somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

কিছু সাংবাদিক এখন রাজনীতিক কর্মীর ভূমিকায় কাজ করছে।

২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:৪৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

সাংবাদিকরা একটি জাতির কাছে আয়না স্বরূপ। তাদের মাধ্যমে সকালে পুরো জাতি জানতে পারে সারাদেশে কোথায় কি হয়ে গেল গত একটি দিনে। সকালে চোখ খুলে পত্রিকার পাতা উল্টোলেই যাদের অবদানের কথা মনে আসে তারা হচ্ছে সাংবাদিক। নানা প্রতিকূল পরিস্তিতির মধ্যে তাদেরকে সংবাদ সংগ্রহ করতে হয়। তাদের উপর তাই অনেক দায়িত্ব বর্তায়। তাদের একটি কলমের খোঁচায় পুরো জাতির মধ্যে জাগরণ সৃষ্টি হয়।

সাংবাদিককে অনেক দায়িত্ব নিয়ে লিখতে হয়। একই কথা টিভি সাংবাদিকের ক্ষেত্রেও।

কিন্তু ইদানিং দেখা যায় কিছু কিছু সাংবাদিক তাদের পেশাগত মূল দায়িত্বের বাইরেও গিয়ে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করছেন। তারা সংবাদকে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করে একটি বিশেষ দিকে নিয়ে যাওয়ার প্রচেষ্টা করছেন। এটাকে কিছুতেই সাংবাদিকতা বলা যায় না। এটা একটা হলুদ সাংবাদিকতা বা সাংবাদিকতার নাম রাজনীতি। ফলে সাংবাদিকের উপর যে শ্রদ্ধাবোধ থাকে তা লোপ পায়। সাংবাদিকের উপর হামলা করতে আর দ্বিধাবোধ করে না।

আগে মানুষ সরকারি টিভিকে একপেশে সংবাদ পরিবেশনের জন্য এভয়েড করতো। বিটিভিকে অনেকে মিয়া বিবির বাক্স বলেও কটাক্ষ করত। কিন্তু ইদানিং বেসরকারি টিভি গুলোর মধ্যেও এ প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। কাকে ডিঙিয়ে কে তোষামোদিতে এগিয়ে যাবে এটাই এখন একমাত্র কাজ কিছু প্রাইভেট টিভি চ্যানেলের। প্রয়োজনে সরকারের পা চাটতেও এসব সাংবাদিক একটু দ্বিধা করবে না।

টকশোর নামেও চলচে উচু মাত্রার তোষামোদি। ভিন্ন মতের উপর দমন যেন এখন কিছু প্রাইভেট টিভির অন্যতম কাজ।

সম্প্রতি নাস্তিক কর্তৃক ইসলামের নবী রাসূলকে অবমাননা এবং এর পরবর্তী পরিস্থিতি নিয়ে সংবাদ পত্রের রিপোর্টগুলোর দিকে দৃষ্টি দিলে একটি কথা পরিস্কার হয়ে যায়। আর তা হলো সবাই সমান কাভারেজ পাবে না। জামাতের অফিসে যখন বিনা উস্কানিতে ছাত্রলীগ, যুবলীগ হামলা করছে তখন তা হয়ে যাচ্ছে বিক্ষুদ্ধ জনতার হামলা। আর বিক্ষুদ্ধ মুসল্লিরা যখন গনজাগরণ মঞ্চে হামলা করছে তখন সমমনা ১২ দলের হামলাও বলা হচ্ছে না, বলা হচ্ছে জামাত শিবিরের হামলা।

রাজিব হত্যার পরও আমরা দেখলাম কিছু কিছু অতি উৎসাহি সাংবাদিক জামাত শিবিরকে জড়িয়ে সাথে সাথে নিজউ করে ফেলে। কোন তদন্ত হলো না , কেউ দেখল না কে হত্যাকারী অথচ এসব সাংবাদিক তাদের হলুদ সাংবাদিকতা ন করে পারল না। অনুরুপভাবে বিশ্বজিৎ হত্যাকান্ডে, যা পুরো ভিডিওতে দেখা গেল হত্যাকারী কে বা কারা। এটা নিয়ে ঘটনা ভিন্নখাতে প্রবাহের কম চেষ্টা করা হয়নি। কিছু কিছু সংবাদপত্র গনপিঠুনিতে একজন মারা যাওয়ার খবরও প্রচার করেছিল।

সাংবাদিকের কাজ ঘটনাকে তুলে ধরা। রাজনীতি করা তাদের কাজ নয়। কোন রাজনীতিক নেতা সংবাদকে ঘুরিয়ে তার দলের পক্ষে নিয়ে বললে যতটা মানায় সাংবাদিকরা বললে সেটা মানায় না। তাই সাংবাদিকের উপর জনগনের আস্থা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে এসব হলুদ সাংবাদিকতার কারণে। তাই প্রশ্ন জাগে এরা কি সাংবাদিক নাকি রাজনীতিক কর্মী?

সাংবাদিকরা রাজনীতিক কর্মী হয়ে গেলে তারা আর সঠিক সংবাদটা অবশ্যই পরিবেশন করতে পারবে না। সঠিক প্রশ্নটা করার সৎ সাহসটা আর তাদের থাকবে না। ঘটনাকে সবসময় নিজের দলীয় পরিচয়ের আঙিকে দেখবে এটাই স্বাভাবিক।

সৎ, সাহসী, নির্বিক, দেশপ্রেমিক সাংবাদিকের কথা মনে হলেই জনাব মাহমুদুর রহমানের ছবিটা ভেসে আসে। তার মত সাংবাদিকের আজ বড় প্রয়োজন। তেল মারা আর তোষামোদি করা, জামাতকে নিয়ে খিস্তি খেউড় করা অনেক সহজ। সরকারের ভুল ত্রুটি নিয়ে প্রশ্ন করার সাহস ইদানিং খুব কম সাংবাদিকের মধ্যেই উপস্থিত আছে।

আজ দিগন্ত, সংগ্রাম, আমারদেশের উপর হামলা হলে যেসব সাংবাদিক খুশি হচ্ছেন তাদের উপরও যে হামলা হবে না তা কে বলতে পারবে।

তাই সাংবাদিকদের নিরপেক্ষতা খুবই জরুরি। না হলে মানুষ সরকারি টিভিকে যেভাবে একপাশে রেখে দেয় এসব চ্যানেলকেও তারা পরিহার করে বিদেশি চ্যানেল নিয়ে বসে থাকবে।
৫টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

রাষ্ট্রপতি হিসাবে ড. ইউনুসের বিকল্প বাংলাদেশে নেই !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১১ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:৫৪


রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন চুপ্পু সাহেবের মন ভালো নেই। জুলাই আন্দোলনের পর থেকে তিনি রীতিমতো কোণঠাসা! শেখ হাসিনা ভারতে প্রস্থানের পূর্বে তাকে জানিয়ে যান নি। শেখ হাসিনা চুপ্পু সাহেবকে উনার দুরবস্থার জন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

অবচেতনের নদীরা

লিখেছেন স্বর্ণবন্ধন, ১২ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ২:১৩

একসময় মানচিত্রে মিষ্টি নামের সব নদী দেখে ভাবতাম—
এরা নিশ্চয়ই সুমিষ্ট স্বাদ বয়ে নিয়ে চলে।
একদিন এইসব গোমতী, বুড়িগঙ্গা, বংশী, সুরমা, আড়িয়াল খাঁ—
সবাইকে তুলে এনে জমিয়ে রাখব বুকশেলফে, ডায়েরির ঠান্ডা ভাঁজে, কোন... ...বাকিটুকু পড়ুন

মৌলবাদ: ইতিহাসের সবচেয়ে ব্যর্থ প্রযুক্তি

লিখেছেন মহিউদ্দিন হায়দার, ১২ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:৫১




মজার বিষয়—

আজকের মৌলবাদীরা রোকেয়া বেগমকে মুরতাদ ঘোষণা করে বুক ফুলিয়ে হাঁটে, অথচ নিজেদের অস্তিত্ব টিকেই আছে যাদের ঘৃণা করে— সেই “কাফেরদের” বিজ্ঞান আর প্রযুক্তিতে। ইতিহাস পড়লে এদের বুকফুলা হাওয়া বের... ...বাকিটুকু পড়ুন

জাতী এখন পুরোপুরিভাবে নেতৃত্বহীন ও বিশৃংখল।

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১২ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:১৩



শেরে বাংলার নিজস্ব দল ছিলো, কৃষক প্রজা পার্টি; তিনি সেই দলের নেতা ছিলেন। একই সময়ে, তিনি পুরো বাংগালী জাতির নেতা ছিলেন, সব দলের মানুষ উনাকে সন্মান করতেন। মওলানাও জাতীয়... ...বাকিটুকু পড়ুন

সাময়িক পোস্ট

লিখেছেন আরোগ্য, ১২ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:১৬



ওসমান হাদী অন্যতম জুলাই যোদ্ধা, ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র, স্পষ্টবাদী কণ্ঠ, প্রতিবাদী চেতনা লালনকারী, ঢাকা ৮ নং আসনের নির্বাচন প্রার্থী আজ জুমুআর নামাজ পড়ে মসজিদ থেকে বের হওয়ার পর গুলিবিদ্ধ হয়েছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×