ঝিনাইদহ শহরের পবহাটিতে নির্বাচনী কার্যালয়ের সামনে ৩ যুবলীগ কর্মীকে কুপিয়ে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে এ হত্যাকাণ্ড ঘটে। নিহতরা হলো- শহরের পবাহাটি গ্রামের আলমগীর হোসেন, ভূটিয়ারগাতী গ্রামের বজলুর রহমান ও পোড়াহাটি গ্রামের সোহাগ। এরা সকলেই পৌর যুবলীগের সক্রিয় কর্মী বলে দলীয় সূত্র জানিয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শী ও এলাকাবাসী জানায়, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের পবহাটি গ্রামের কমিশনার প্রার্থী আক্তার হোসেনের নির্বাচনী কার্যালয়ের সামনে বসে যুবলীগ কর্মীরা চা পান করছিল। এ সময় একদল সশস্ত্র সন্ত্রাসী তাদের ওপর অতর্কিতে হামলা চালায়। তারা এলোপাতাড়ি কুপিয়ে এলাকা ত্যাগ করে। এতে যুবলীগ কর্মী আলমগীর ঘটনাস্থলেই নিহত হয়। গুরুতর আহত বজলুর রহমান ও সোহাগকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হলে বজলুর রহমান কিছুক্ষণ পর মারা যায়। সোহাগের অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকায় নেওয়ার পথে মাগুরায় মৃত্যুবরণ করে।
ঘটনার পরপরই পুলিশ এলাকা ঘিরে তল্লাশি চালিয়ে ধারালো অস্ত্রসহ হত্যার বিভিন্ন আলামত উদ্ধার করে।
সদর থানার ওসি ইকবাল বাহার চৌধুরী হত্যাকাণ্ডের ঘটনা নিশ্চিত করে জানান, কারা, কিভাবে এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে তা তদন্তের পর বলা যাবে। এখন পর্যন্ত কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি বলে তিনি জানান।
এদিকে, নিহতদের পরিবার যুবলীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দলকে এ হত্যাকাণ্ডের জন্য দায়ী করছে। পৌর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম ও অপর যুবলীগ নেতা মাসুদ হোসেনের বিরোধকে এ হত্যাকাণ্ডের জন্য দায়ী করছে তারা।
ঝিনাইদহের সহকারী পুলিশ সুপার ফয়সাল আহমেদ জানান, পৌর যুবলীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দলই এ ঘটনার পেছনে থাকতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
(শীর্ষ নিউজ ডটকম/ প্রতিনিধি/ জেএ/ এসসি/২২:০৭ ঘ.)