ধোয়া শূন্যের পথ বেয়ে মাটিতে নেমেছি গ্যালাতিয়া ,তোমার অস্তিত্বহীন অবয়ব আঁকতে।
ভেনাসের পুজোয় মাথা নোঁয়াতে নয়, কোনো রাজাদরবারের প্রজা হতে নয়, আমার জন্ম তোমাকে জন্ম দেওয়ার মুগ্ধতায়।পরম নারীবিদ্বেষী প্যাগম্যালিয়ন,হাতির দাঁতের পাতে সৃষ্টি করেছি যে ভাস্কর্য, সমুদ্রতল আগ্নেয়গিরি বরফপথ ছেঁকে এনে রূপ সাজিয়েছি সেই শরীরে।রঙিলা পাথর তারকাখচিত ভাঁপ মৎসজাতীর রত্নাগার এনে ঢেলেছি প্রতিটি ভাঁজে
এমন মুখ আর কেউ দেখেনি, এমন নাক যাতে ফুলেদের উদ্দেশ্যে আসা সুগন্ধ যাতায়াত করে, খুঁতহীন একমাত্র মানবী। তোমার ঠোঁটেই এঁকেছি পৃথিবীর প্রথম প্রেমচাঁদ। কামড়াজুড়ে উড়েছে তখন ঝিনুকের গুঁড়ো। প্রেমের আযান গায়ে পরিধান করে মুখ থুবড়ে পড়েছি তোমার পাথর গায়ের স্তনে, কাদাজল নাভিকূপে।
অবচেতন,তবু হাজার বছর আগেও তুমি ছিলে, আমার বিছানায়। যোনিপথে আমারই বীর্য ঝাঁকবাঁধা সোনালী সমুদ্রপ্রতঙ্গের বেশ ধরে আছড়ে পড়েছে, গ্যালাতিয়া। জানোনি আমিই তোমার স্রষ্টা যে নিজ আঙুলে বানানো সৃষ্টির প্রেমেকামে ভুলেছে দেবতার ইবাদত।
#পাভেল আল ইমরান।
১২।১০।২০১৬
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ৮:০২